ঢাকা ১১:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কোনো সময় অনুমোদন দেয়া হবে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২০
  • ১৯১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যে কোনো সময়ই অনুমোদন দেয়া হবে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এরই মধ্যে কয়েক দফায় পদপ্রত্যাশীদের বায়োডাটা যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করেছেন গঠনের দায়িত্বশীল নেতারা। দলের প্রতি আনুগত্য এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে সংগঠনটিতে পদ দেয়া হবে।

যুবলীগের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির তালিকা এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও যুবলীগের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় কমিটির পরিধি বাড়ানো হয়েছে। তিনি নির্দেশনা দিলেই কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হবে।

যুবলীগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, মূল দল আওয়ামী লীগ থেকে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়ার পর ছোট আকারে কমিটি জমা দেয়া হয়। তবে সেই খসড়া তালিকা ফেরত পাঠানো হয়। পরবর্তীতে কমিটির আকার বাড়িয়ে পুনরায় জমা দেন সংগঠনটির দায়িত্বশীল নেতারা।

গত বছরের ২৩ নভেম্বর যুবলীগের সর্বশেষ কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনের মাধ্যমে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশকে চেয়ারম্যান এবং তৎকালীন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

সম্মেলনের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা থাকলেও বিশ্বব্যাপী মহামারী পরিস্থিতির কারণে সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পর সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করে সংগঠনটি। তারই ধারাবাহিকতায় পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া তালিকার কাজ সম্পন্ন করে সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতারা।

আসন্ন যুবলীগের কমিটি ১৭১ সদস্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার যুবলীগের কমিটিতে চমক থাকবে। দেশব্যাপী জনপ্রিয় এমন বেশ কয়েকজনকে দেখা যাবে। সাবেক ছাত্রলীগ ছাড়াও স্বচ্ছ্ ভাবমূর্তির অধিকারী যুবলীগের সাবেক নেতাদের প্রধান্য থাকবে যুবলীগের কমিটিতে।

এদিকে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেয়ার নির্দেশনার পর থেকে পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাপ বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে পদ প্রত্যাশীদের ভিড় বাড়তে থাকে। এছাড়া দায়িত্বশীল নেতাদের অফিস কিংবা বাসায়ও যেতে থাকেন কেউ কেউ। নেতাকর্মীদের কার্যক্রমে উৎসাহ যোগাতে নিয়মিত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদক।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে পদ প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, কোনো বাণিজ্যের মাধ্যমে এই কমিটি পদ পদবী দেবে না। সুতরাং যারা ত্যাগী, বঞ্চিত এবং যোগ্য তাদেরকে পদ পদবী দেয়া হবে। যারা যুবলীগের সুখ দুঃখে ছিলেন, তাদের সিভি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখে যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাপ্য পদ দেয়া হবে।

কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন প্রসঙ্গে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমাদের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। নেত্রী নির্দেশনা দিলেই অনুমোদন দেয়া হবে। এবারে কমিটির আকার কিছুটা বাড়তে পারে। কমিটিতে সাবেক যুবলীগ নেতাদের পাশাপাশি সাবেক ছাত্রনেতাদেরও প্রাধান্য থাকবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

যে কোনো সময় অনুমোদন দেয়া হবে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

আপডেট টাইম : ১১:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যে কোনো সময়ই অনুমোদন দেয়া হবে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এরই মধ্যে কয়েক দফায় পদপ্রত্যাশীদের বায়োডাটা যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করেছেন গঠনের দায়িত্বশীল নেতারা। দলের প্রতি আনুগত্য এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে সংগঠনটিতে পদ দেয়া হবে।

যুবলীগের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির তালিকা এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও যুবলীগের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় কমিটির পরিধি বাড়ানো হয়েছে। তিনি নির্দেশনা দিলেই কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হবে।

যুবলীগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, মূল দল আওয়ামী লীগ থেকে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়ার পর ছোট আকারে কমিটি জমা দেয়া হয়। তবে সেই খসড়া তালিকা ফেরত পাঠানো হয়। পরবর্তীতে কমিটির আকার বাড়িয়ে পুনরায় জমা দেন সংগঠনটির দায়িত্বশীল নেতারা।

গত বছরের ২৩ নভেম্বর যুবলীগের সর্বশেষ কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনের মাধ্যমে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশকে চেয়ারম্যান এবং তৎকালীন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

সম্মেলনের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা থাকলেও বিশ্বব্যাপী মহামারী পরিস্থিতির কারণে সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পর সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করে সংগঠনটি। তারই ধারাবাহিকতায় পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া তালিকার কাজ সম্পন্ন করে সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতারা।

আসন্ন যুবলীগের কমিটি ১৭১ সদস্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার যুবলীগের কমিটিতে চমক থাকবে। দেশব্যাপী জনপ্রিয় এমন বেশ কয়েকজনকে দেখা যাবে। সাবেক ছাত্রলীগ ছাড়াও স্বচ্ছ্ ভাবমূর্তির অধিকারী যুবলীগের সাবেক নেতাদের প্রধান্য থাকবে যুবলীগের কমিটিতে।

এদিকে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেয়ার নির্দেশনার পর থেকে পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাপ বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে পদ প্রত্যাশীদের ভিড় বাড়তে থাকে। এছাড়া দায়িত্বশীল নেতাদের অফিস কিংবা বাসায়ও যেতে থাকেন কেউ কেউ। নেতাকর্মীদের কার্যক্রমে উৎসাহ যোগাতে নিয়মিত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদক।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে পদ প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, কোনো বাণিজ্যের মাধ্যমে এই কমিটি পদ পদবী দেবে না। সুতরাং যারা ত্যাগী, বঞ্চিত এবং যোগ্য তাদেরকে পদ পদবী দেয়া হবে। যারা যুবলীগের সুখ দুঃখে ছিলেন, তাদের সিভি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখে যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাপ্য পদ দেয়া হবে।

কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন প্রসঙ্গে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমাদের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। নেত্রী নির্দেশনা দিলেই অনুমোদন দেয়া হবে। এবারে কমিটির আকার কিছুটা বাড়তে পারে। কমিটিতে সাবেক যুবলীগ নেতাদের পাশাপাশি সাবেক ছাত্রনেতাদেরও প্রাধান্য থাকবে।