হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাকিব মানেই যেন নতুন দিনে, নতুন কিছু। সে ধারাবাহিকতায় এবার সবাইকে চমকে দিয়ে ওপেনিংয়েই নেমে গেলেন তিনি। নিয়মিত ওপেনার ইমরুল কায়েসকে তিন নম্বরে পাঠিয়ে তার জায়গায় ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামেন সাকিব। আর তৃতীয় ওভারের মধ্যেই ছুঁয়ে ফেলেছেন ব্যক্তিগত এক মাইলফলক।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে জেমকন খুলনার হয়ে প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে ১৫ (১৩) ও ১২ (৯) রান করেছিলেন সাকিব। দুই ম্যাচেই আউট হয়েছেন বড় শট খেলতে গিয়ে। আজ (শনিবার) গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে বদলে দিলেন আগের দুই ম্যাচের পরিকল্পনা, নেমে পড়লেন ইনিংসের সূচনা করতে।
তবে সাকিবের ওপেনিংয়ের নামার ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার জন্য। প্রথম ওভারেই দুই ওপেনারের ভুল বুঝাবুঝিতে রানআউটে কাটা পড়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয় (৬ বলে ৬ রান)। তবে দেখেশুনেই খেলতে থাকেন আরেক ওপেনার সাকিব।
চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে লেগ সাইডে আলতো করে ছুঁয়ে দিয়ে নিজের ইনিংসের তৃতীয় রানটি নেন সাকিব। আর এতে পূরণ হয়ে যায় তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৫ হাজার রান। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ও বিশ্বের ৬৫তম ব্যাটসম্যান হিসেবে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে পাঁচ হাজারের মাইলফলকে পৌঁছলেন তিনি। তার আগে বাংলাদেশের তামিম ইকবাল (৫৮৬৪) করেছেন ৫ হাজার রান।
তবে অলরাউন্ড রেকর্ডে সাকিব আল হাসান বিশ্বের মাত্র তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে করেছেন ব্যাট হাতে ৫ হাজার ও বল হাতে ৩০০ উইকেটের রেকর্ড। তার আগে শুধুমাত্র দুই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভো ও আন্দ্রে রাসেল করে দেখিয়েছেন এই কীর্তি। ব্রাভোর নামের পাশে রয়েছে ৬৩৩১ রান ও ৫১২টি উইকেট, রাসেলের রয়েছে ৫৭২৮ রানের পাশাপাশি বরাবর ৩০০টি উইকেট।
চলতি ম্যাচের বোলিং ইনিংস শুরুর আগে সাকিবের উইকেটসংখ্যা ৩৫৫টি। আর ব্যাট হাতেও তিনি সাজঘরে ফিরে গেছেন ঠিক ৫ হাজার রান পূরণ করেই। আগের দুই ম্যাচের মতোই বড় শট খেলতে গিয়ে নাহিদুল ইসলামের বোলিংয়ের মিড অন ও লং অনের মাঝামাঝি জায়গায় মোসাদ্দেক সৈকতের হাতে ধরা পড়েন সাকিব।
এদিকে প্রথম দুই ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে জেমকন খুলনা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৯ রান। বিজয়-সাকিবের পর সাজঘরে ফিরে গেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও (২ বলে ১)। উইকেটে আছেন এখন ইমরুল কায়েস ও জহুরুল ইসলাম।