ঢাকা ০৩:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রথম সিনেমাতেই জাতীয় পুরস্কার জিতলেন সুনেরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:২৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • ২৩২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নতুন স্বপ্ন ও সংকল্প নিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্মিত হয়েছে সার্ফিংয় নিয়ে গল্প ‘ন ডরাই’। এটি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাতেই নির্মিত হয়েছে। যার অর্থ ‘ভয় পাই না’। ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’-এর প্রযোজনায় ছবিটি নির্মাণ করেছেন তানিম রহমান অংশু। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ এবং বড় পর্দায় অভিনেত্রী হিসেবে অভিষেক হয় সুনেরা বিনতে কামাল।

এদিকে নিজের প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করেছে সুনেরা বিনতে কামাল। ক্যারিয়ারে প্রথম ছবি ‘ন ডরাই’তে অভিনয় করেই ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ নিজের করে নেন তিনি।

চলচ্চিত্রটির গল্পটি গড়ে উঠেছে সত্য ঘটনা অবলম্বনে। সিনেমার প্রায় নব্বই শতাংশ দৃশ্যধারণ হয়েছে কক্সবাজারে। সিনেমাতে চট্টগ্রামের ভাষা শুনতে পাবেন শ্রোতা-দর্শকরা। তবে তা সবাই যেন বুঝতে পারে সেভাবেই ব্যবহার করা হয়েছে।

দেশের প্রথম নারী সার্ফার নাসিমা। এই ছবিতে থাকবে তার গল্পও। তার সামাজিক, পারিবারিক প্রতিবন্ধকতাও উঠে আসবে ছবিতে। তাই বলে এটি তার গল্পের সিনেমা না। এখানে আরো অনেক গল্পই থাকবে। নারীর এগিয়ে যাওয়ার একটা বার্তাও থাকবে ছবিতে।

দেশে সার্ফিংয়ের জনপ্রিয়তা বেড়েছে এক দশক হলো। যারা সার্ফিং করেন তাদের অনেক অবদান রয়েছে এই জনপ্রিয়তার পেছনে। সেই গল্পগুলোই প্রযোজককে উৎসাহি করেছে সার্ফিং বিষয়ে সিনেমা নির্মাণ করতে।

কিভাবে এই ছবির সঙ্গে যুক্ত হন এমন প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, রাজকুমার’ গানের মিউজিক ভিডিওর কাজ করার সময় নির্মাতা তানিম আহমেদ অংশু ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। গানটির মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছিলেন তিনি। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের লোকজনও আমাকে চিনতেন, তারাই সিনেমাটির জন্য আমার নাম প্রস্তাব করেন। এরপর নির্মাতা-প্রযোজকরা আলোচনা করে আমাকে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মাঝে আমি দুইটা ছবির অফার পেয়েছিলাম কিন্তু না করে দিয়েছিলাম। কারণ আমি একটা ভালো গল্প খুঁজছিলাম। এই ছবির অফার পাওয়ার পর স্ক্রিপ্ট পড়ে দেখলাম আমি এতদিন যার জন্য অপেক্ষা করছিলাম সেরকম একটি গল্পই পেলাম। এরপর রাজি হয় সিনেমাটিতে কাজ করতে।

ছবিটি নির্মিত হয়েছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় অর্থাৎ চাঁটগাঁইয়া ভাষায়। আর উত্তর বঙ্গের মেয়ে হওয়ার কারণে তাকে চাঁটগাঁইয়া ভাষা শিখতে হয়েছিলো বলে জানান এই অভিনেত্রী। শুধু এখানেই শেষ নয় চট্টগ্রামের মানুষদের চাল-চলন, আচার-ব্যবহার সম্পর্কে জানার জন্য সেখানকার স্থানীয় মানুষদের সঙ্গেও কথা বলতে হয়েছিলো তাকে। আর এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী সুনেরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

প্রথম সিনেমাতেই জাতীয় পুরস্কার জিতলেন সুনেরা

আপডেট টাইম : ০৭:২৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নতুন স্বপ্ন ও সংকল্প নিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্মিত হয়েছে সার্ফিংয় নিয়ে গল্প ‘ন ডরাই’। এটি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাতেই নির্মিত হয়েছে। যার অর্থ ‘ভয় পাই না’। ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’-এর প্রযোজনায় ছবিটি নির্মাণ করেছেন তানিম রহমান অংশু। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ এবং বড় পর্দায় অভিনেত্রী হিসেবে অভিষেক হয় সুনেরা বিনতে কামাল।

এদিকে নিজের প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করেছে সুনেরা বিনতে কামাল। ক্যারিয়ারে প্রথম ছবি ‘ন ডরাই’তে অভিনয় করেই ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ নিজের করে নেন তিনি।

চলচ্চিত্রটির গল্পটি গড়ে উঠেছে সত্য ঘটনা অবলম্বনে। সিনেমার প্রায় নব্বই শতাংশ দৃশ্যধারণ হয়েছে কক্সবাজারে। সিনেমাতে চট্টগ্রামের ভাষা শুনতে পাবেন শ্রোতা-দর্শকরা। তবে তা সবাই যেন বুঝতে পারে সেভাবেই ব্যবহার করা হয়েছে।

দেশের প্রথম নারী সার্ফার নাসিমা। এই ছবিতে থাকবে তার গল্পও। তার সামাজিক, পারিবারিক প্রতিবন্ধকতাও উঠে আসবে ছবিতে। তাই বলে এটি তার গল্পের সিনেমা না। এখানে আরো অনেক গল্পই থাকবে। নারীর এগিয়ে যাওয়ার একটা বার্তাও থাকবে ছবিতে।

দেশে সার্ফিংয়ের জনপ্রিয়তা বেড়েছে এক দশক হলো। যারা সার্ফিং করেন তাদের অনেক অবদান রয়েছে এই জনপ্রিয়তার পেছনে। সেই গল্পগুলোই প্রযোজককে উৎসাহি করেছে সার্ফিং বিষয়ে সিনেমা নির্মাণ করতে।

কিভাবে এই ছবির সঙ্গে যুক্ত হন এমন প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, রাজকুমার’ গানের মিউজিক ভিডিওর কাজ করার সময় নির্মাতা তানিম আহমেদ অংশু ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। গানটির মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছিলেন তিনি। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের লোকজনও আমাকে চিনতেন, তারাই সিনেমাটির জন্য আমার নাম প্রস্তাব করেন। এরপর নির্মাতা-প্রযোজকরা আলোচনা করে আমাকে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মাঝে আমি দুইটা ছবির অফার পেয়েছিলাম কিন্তু না করে দিয়েছিলাম। কারণ আমি একটা ভালো গল্প খুঁজছিলাম। এই ছবির অফার পাওয়ার পর স্ক্রিপ্ট পড়ে দেখলাম আমি এতদিন যার জন্য অপেক্ষা করছিলাম সেরকম একটি গল্পই পেলাম। এরপর রাজি হয় সিনেমাটিতে কাজ করতে।

ছবিটি নির্মিত হয়েছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় অর্থাৎ চাঁটগাঁইয়া ভাষায়। আর উত্তর বঙ্গের মেয়ে হওয়ার কারণে তাকে চাঁটগাঁইয়া ভাষা শিখতে হয়েছিলো বলে জানান এই অভিনেত্রী। শুধু এখানেই শেষ নয় চট্টগ্রামের মানুষদের চাল-চলন, আচার-ব্যবহার সম্পর্কে জানার জন্য সেখানকার স্থানীয় মানুষদের সঙ্গেও কথা বলতে হয়েছিলো তাকে। আর এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী সুনেরা।