হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সেবার মান ধরে রাখতে চলতি মাসের ২১ এবং ২২ তারিখ মাদ্রিদ থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বার্সোলোনা শহরে রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকারের নির্দেশনায় দূতাবাস সেবা দিতে যাবে বলে জানা যায় বাংলাদেশ দূতাবাস মাদ্রিদ স্পেনের অফিসিয়াল ফেসবুক পাতা থেকে।
বার্সেলোনা এবং তার সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জানানো যাচ্ছে যে, ২১ নভেম্বর শনিবার এবং ২২ নভেম্বর রোববার বার্সেলোনায় কনস্যুলার সার্ভিস প্রদান করা হবে। সেবা প্রদানের স্থান Avda. Josep Tarradellas, 134 Bajos, 08029 Barcelona. শুধুমাত্র অ্যাপয়েন্টমেন্টের (ছিতা) ভিত্তিতে এ সেবা প্রদান করা হবে।
৬০২৫৬২৫২০ নম্বরে WhatsApp-এ মেসেজ পাঠিয়ে (ফোন করে নয়) এ ছিতা অগ্রিম গ্রহণ করতে হবে। এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে ১৯ নভেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণের জন্য মেসেজ প্রদান করা যাবে। ৬-১২ ঘণ্টার মধ্যে ফিরতি মেসেজে ছিতার সময় জানিয়ে দেয়া হবে। ছিতার জন্য মেসেজে নাম, কাজের বিবরণ, যেমন- পাসপোর্ট ডেলিভারি ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে। পাসপোর্ট ডেলিভারি নেয়ার ক্ষেত্রে ESP নম্বরটি মেসেজে উল্লেখ করতে হবে।
বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতির কারণে বার্সেলোনায় সেবা প্রদানকালীন কোন অ্যাপয়েন্টমেন্ট (ছিতা) প্রদান করা সম্ভব হবে না। তাই পাসপোর্ট ডেলিভারি গ্রহণ, রি-ইস্যু, কাগজপত্র সত্যায়ন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন সত্যায়নসহ যাবতীয় কার্যক্রমের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই অগ্রিম অ্যাপয়েন্টমেন্ট (ছিতা) গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। একজন একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট (ছিতা) নিয়ে একাধিক কাজ করতে পারবেন। পরিবারের একাধিক সদস্যের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের আলাদা অ্যাপয়েন্টমেন্ট (ছিতা) নিতে হবে, তবে শিশুদের ক্ষেত্রে বাবা/মা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেবেন। শুধুমাত্র তথ্য সংগ্রহের জন্য কাউকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেয়া হবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ছিতার জন্য মেসেজ পাঠাবেন তাদের সবাইকে সেবা প্রদান করা হবে।
পাসপোর্ট ডেলিভারি নেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই পুরনো পাসপোর্ট সঙ্গে আনতে হবে এবং স্ত্রী/সন্তান ব্যতীত একজনের পাসপোর্ট অন্যজনকে দেয়া হবে না। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদনের ক্ষেত্রে প্রত্যেককে পূরণকৃত আবেদনপত্র ৩টি, পাসপোর্টের (প্রথম চার পেজ) ফটোকপি ৩ কপি এবং ৬ কপি ছবি আনতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময়ের ১০ মিনিট পূর্বেই উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। উপস্থিত হয়ে ছিতার সিরিয়াল নম্বর বলতে হবে। দূতাবাস থেকে প্রদানকৃত ছিতার সময় পরিবর্তন করা যাবে না এবং নির্ধারিত সময়ে কেউ না এলে ছিতা বাতিল মর্মে গণ্য হবে।
বিদ্যমান করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সেবা গ্রহণকারীদের যথাযথা মাস্ক পরিধান করে, ভিড় পরিহার করে যথাযথ নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা অনুসরণ করে সেবা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। কনস্যুলার সার্ভিসের ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।