জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী ১৭ জানুয়ারি বসতে চলেছে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এর ৪৫তম আসর। এদিন ২০১৯ সালের জন্য নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ শিল্পীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে। গত কয়েক বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বশরীরে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন। তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারের আসরে তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম (চলচ্চিত্র)। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অন্যান্যবারের মতো এবারও রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টায় ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯’ প্রদানের আসর বসবে। তবে সেখানে করোনার বিধিনিষেধ মেনে চলা হবে। এবারের অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন।’
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হয় ২০১৯ সালের শ্রেষ্ঠ নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকা ও কলাকুশলীদের নাম। এবার মোট ২৬টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়া হবে। এর মধ্যে আজীবন সম্মাননাও রয়েছে। যেটি ২০০৯ সাল থেকে চালু করা হয়।

এ বছর প্রধান চরিত্রের জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পাচ্ছেন তারিক আনাম খান। ‘আবার বসন্ত’ ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের সুবাদে তিনি এ পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। অন্যদিকে, সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার উঠছে নতুন মুখ সুনেরাহ বিনতে কামালের হাতে। তিনি পুরস্কার পাচ্ছেন ‘ন ডরাই’ সিনেমাটির জন্য।

অন্যান্য বিভাগে যারা পুরস্কার পাচ্ছেন

সেরা সিনেমা- যৌথভাবে ‘ন ডরাই’ এবং ‘ফাগুন হাওয়ায়’।

সেরা পরিচালক- তানিম রহমান অংশু (‘ন ডরাই’ সিনেমাটির জন্য)।

সেরা পার্শ্ব অভিনেতা- ফজলুর রহমান বাবু (‘ফাগুন হাওয়ায়’ সিনেমার জন্য)।

সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী- নারগিস আকতার (‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’ সিনেমার জন্য)।

সেরা খল অভিনেতা- জাহিদ হাসান (‘সাপলুডু’ সিনেমার জন্য)। পর পর দুইবার এ পুরস্কার জিতলেন জাহিদ হাসান।

সেরা শিশুশিল্পী (যৌথভাবে)- নাইমুর রহমান আপন (‘কালো মেঘের ভেলা’ সিনেমার জন্য) এবং আফরীন আক্তার (‘যদি একদিন’ সিনেমার জন্য)।

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র- ‘নারী জীবন’ (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট কর্তৃক নির্মিত)।

সেরা প্রমাণ্যচিত্র- ‘যা ছিল অন্ধকারে’ (বাংলাদেশ টেলিভিশন কর্তৃক নির্মিত)।

সেরা গায়ক- মৃণাল কান্তি দাস (‘শাটল ট্রেন’ ছবির ‘তুমি চাইয়া দেখো’ গানটির জন্য)।

সেরা গায়িকা (যৌথভাবে)- মমতাজ বেগম (‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’ ছবির ‘বাড়ির ওই পূর্বধারে’ গানটির জন্য) এবং ফাতিমা-তুয-যোহরা ঐশী (একই ছবির ‘মায়া মায়া রে’ গানটির জন্য)।

সেরা সংগীত পরিচালক- মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ইমন (‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’ সিনেমার জন্য)।

সেরা গীতিকার (যৌথভাবে)- নির্মলেন্দু গুন (‘কালো মেঘের ভেলা’ ছবির ‘ইস্টিশনে জন্ম আমার’ গানটির জন্য) এবং ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী (‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’ ছবির ‘চলো হে বন্ধু চলো’ গানটির জন্য)।

সেরা সুরকার (যৌথভাবে)- প্লাবন কোরেশী (‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’ ছবির ‘বাড়ির ওই পূর্বধারে’ গানটির জন্য) এবং সৈয়দ মো. তানভীর তারেক (একই ছবির ‘আমার মায়ের আচল’ গানটির জন্য)।

সেরা কাহিনিকার- মাসুদ পথিক (‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’ ছবির জন্য)।

সেরা চিত্রনাট্যকার- মাহবুব উর রহমান (‘ন ডরাই’ ছবির জন্য)।

সেরা সংলাপ রচয়িতা- জাকির হোসেন রাজু (‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ ছবির জন্য)।

সেরা সম্পাদক- জুনায়েদ আহমেদ হালিম (‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’ ছবির জন্য)।

সেরা শিল্প নির্দেশক (যৌথভাবে)- মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বাসু ও মো. ফরিদ আহমেদ (‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ ছবিটির জন্য)।

সেরা চিত্রগ্রাহক- সুমন কুমার সরকার (‘ন ডরাই’ ছবির জন্য)।

সেরা শব্দগ্রাহক- রিপন নাথ (‘ন ডরাই’ ছবির জন্য)।

সেরা পোশাক ও সাজসজ্জা- খোন্দকার সাজিয়া আফরিন (‘ফাগুন হাওয়ায়’ ছবির জন্য)।

সেরা মেকআপ ম্যান- মো. রাজু (‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’ ছবিটির জন্য)।

এছাড়া ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার হিসেবে এ বছর আজীবন সম্মাননা দেয়া হচ্ছে একসময়ের জনপ্রিয় দুই তারকা অভিনয়শিল্পী সোহেল রানা এবং কোহিনুর আক্তার সুচন্দাকে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর