হাওর বার্তা ডেস্কঃ রংপুরের পীরগাছা উপজেলার চরাঞ্চলে শত শত নারী শ্রমিক কৃষি ক্ষেত্রে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন। কিন্তু তারা মজুরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
সরেজমিনে উপজেলার শিবদেবচর, কিশামত চাওলা, গাবুড়ার চর, রহমতচরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে দৈনিক মজুরিতে কাজ করা এ রকম অর্ধশতাধিক নারী শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুরুষ শ্রমিকের তুলনায় বেশি কাজ করলেও মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন নারীরা।
অন্যদিকে বেশিরভাগ নারী কৃষি কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকলেও কৃষক হিসেবে আজও মেলেনি নারীদের স্বীকৃতি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার উৎপাদিত শসা, বেগুন, কাঁকরল, লাউ ঢেঁড়শসহ নানা সবজি উৎপাদনে এ এলাকার নারীদের ভূমিকা বেশি। তবে পুরুষ শ্রমিকের তুলনায় নারী শ্রমিকের মজুরি অর্ধেকের চেয়েও কম।
সবজি খাতে নিয়োজিত নারী শ্রমিক ও কৃষকরা জানান, যেখানে একজন পুরুষ শ্রমিক মালিকের ঘরে তিন বেলা খেয়ে দৈনিক মজুরি পান ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, সেখানে সমপরিমাণ কাজ করেও নিজের বাড়িতে খেয়ে একজন নারী শ্রমিক দৈনিক মজুরি পান ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। ছাওলা ইউনিয়নের রহমতচর গ্রামের চরাঞ্চলে আলু তোলার কাজে নিয়েজিত আকলিমা, রাবেয়া, জরিনাসহ একাধিক নারী শ্রমিক একই অভিযোগ করেন।
কর্মক্ষেত্রে মজুরি বৈষম্য মেনে নিয়েই পুরুষের সঙ্গে লড়াই করে কাজ করে চলছেন তারা। কখনো সমান কিংবা কখনো বেশি কাজ করছেন। তবু কম মজুরিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। বাঁচতে হলে কাজ করতে হবে এমন প্রতিজ্ঞা করেই যেন বৈষম্যময় পরিবেশে কাজে নেমেছেন পীরগাছা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের নারী শ্রমিকরা।