ঢাকা ০৭:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অধ্যক্ষ নেহাল স্যারকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা মহাপরিচালক পদে দেখতে চাই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০
  • ১৬৭ বার

দেশের সেরা কলেজের সেরা অধ্যক্ষ নেহাল আহমদকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে দেখতে চাই। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে আমরা জেনেছি করোনাকালে নেয়া অনেক পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: মাহবুব হোসেনসহ  শিক্ষা প্রশাসনের সবাই আমাদের প্রিয় অধ্যক্ষের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

করোনাকালে সারাদেশের পড়াশোনা যখন স্থবির ঠিক তখনই ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান শুরু ও পরীক্ষা নিয়ে পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক নেহাল স্যার। তাঁর নানা উদ্যোগের প্রশংসা ও বাস্তবায়নে সার্বিক দিক নির্দেশনা ও সহযোগীতা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা, দীপু মনি।  গত ১ এপ্রিল থেকে কলেজটি অনলাইন ক্লাস শুরু করেছে। যা করোনা পরিস্থিতিতে দেশে প্রথম। ঢাকা কলেজের ফেসবুক পেইজে প্রচারিত ক্লাসগুলোতে উপকৃত হয়েছে দেশের উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের কয়েক লাখ শিক্ষার্থী। ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নেহাল আহমেদের এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকরা। করোনাকালে ‘হিরো অধ্যক্ষ’ হিসেবে সারাদেশে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।

২০০১ সালের অক্টোবর মাসে বিএনপি-জামাত সরকার ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে নেহাল স্যারকে সরকারি জগন্নাথ কলেজ থেকে ঢাকার বাইরের একটি কলেজে বদলি করা হয়। ২০০৯ সালে ফের আওয়ামী লীগ ক্ষমতার  আসার পর তাঁকে বদলি করে ঢাকা কলেজে আনা হয়।

কি বলেন নেহাল স্যারের সহকর্মীরা:

কিছুদিন আগে ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হাবিবুর রহমান লিখেছেন, ‘ঢাকা কলেজের কাজপাগল সম্মানিত অধ্যক্ষ প্রফেসর নেহাল আহমেদ অনলাইন শিক্ষা ও পরীক্ষা কার্যক্রমে যে ভূমিকা রেখেছেন তা বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল। ধন্যবাদ তাঁকে।’

বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আই কে সেলিম উল্ল্যাহ খোন্দকার ঢাকা কলেজের অনলাইন ক্লাস নিয়ে লিখেছেন, ‘অধ্যক্ষ হলেন একজন লিডার। সীমাবদ্ধতা আছে, তবুও তিনিই পারেন প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে। অধ্যক্ষ নেহাল আহমেদের নেতৃত্বে ঢাকা কলেজ করোনাকালে প্রথম থেকেই ইন্টারের ক্লাস অত্যন্ত সুসংগঠিতভাবে শুরু করে। যেটা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। আমি প্রথমেই অনার্স-মাস্টার্সের ক্লাসগুলো নিয়ে অনলাইনে যাই। ইন্টারে ঢাকা কলেজের ক্লাস শেয়ার শুরু করি। পরে আমার শিক্ষকরা অভ্যস্ত হলে ইন্টারও পুরোদমে শুরু করি। ঢাকা কলেজের আইসিটি বিভাগ অনেক সুসংগঠিত।’

গত ২০ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা কলেজের প্রথম অনলাইন পরীক্ষা। একাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় কলেজের ১ হাজার ১৫৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র একজন অসুস্থ থাকায় অংশ নেয়নি। ৯৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেয়ার বিষয়কে কলেজ প্রশাসনের সফলতা হিসেবে দেখছেন শিক্ষক, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টরা ৷

নিবেদক 

ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীবৃন্দ 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

অধ্যক্ষ নেহাল স্যারকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা মহাপরিচালক পদে দেখতে চাই

আপডেট টাইম : ১১:১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০

দেশের সেরা কলেজের সেরা অধ্যক্ষ নেহাল আহমদকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে দেখতে চাই। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে আমরা জেনেছি করোনাকালে নেয়া অনেক পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: মাহবুব হোসেনসহ  শিক্ষা প্রশাসনের সবাই আমাদের প্রিয় অধ্যক্ষের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

করোনাকালে সারাদেশের পড়াশোনা যখন স্থবির ঠিক তখনই ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান শুরু ও পরীক্ষা নিয়ে পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক নেহাল স্যার। তাঁর নানা উদ্যোগের প্রশংসা ও বাস্তবায়নে সার্বিক দিক নির্দেশনা ও সহযোগীতা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা, দীপু মনি।  গত ১ এপ্রিল থেকে কলেজটি অনলাইন ক্লাস শুরু করেছে। যা করোনা পরিস্থিতিতে দেশে প্রথম। ঢাকা কলেজের ফেসবুক পেইজে প্রচারিত ক্লাসগুলোতে উপকৃত হয়েছে দেশের উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের কয়েক লাখ শিক্ষার্থী। ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নেহাল আহমেদের এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকরা। করোনাকালে ‘হিরো অধ্যক্ষ’ হিসেবে সারাদেশে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।

২০০১ সালের অক্টোবর মাসে বিএনপি-জামাত সরকার ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে নেহাল স্যারকে সরকারি জগন্নাথ কলেজ থেকে ঢাকার বাইরের একটি কলেজে বদলি করা হয়। ২০০৯ সালে ফের আওয়ামী লীগ ক্ষমতার  আসার পর তাঁকে বদলি করে ঢাকা কলেজে আনা হয়।

কি বলেন নেহাল স্যারের সহকর্মীরা:

কিছুদিন আগে ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হাবিবুর রহমান লিখেছেন, ‘ঢাকা কলেজের কাজপাগল সম্মানিত অধ্যক্ষ প্রফেসর নেহাল আহমেদ অনলাইন শিক্ষা ও পরীক্ষা কার্যক্রমে যে ভূমিকা রেখেছেন তা বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল। ধন্যবাদ তাঁকে।’

বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আই কে সেলিম উল্ল্যাহ খোন্দকার ঢাকা কলেজের অনলাইন ক্লাস নিয়ে লিখেছেন, ‘অধ্যক্ষ হলেন একজন লিডার। সীমাবদ্ধতা আছে, তবুও তিনিই পারেন প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে। অধ্যক্ষ নেহাল আহমেদের নেতৃত্বে ঢাকা কলেজ করোনাকালে প্রথম থেকেই ইন্টারের ক্লাস অত্যন্ত সুসংগঠিতভাবে শুরু করে। যেটা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। আমি প্রথমেই অনার্স-মাস্টার্সের ক্লাসগুলো নিয়ে অনলাইনে যাই। ইন্টারে ঢাকা কলেজের ক্লাস শেয়ার শুরু করি। পরে আমার শিক্ষকরা অভ্যস্ত হলে ইন্টারও পুরোদমে শুরু করি। ঢাকা কলেজের আইসিটি বিভাগ অনেক সুসংগঠিত।’

গত ২০ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা কলেজের প্রথম অনলাইন পরীক্ষা। একাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় কলেজের ১ হাজার ১৫৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র একজন অসুস্থ থাকায় অংশ নেয়নি। ৯৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেয়ার বিষয়কে কলেজ প্রশাসনের সফলতা হিসেবে দেখছেন শিক্ষক, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টরা ৷

নিবেদক 

ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীবৃন্দ