হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিয়ের দুই মাস ১০দিন পরই ছেলে সন্তানের মা হন এক নববধূ। এ নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার রাতে সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটে। রোববার উভয় পক্ষের সম্মতিতে তালাক সম্পন্ন করা হলে পরে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়।
এর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরে ওই তরুণী বলেন, কয়রাডাঙ্গা গ্রামের ফুটবল মাঠপাড়ার হারুনের ছেলে আশিক (২০) একদিন কিছু একটা দেখানোর জন্য তার ঘরে যেতে বলে। সেখানে গেলে আশিক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে আশিক নামের ওই তরুণ। পরে লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন তরুণী।
তবে নববধূর সঙ্গে বিয়ের আগে প্রেম ছিল বলে জানায় আশিক নামের ওই তরুণ। হাসপাতাল চত্বরেই আইনগতভাবে তালাকের পর রাত ১১টায় একাদশ শ্রেণি পড়ুয়া প্রেমিকের সঙ্গে ফের বিয়ে দেয়া হয়।
আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ফাঁড়ি পুলিশের আইসি এসআই কামরুল ইসলাম জানান, প্রেমিককে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে আমার উপস্থিতিতে এ বিয়ে দেওয়া হয়ে।
জানা যায়, দুই মাস ১০ দিন আগে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ভিমরুল্লা গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে পারিবারিকভাবে আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরীর বিয়ে হয়। ২ জানুয়ারি শনিবার রাতে শ্বশুরবাড়িতেই গৃহবধূ একটি পুত্রসন্তান প্রসব করে। প্রসবের পর নবজাতকটি অসুস্থ হলে রোববার সকালে মাসহ বাচ্চাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর খোকন বলেন, বিয়ের পর থেকে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যায় মেয়ে ও তার পরিবারের সদস্যরা। শনিবার রাতে শ্বশুর বাড়িতে ছেলে সন্তান প্রসব করে ওই নারী। তবে বিষয়টি উভয়পক্ষের মধ্যে মীমাংসা হয়েছে।