ধান উৎপাদনের পাশাপাশি কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করুন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবদুর রাজ্জাক বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিটের (ব্রি) বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে বলেছেন, দেশের বর্ধিত জনসংখ্যার চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ধান উৎপাদন আরও বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষকের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করতে হবে। ধানি জমি কাজে লাগানো, ফসলের উন্নত প্রক্রিয়াজাতকরণ, উন্নত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন নিরাপদ ও রপ্তানি সম্ভাবনাময় ধানের জাত উদ্ভাবনেও গুরুত্ব দিতে হবে।

গাজীপুরে ব্রির বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা ২০১৯-২০ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, প্রতি বর্গকিলোমিটারে সর্বাধিক ঘনবসতির দেশ হওয়া সত্ত্বেও ব্রির বিজ্ঞানীদের কল্যাণে দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভর। কিন্তু এখন নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে এসেছে। তাই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষির যথাযথ যান্ত্রিকায়ন ও বাণিজ্যিকীকরণ এবং ধান উৎপাদনসহ সার্বিক কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাকে কৃষকের জন্য লাভজনক করতে হবে। এর জন্য বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

কৃষিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রসঙ্গ এনে বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙতে চায় তারা আসলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভাঙতে চায়। এরা পাকিস্তানের পা-চাটা, এরা উচ্ছিষ্ট। বাংলাদেশকে যারা ১৯৪৭ সালে নিয়ে যেতে চায় বাংলার মাটি থেকে তাদের নির্মূল করা হবে। ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।

কর্মশালায় বক্তব্য- রাখেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এমএ সাত্তার মণ্ডল, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, ফাও (এফএও) প্রতিনিধ বরার্ট ডি ম্যাম্পসন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচলাক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম, ব্রির পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো. আবুবকর ছিদ্দিক। ‘গবেষণা অগ্রগতি ও অর্জন ২০১৯-২০’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রির পরিচালক (গবেষণা) ড. কৃষ্ণপদ হালদার এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মশালায় বক্তব্য দেন। পরবর্তী টানা ৬ দিন চলবে কর্মশালার বিভিন্ন কারিগরী অধিবেশন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর