ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ধনী দেশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২০
  • ১৯২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র। চলতি সপ্তাহের তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ভারতের চলতি বছরের জিডিপিকে ছাড়িয়ে যাবে। অথচ মাত্র ৫ বছর আগে ভারত ২৫ ভাগ এগিয়ে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কূটনীতি বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম দ্য ডিপ্লোম্যাটের এক প্রতিবেদনে এ পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে।

এই পরিবর্তনে বড় একটি ভূমিকা রেখেছে চলমান মহামারি করোনাভাইরাস। ভারত যখন করোনা নিয়ন্ত্রণে লড়াই করে যাচ্ছে, বাংলাদেশের তথ্যনির্ভর উদ্ভাবনী জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং দ্রুতবর্ধনশীল ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন অর্থনীতিকে ক্রমবর্ধমান থাকার সুযোগ করে দিয়েছে।

একটি দেশের সক্ষমতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে শুধু মুদ্রা, রফতানি এবং শাসনের দিকে নজর দেয়ার পরিবর্তে এখন থেকে জননিরাপত্তা সক্ষমতা ও জাতীয় সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকেও প্রাধান্য দেয়া হবে। জিডিপি র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের এই বড় সাফল্যের ক্ষেত্রে কেবল নিজেদের প্রবৃদ্ধিই অবদান রেখেছে তা নয়, করোনা সংকট মোকাবিলায় জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের ধারাবাহিক ব্যর্থতাও বেশ বড় ভূমিকা রেখেছে।

মহামারির মধ্যেও একটি দেশ কীভাবে তার অর্থনীতির স্রোতকে স্বাভাবিক রাখতে পারে, তার একটি উদাহরণ চীন। দেশটিতে জনগণের ক্রয় ক্ষমতা এরই মধ্যে মহামারির পূর্ব অবস্থায় ফিরে এসেছে এবং দেশটির জিডিপি হ্রাস পাওয়ার বদলে ত্রৈমাসিকের শেষ প্রান্তিকে এসে পাঁচ শতাংশ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে চীন শুধুই একটি চূড়ান্ত উদাহরণ। এই দেশটি ছাড়াও বিশ্বে আরও অনেক দেশ আছে যারা চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসকে সফলভাবে সামাল দিয়ে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রেখেছে এবং এই দেশগুলোর থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো অনেক কিছু শিখতে এবং ভুলত্রুটি এড়াতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ধনী দেশ

আপডেট টাইম : ০৭:৩৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র। চলতি সপ্তাহের তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ভারতের চলতি বছরের জিডিপিকে ছাড়িয়ে যাবে। অথচ মাত্র ৫ বছর আগে ভারত ২৫ ভাগ এগিয়ে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কূটনীতি বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম দ্য ডিপ্লোম্যাটের এক প্রতিবেদনে এ পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে।

এই পরিবর্তনে বড় একটি ভূমিকা রেখেছে চলমান মহামারি করোনাভাইরাস। ভারত যখন করোনা নিয়ন্ত্রণে লড়াই করে যাচ্ছে, বাংলাদেশের তথ্যনির্ভর উদ্ভাবনী জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং দ্রুতবর্ধনশীল ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন অর্থনীতিকে ক্রমবর্ধমান থাকার সুযোগ করে দিয়েছে।

একটি দেশের সক্ষমতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে শুধু মুদ্রা, রফতানি এবং শাসনের দিকে নজর দেয়ার পরিবর্তে এখন থেকে জননিরাপত্তা সক্ষমতা ও জাতীয় সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকেও প্রাধান্য দেয়া হবে। জিডিপি র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের এই বড় সাফল্যের ক্ষেত্রে কেবল নিজেদের প্রবৃদ্ধিই অবদান রেখেছে তা নয়, করোনা সংকট মোকাবিলায় জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের ধারাবাহিক ব্যর্থতাও বেশ বড় ভূমিকা রেখেছে।

মহামারির মধ্যেও একটি দেশ কীভাবে তার অর্থনীতির স্রোতকে স্বাভাবিক রাখতে পারে, তার একটি উদাহরণ চীন। দেশটিতে জনগণের ক্রয় ক্ষমতা এরই মধ্যে মহামারির পূর্ব অবস্থায় ফিরে এসেছে এবং দেশটির জিডিপি হ্রাস পাওয়ার বদলে ত্রৈমাসিকের শেষ প্রান্তিকে এসে পাঁচ শতাংশ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে চীন শুধুই একটি চূড়ান্ত উদাহরণ। এই দেশটি ছাড়াও বিশ্বে আরও অনেক দেশ আছে যারা চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসকে সফলভাবে সামাল দিয়ে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রেখেছে এবং এই দেশগুলোর থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো অনেক কিছু শিখতে এবং ভুলত্রুটি এড়াতে পারে।