ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপদগামী হচ্ছে- পীর সাহেব চরমোনাই

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ইসলামী ও ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপদগামী হচ্ছে। ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে অনেক মানুষ অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। ইসলামী ও নৈতিক শিক্ষার অভাবে সামাজিক অবক্ষয় চরম আকার ধারণ করেছে। সামাজিক অবক্ষয়ের মারাত্মক অবনতির ফলে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে যুব সমাজ। এতে দিন দিন বেড়েই চলেছে অবাধ মেলামেশা। মানবিকতা, নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ, ধর্মীয় শিক্ষা, পারিবারিক শিক্ষার অভাবে এমন অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

পীর সাহেব বলেন, আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যবোধ চর্চার কোনো ব্যবস্থা নেই। ব্যক্তি জীবনে যতটুকু ইসলাম আছে তাও ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে। স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কোথাও মূল্যবোধ চর্চার কোনো ব্যবস্থা নেই। ধর্মের পাশাপাশি মূল্যবোধ জাগ্রত করার জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে মূল্যবোধ শিক্ষা দিতে হবে।

গতকাল চাঁদপুর সদরের স্টার আল কায়েদ জুট মিলস সংলগ্ন বালুর মাঠে চরমোনাই মাহফিলের নমুনায় তিন দিন ব্যাপী ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকিরের শেষ দিনের প্রধান অতিথির আলোচনায় পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

তিনদিনের মাহফিলে আরো বয়ান করেন, নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মুফতী এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, মুফতী হেদায়েতুল্লাহ আজাদীসহ বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম।

পীর সহেব চরমোনাই বলেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে বাংলাদেশে মুসলিম তরুণ-তরুণীদের আজ ধর্মীয় বিধি-নিষেধ যেভাবে মানার কথা ছিল সে ভাবে মানছে না। উল্টো বিজাতীয় কৃষ্টি-সভ্যতার উন্মাদনায় তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। ধর্মীয় অনুশাসন নেই বলেই আজ নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন ভীষণভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা এখন মহামারির রূপ ধারণ করায় বর্তমানে সন্তানেরা পিতা-মাতার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিত্রাণ চাইলে সর্বক্ষেত্রে ধর্মশিক্ষা ও ধর্মচর্চা বাধ্যতামূলক করতে হবে। পীর সাহেব বলেন, ঢাকার কলাবাগানে স্কুলছাত্রী নিহতের ঘটনা গোট জাতির জন্য লজ্জাজনক। ধর্মীয় অনুশাসন না মানার কারণেই দেশে ধর্ষণ ও জিনা-ব্যভিচার বেড়ে চলেছে। বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক ইসলাম কখনো সমর্থন করে না। নারী-পুরুষদের অবাধ মেলামেশা বন্ধ না হলে ধর্ষণের মত অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করা সম্ভব হবে না।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর