মহামারির মাঝেও বাংলাদেশের অর্থনীতি দক্ষিণ এশিয়ায় ভালো

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মহামারি করোনাকালেও বাংলাদেশের অর্থনীতি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভালো অবস্থানে রয়েছে। মাথাপিছু প্রবৃদ্ধির বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান আপাতত স্বস্তির। তবে দারিদ্র্যের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। নগদ টাকার প্রবাহ না বাড়াতে পারলে বিপর্যয় দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ড. ইব্রাহিম খালেদ এসব কথা বলেছেন। তার মতে, মানুষ বেঁচে থাকার জন্যই মহামারি মোকাবিলা করছে। আর বাঁচার জন্যই অর্থনীতিকে গতিশীল রাখছে।

সম্প্রতি তিনি আরো জানান, আমরা একটি বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে জীবন পার করছি। পৃথিবী কোথায় গিয়ে থমকে যাবে, তা বলার সময় আসেনি, অথবা পৃথিবীর গতি কী হবে তাও বলা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আপাতত ভালো। চলতি বছর ভারতের তুলনায় এখানকার মাথাপিছু প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। কিন্তু এর ভিন্ন আলোচনাও আছে। প্রথমত, ভারতে বিপুল জনগোষ্ঠী। দ্বিতীয়ত, সেখানে অতিধনীর সংখ্যাও যেমন আছে, অতিগরিবের সংখ্যাও আছে। যে কারণে গড় করলে ভারতের সূচক নিম্নগামী হয়। তবে ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের লোকসংখ্যা কম হওয়ায় সূচক এতটা নিম্নগামী হয় না।

এদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় মালদ্বীপ ও শ্রীলংকার মাথাপিছু আয় সবচেয়ে বেশি। আয় বেশি ও জনসংখ্যা কম থাকার কারণে দেশ দুটি এগিয়ে রয়েছে। তবে করোনাকালে তাদেরও থমকে যেতে হচ্ছে।

ড. ইব্রাহিম খালেদ বলেন, বাংলাদেশ রেমিটেন্স ও রিজার্ভে রেকর্ড গড়েছে। তবে এটি ক্ষণস্থায়ীও হতে পারে, যদি না আমরা প্রবাসী শ্রমিকদের বাজার প্রশস্ত করতে পারি।

এদিকে জাতিসংঘ বলছে, গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে দারিদ্র্যতার হার দাঁড়িয়েছে ৩৯ শতাংশ। মহামারি করোনার আগে ছিল ২০ শতাংশ।

বিশিষ্ট এ অর্থনীতিবিদের মতে, এই সূচক অবশ্যই আগামীর জন্য চ্যালেঞ্জের। সরকারকে দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে করোনার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর