হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজশাহীর বাঘায় ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী খোদেজা বেগম তার স্বামী পলান উদ্দিনের বিশেষ অঙ্গ কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার হরিরামপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, উপজেলার মনিগ্রামের হরিরামপুর গ্রামের মনোয়ার বেগম তার বাবার বাড়িতে থাকেন। মাঝে মধ্যে স্বামী পলান উদ্দিন স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। দেরি করে দেখা করতে আসায় তাদের মধ্যে ঝগড়া বাধে। এক পর্যায়ে স্বামী পলান ঘুমিয়ে পড়লে ধারালো ব্লেড দিয়ে লিঙ্গ কেটে দেয়। স্বামীর রক্তক্ষরণ দেখে নিজেই চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা বেগতিক দেখে স্ত্রী স্বামীকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে থাকা মনোয়ারা বেগম নামের নামের এক নারী জানান, পলানের স্ত্রী খোদেজা বেগম (৪৫) তার স্বামীর রক্তক্ষরণ দেখে ভ্যানের ভাড়া দেয়ার কথা বলে সটকে পড়ে। পরে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার অবস্থা দেখে তাৎক্ষনিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
মনিগ্রাম ইউনিয়নের স্থানীয় মেম্বর আব্দুল মান্নান জানান, তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্ত্রী এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
মনোয়ারা বেগম উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের হরিরামপুর শান্তির মোড় এলাকায় বাবার বাড়িতে বসবাস করে। পলান উদ্দিন (৩২) নাটোরের বাগাতিপাড়ার লক্ষ্মীপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। খোদেজার দ্বিতীয় স্বামী পলান উদ্দিন। আর পলানের দ্বিতীয় স্ত্রী খোদেজা।
এ বিষয়ে পলান উদ্দিন জানান, বাঘা উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের ফয়েন উদ্দিনের মেয়ে খোদেজা বেগমের সঙ্গে ৫ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর বাবার বাড়িতে স্ত্রী খোদেজা বেগম থাকেন। পলান উদ্দিন মাঝে-মধ্যেই স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহের জের ধরে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মৌসুমী রহমান জানান, ওই ব্যক্তির অবস্থা দেখে তাৎক্ষনিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে তার আত্মীয়দের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, খবরটি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।