ঢাকা ০১:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উচ্চ মাধ্যমিকেও থাকছে না কোনো বিভাগ, শিক্ষা হবে কর্মমুখী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৬৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী ২০২২ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকেও থাকছে না মানবিক, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগ। নতুন নিয়মে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন ছাড়াই পড়বেন শিক্ষার্থীরা। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখায় এই প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে উচ্চশিক্ষায় প্রবেশে পছন্দের বিষয় ভর্তিচ্ছুদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এর  আগে গত ২৫ নভেম্বর মাধ্যমিকেরও বিভাগ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল সরকার। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দশম শ্রেণির পাঠ্য থেকে মাধ্যমিকের পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

নতুন রূপরেখা অনুযায়ী, শিক্ষাক্ষেত্রে পাঁচটি ধাপ রয়েছে। সেগুলো হলো, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা। এছাড়া, প্রস্তাবিত কারিকুলাম অনুযায়ী মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা সব ধরনের বিষয় নিয়ে পড়বে দশম শ্রেণি পর্যন্ত। এই স্তরের শিক্ষাক্রমে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ থাকবে না।

রূপরেখায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে আবশ্যিক বিষয়ের জন্য বরাদ্দ থাকবে মোট শিখন সময়ের ২৫ শতাংশ। আর নৈর্বাচনিক তিনটি বিষয়ের জন্য মোট শিখন সময়ের ৭৫ শতাংশ সময় বরাদ্দ থাকবে। পাশাপাশি একটি ঐচ্ছিক প্রায়োগিক বিষয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আলাদা সময় বরাদ্দ করবে।

এ বিষয়ে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান বলেন, ‘একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের বিভাজন থাকবে না। তবে শিক্ষার্থীরা বিষয়গুলো পড়তে পারবে। আগের মতো গ্রুপ চিহ্নিত করা হবে না। শিক্ষার্থীরা আবশ্যিক তিনটি বিষয় নিয়ে পরবর্তী সময়ে নৈর্বাচনিক ও ঐচ্ছিক বিষয় নির্বাচন করতে পারবে।’

প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান বলেন, ‘এতে বিজ্ঞান, ব্যবসা কিংবা মানবিক বিভাগের যে বিষয় পড়বেন, সে পথ উন্মুক্ত থাকবে। উচ্চশিক্ষায় প্রবেশের লক্ষ্যেও বিষয় নির্বাচন করতে পারবেন শিক্ষার্থী।’ উচ্চ মাধ্যমিক ও এর পরবর্তী সময়ে বিশেষায়িত ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পেশাগত প্রস্তুতি নিতে পারবে বলেও তিনি মনে করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

উচ্চ মাধ্যমিকেও থাকছে না কোনো বিভাগ, শিক্ষা হবে কর্মমুখী

আপডেট টাইম : ০২:৫৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী ২০২২ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকেও থাকছে না মানবিক, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগ। নতুন নিয়মে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন ছাড়াই পড়বেন শিক্ষার্থীরা। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখায় এই প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে উচ্চশিক্ষায় প্রবেশে পছন্দের বিষয় ভর্তিচ্ছুদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এর  আগে গত ২৫ নভেম্বর মাধ্যমিকেরও বিভাগ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল সরকার। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দশম শ্রেণির পাঠ্য থেকে মাধ্যমিকের পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

নতুন রূপরেখা অনুযায়ী, শিক্ষাক্ষেত্রে পাঁচটি ধাপ রয়েছে। সেগুলো হলো, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা। এছাড়া, প্রস্তাবিত কারিকুলাম অনুযায়ী মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা সব ধরনের বিষয় নিয়ে পড়বে দশম শ্রেণি পর্যন্ত। এই স্তরের শিক্ষাক্রমে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ থাকবে না।

রূপরেখায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে আবশ্যিক বিষয়ের জন্য বরাদ্দ থাকবে মোট শিখন সময়ের ২৫ শতাংশ। আর নৈর্বাচনিক তিনটি বিষয়ের জন্য মোট শিখন সময়ের ৭৫ শতাংশ সময় বরাদ্দ থাকবে। পাশাপাশি একটি ঐচ্ছিক প্রায়োগিক বিষয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আলাদা সময় বরাদ্দ করবে।

এ বিষয়ে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান বলেন, ‘একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের বিভাজন থাকবে না। তবে শিক্ষার্থীরা বিষয়গুলো পড়তে পারবে। আগের মতো গ্রুপ চিহ্নিত করা হবে না। শিক্ষার্থীরা আবশ্যিক তিনটি বিষয় নিয়ে পরবর্তী সময়ে নৈর্বাচনিক ও ঐচ্ছিক বিষয় নির্বাচন করতে পারবে।’

প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান বলেন, ‘এতে বিজ্ঞান, ব্যবসা কিংবা মানবিক বিভাগের যে বিষয় পড়বেন, সে পথ উন্মুক্ত থাকবে। উচ্চশিক্ষায় প্রবেশের লক্ষ্যেও বিষয় নির্বাচন করতে পারবেন শিক্ষার্থী।’ উচ্চ মাধ্যমিক ও এর পরবর্তী সময়ে বিশেষায়িত ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পেশাগত প্রস্তুতি নিতে পারবে বলেও তিনি মনে করেন।