বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদে নিয়োগ নিয়ে বানিজ্য,স্বেচ্চাচারিতার অভিযোগ ওঠেছে। বড় অংকের অর্থ আত্নসাৎ করে পছন্দের অযোগ্য লোকজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
মাহবুব আলম নামের একজন চাকরী প্রার্থীর অভিযোগ থেকে জানা যায় তিনি গত ০৬/১১/২০১৪ ইং তারিখে দৈনিক ০৬/১১/২০১৪ ইং তারিখে দৈনিক সমকাল পত্রিকা মারফত নিম্মমান সহকারী পদে আমি আবেদন করে। ৪টি পদ ছিল। যথা (১) সহকারী সচিব (২) নিন্মমান সহকারী, (৩) ক্লাক কাম টাইপিষ্ট (কম্পিউটার অপারেটর) এবং (৪) পিয়ন এর মধ্যে ৩টি পদে ২৭/০২/২০১৫ ইং তারিখে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারীর অভিযোগে ০৯/০২/২০১৫ ইং তাহার সত্যাতা পেয়ে সহকারী সচিব পদের প্রার্থী ডাঃ মোশরেফা ইসলাম নিয়োগ বাতিল করেন অনুষদের সভাপতি এবং সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় (স্বাপকম) ।
অন্য তিনটি পদে ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার পূর্বেই প্রার্থীদের কাছ থেকে তাড়াহুড়া করে স্বাক্ষর করে নেন এবং কর্তৃপক্ষ বলেন, যেহেতু যথাসময়ে ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা সঠিকভাবে নেওয়া হয় নাই এবং সহকারী সচিব পদে পরীক্ষা নেওয়া হয় নাই, তাই নিয়োগ কমিটি আগামী কাল জরুরী সভা করে আপনাদেরকে চিঠি বা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হইবে। প্রার্থীর অভিযোগ প্রার্থীদেরকে কোনকিছু না জানিয়েই উক্ত অনুষদের দাপ্তরিক সচিব ১৬/০৮/২০১৫ইং তারিখে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে গোপনে গভীর রাত্রে নিয়োগ পত্র তৈরী করিয়া পরের দিন সকালে (১৭/০৮/২০১৫ইং) উক্ত নিয়োগপত্র দিয়েই চাকুরীতে যোগদান করান । নিয়োগ প্রাপ্তদের নাম যথাক্রমে ১। দিপংকর, নিম্মমান সহকারী, ২। মোঃ আবুল কালাম আজাদ, কম্পিউটার অপারেটর এবং ৩। মোঃ গোলাম মোস্তফা, পিয়ন।
এত স্বল্প সময়ে চাকুরী অনেক শর্তাবলী পূরণ করে সুদুর কুষ্টিয়া, পাবনা হইতে মাত্র কয়েক ঘন্টা ব্যাবধানে কিভাবে চাকুরীতে যোগদান করেন তাহা অকল্পনীয় মনে হয়। অতপরঃ যোগদান প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে উক্ত অনুষদের দাপ্তরিক সচিব ঐ দিনেই দেড়মাসের ছুুটিতে চলে যান। ইহাতে অতি সহজেই বুঝা যায় যে তাহা অনিয়মতান্ত্রিক। বিশ্বস্থসূত্রে জানা গিয়াছে, নিয়োগপ্রাপ্ত লোকজনের সার্টিফিকেট যথাযথ প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি। ইতিপূর্বের নিয়োগের অনেক অনিয়ম পরিলক্ষিত হইয়াছে।
এ বিষয়ে দাপ্তরিক সচিব ডাঃ মোঃ জাহিদুর রহমান সঠিক উত্তর দিতে ব্যর্থ হন।তিনি বলেন এ বিষয়ে একটি সরকারি তদন্ত চলছে। নিয়োগ প্রাপ্তদের সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে তিনি বরাবরই সহকারি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ইমরুল কায়েসকে জিজ্ঞাসা করতে বলেন। কিন্তু ইমরুল কায়েসও বিষয়টি এড়িয়ে যান।
অভিযোগ দাতার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পরীক্ষা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু থেকে অস্বচ্ছ ছিলো।তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেছি।