কর্মচারিদের কর্মবিরতিতে অচল নেত্রকোণা জেলা ও উপজেলা কার্যালয়

বিজয় দাস নেত্রকোনাঃ নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন এবং সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয় অচল হয়ে পড়েছে। এসব অফিসের (১১-১৬) গ্রেডের কর্মচারীদের পদবী পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড উন্নীতকরণের দাবীতে কর্মবিরতিতে যাওয়ায় এই অচলাবস্থা সৃস্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার সাধারণ জনগণ ।
১৫নভেম্বর হতে চলমান কর্মবিরতির কারণে কর্মকর্তারা নিজ নিজ দপ্তরে উপস্থিত থাকলেও কর্মচারিরা অনুপস্থিত। কর্মচারিরা উপস্থিত না থাকায় জেলা প্রশাসনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছেনা। যেসব দপ্তরে কর্মচারিরা বসে রয়েছেন তাদের কাছে কোন কাজে গেলে তারাও কর্মবিরতির কথা বলে দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসনেও একই অবস্থা কর্মকর্তা থাকলেও কর্মচারি নাই। সব স্থানে স্থবিরতা বিরাজ করছে। যাতে প্রয়োজনীয় কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার সাধারণ জনগণ।
আবার সহকারি কমিশনার (ভূমি)র কার্যালয়েও একই অবস্থা কর্মচারিদের বড় একটা অংশ জেলা প্রশাসনের সামনে কর্মবিরতিতে অংশ নিয়ে বসে রয়েছে। ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছেনা।
র্নেত্রকোনা জেলা শহরের সাতপাই এলাকার কদম আলী বলেন,স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য জমি বিক্রি করে ক্রেতার কাছ থেকে আগাম টাকা নিয়েছি । এখন জমি খারিজ করতে না পারায় দলিল করতে পারছি না।
শহরের নাগড়া এলাকার নিতাই সাহা জানান, অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য  অফিসে আবেদন করে কোন সাড়া পাচ্ছি না। পারিবারিক ভাবে চিকিৎসা ও করতে পারছি না। অপারেশন করতে অনেক টাকা দরকার।
বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারি সমিতি (বাকাসস) নেত্রকোণার সভাপতি মো: দেলওয়ারুল হক ভূইয়া ও সাধরণ সম্পাদক সাখাওয়াত জাহান খান হিরু জানান, ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক, সমাজ সেবা, পুলিশ বিভাগ, পরিসংখ্যান, অডিট, কৃষি, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরসহ প্রায় ২১টি বিভাগ, দপ্তর, অধিদপ্তরের পদবী গ্রেড পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন জারী করায় মাঠ প্রশাসনে কর্মরত কর্মচারিদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তারা তাদের ন্যায্য দাবী পুরণের আহবান জানান

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মোঃ কাজী আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। কর্মচারীরা কেউ না থাকলে সব কাজ করা যায় না।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর