পৌর নির্বাচন প্রার্থী চূড়ান্ত করতে গণভবনে বৈঠক আজ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের ৬১টি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩১২ জন। প্রতিটি পৌরসভায় গড়ে আওয়ামী লীগের পাঁচ জনের অধিক দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। দল মনোনীত একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আজ শুক্রবার বিকাল ৪টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

এবার মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র বিক্রির শর্ত শিথিল করেছিল আওয়ামী লীগ। তৃণমূল থেকে পাঠানো তালিকার বাইরে ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত’ কেন্দ্রীয় নেতাদের সুপারিশে অর্ধশতাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন। আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের দুই জন সদস্য ইত্তেফাককে জানান, কোনো যোগ্য প্রার্থী যেন বঞ্চিত না হয়, সেজন্যই কেন্দ্রীয় নেতাদের সুপারিশে মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র কেনার সুযোগ রাখা হয়েছিল। এতে প্রার্থীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। তবে মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা শুরুতে বেশি হলেও পরে এটা কমে আসবে এবং শেষ পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্ত মেনে মনোনীত প্রার্থীর পক্ষেই সবাই কাজ করবেন। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে কেউ বিদ্রোহী হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তারা।

এদিকে দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র বিক্রিতে প্রথম ধাপে কিছুটা ‘কড়াকড়ি’ ছিল আওয়ামী লীগে। সংশ্লি­ষ্ট জেলা, উপজেলা, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত রেজুলেশনে প্রস্তাবিত প্রার্থীর বাইরে অন্য কারো কাছে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেনি দলটি। তবু প্রথম ধাপে প্রতিটি পৌরসভায় গড়ে চার জনের অধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী ফরম কিনেছিলেন। প্রথম ধাপের ২৫টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র কিনেছিলেন ১০৬ জন। জানা গেছে, মনোনয়নে ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের বলয় ভাঙতে পৌরসভার দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র বিতরণে নতুন কৌশল নেয় আওয়ামী লীগ। তৃণমূল থেকে পাঠানো তালিকার বাইরে মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র কেনার বিষয়ে যে বিধিনিষেধ ছিল, তা শর্তসাপেক্ষে শিথিল করে দলটি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট বিভাগের ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত’ কোনো কেন্দ্রীয় নেতা অথবা কেন্দ্রের যে কোনো সিনিয়র নেতার সুপারিশ নিয়ে আবেদনপত্র ক্রয়ের সুযোগ রাখা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তালিকার বাইরে ফরম সংগ্রহের জন্য শতাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এর মধ্যে অর্ধশতাধিক প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতাদের সুপারিশের ভিত্তিতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে তা জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, আজ শুক্রবারের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত’ কেন্দ্রীয় নেতাদের সুপারিশে মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র ক্রয় করা নেতাদের তালিকা আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে এবার দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ। এর আগে বিদ্রোহী হয়ে জিতেছিলেন বা বিদ্রোহীদের সমর্থন করেছিলেন এমন নেতাদের নাম এবার আর না পাঠানোর নির্দেশনা রয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে একাধিকবার দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর