ঢাকা ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১
  • ১৭৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের টেংরাটিলা গ্রামের বাগান থেকে একটি পাখি খেকো বনবিড়াল আটক করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয়দের কাছে এটি টলা নামে পরিচিত।শুক্রবার ভোরে গাছে ফাঁদ পেতে এটি ধরা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদের বাগানে স্টিলের খাঁচায় মুরগি দিয়ে ফাঁদ পাতলে এটি ফাঁদে আটকা পড়ে।

স্থানীয়রা জানায়, কয়েক মাস ধরে টেংরাটিলা গ্যাস ফিল্ডের পার্শ্ববর্তী আজবপুর, টেংরাটিলা, আলীপুর, টিলাগাও গ্রামবাসীর পোষা কবুতর, ঘুঘু, অন্যান্য পাখি খেয়ে সাবাড় করে বনবিড়াল প্রজাতির এ প্রাণী। এখন পর্যন্ত এসব এলাকায় শতাধিক পোষা কবুতর ও কবুতর ছানা, ঘুঘু, মোরগ মুরগি খেয়ে ফেলেছে এসব বনবিড়াল।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ বলেন, এটি নিশাচর প্রাণী। সহজে মাটিতে নামে না, দিনরাত গাছেই থাকে। গভীর রাতে গাছের ডালে ডালে ঘুরে শিকার করে। এই প্রাণীর কারণে ৩-৪টি গ্রাম পাখি শূন্য হয়ে পড়েছে। কবুতর, ঘুঘু, শালিক, চড়ুইসহ গাছে যেসব পাখি বসবাস করে সব এরা খেয়ে ফেলে।

টেংরাটিলা গ্রামের বজলুল মামুন বলেন, প্রাণীটির গায়ে কালো লম্বা দাগ ও প্রায় ২ ফুট লম্বা লেজ রয়েছে। মুখাকৃতি ইঁদুরের মতো। লম্বা ধারালো দাঁত দিয়ে সহজেই শিকার হত্যা করে খেতে পারে এটি। রেগে গেলে দুই চোখ লাল হয়ে আগুন ঝরায়। রাতের বেলা এ দৃশ্য দেখলে যে কেউ ভয়ে আঁতকে উঠবে।

প্রাণীটি এখনো খাঁচায় আটকে রাখা হয়েছে। দোয়ারাবাজার উপজেলা বন কর্মকর্তা নিতিশ চক্রবর্তী ঢাকায় প্রশিক্ষণে আছেন। বন প্রহরী নুরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আপডেট টাইম : ০৩:২৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের টেংরাটিলা গ্রামের বাগান থেকে একটি পাখি খেকো বনবিড়াল আটক করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয়দের কাছে এটি টলা নামে পরিচিত।শুক্রবার ভোরে গাছে ফাঁদ পেতে এটি ধরা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদের বাগানে স্টিলের খাঁচায় মুরগি দিয়ে ফাঁদ পাতলে এটি ফাঁদে আটকা পড়ে।

স্থানীয়রা জানায়, কয়েক মাস ধরে টেংরাটিলা গ্যাস ফিল্ডের পার্শ্ববর্তী আজবপুর, টেংরাটিলা, আলীপুর, টিলাগাও গ্রামবাসীর পোষা কবুতর, ঘুঘু, অন্যান্য পাখি খেয়ে সাবাড় করে বনবিড়াল প্রজাতির এ প্রাণী। এখন পর্যন্ত এসব এলাকায় শতাধিক পোষা কবুতর ও কবুতর ছানা, ঘুঘু, মোরগ মুরগি খেয়ে ফেলেছে এসব বনবিড়াল।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ বলেন, এটি নিশাচর প্রাণী। সহজে মাটিতে নামে না, দিনরাত গাছেই থাকে। গভীর রাতে গাছের ডালে ডালে ঘুরে শিকার করে। এই প্রাণীর কারণে ৩-৪টি গ্রাম পাখি শূন্য হয়ে পড়েছে। কবুতর, ঘুঘু, শালিক, চড়ুইসহ গাছে যেসব পাখি বসবাস করে সব এরা খেয়ে ফেলে।

টেংরাটিলা গ্রামের বজলুল মামুন বলেন, প্রাণীটির গায়ে কালো লম্বা দাগ ও প্রায় ২ ফুট লম্বা লেজ রয়েছে। মুখাকৃতি ইঁদুরের মতো। লম্বা ধারালো দাঁত দিয়ে সহজেই শিকার হত্যা করে খেতে পারে এটি। রেগে গেলে দুই চোখ লাল হয়ে আগুন ঝরায়। রাতের বেলা এ দৃশ্য দেখলে যে কেউ ভয়ে আঁতকে উঠবে।

প্রাণীটি এখনো খাঁচায় আটকে রাখা হয়েছে। দোয়ারাবাজার উপজেলা বন কর্মকর্তা নিতিশ চক্রবর্তী ঢাকায় প্রশিক্ষণে আছেন। বন প্রহরী নুরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।