২০২১ সালের শুরুতেই সীট বন্টন শুরু হবে জবির একমাত্র ছাত্রী হলের

 

মোস্তাকিম ফারুকীঃ গত ২০ই অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপাচার্য ড.মিজানুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আবাসিক হল ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হল’ -এর উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় তকমা ঘুচলো জবির।
আনুষ্ঠানিকভাবে হল উদ্ভোদন  হওয়ার দু’মাস পার হয়ে গেলেও সীট বন্টনের কোন নির্দিষ্ট
 নীতিমালা আসেনি এখনো।
কবে থেকে হলের সিট বন্টন শুরু হবে?-এমন প্রশ্নের জবাবে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড.আনোয়ারা বেগম বলেন, হল এখন বসবাসের জন্য সম্পুর্ণ প্রস্তুত কিন্তু ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার কারণে সীট বন্টন করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয় কবে খোলা হবে? – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সুতরাং ১৬ তারিখ পর্যন্ত সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় ছাত্রছাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত ক্যাম্পাস। উন্মুক্ত পাঠাগার পরিপূর্ণ ছিল শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিত নারী শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, তারা সবাই এখন ঢাকা মেসে অবস্থান করতে হচ্ছে টিউশনের জন্য। তাদের দাবি এই সময়ে হলে থাকার ব্যাবস্থা করে দিলে, তাদের চলমান সংকট নিরসনে খুবই সহায়ক হবে।
ঢাকায় ছাত্রীদের অবস্থান এবং তাদের থাকার অসুবিধার কথা হল প্রভোস্টের কাছে উপস্থাপন করলে তিনি বলেন, ছাত্রীরা যদি সবাই একত্রিত হয়ে ঢাকাতে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে এবং তাদের থাকার অসুবিধার কথা তুলে ধরে তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবশ্যই একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
কিসের ভিত্তিতে হলের সিট বন্টন করা হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড.আনোয়ারা বেগম বলেন,প্রধানত তিনটি যোগ্যতাকে গুরুত্ব দিয়ে হলের সিট বন্টন করা হবে। প্রথমত মেধার ভিত্তিতে, দ্বিতীয়ত অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে, তৃতীয়ত দুরত্বের বিষয় টা যাচাই-বাছাই করে। দুরত্ব বলতে এখানে যারা ঢাকার স্থানীয় অথবা যারা ঢাকার আশেপাশে যতদূর পর্যন্ত ক্যাম্পের বাস যাতায়াত করে সেই দুরত্বে যাদের বাড়ি তারা হলের সিট পাওয়ার ব্যাপারে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
তবে ২০২১ সালের জানুয়ারীর মধ্যেই হলের সিট বন্টন নিশ্চিত করা হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই উপচার্যের সাথে মিটিং করে হলের সিট প্রাপ্তির ফরম ছাড়ার নীতিমালা
 সুনির্দিষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য ২০১১ সালে শুরু হয় ছাত্রী হল প্রকল্পের কাজ। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, ৩/১, লিয়াকত এভিনিউয়ের ২৩ কাঠা জায়গাটির অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে শিক্ষার্থীরা। তারা ওই সময় ছাত্রী হলের ব্যানার টাঙিয়ে জায়গাটি দখলে নেন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ২৫ আগস্ট জায়গাটিতে ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ ছাত্রী হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর