ঢাকা ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঁসা-পিতল শাঁখা আর ঢাকের বাদ্যি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৯:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০
  • ১৫৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শরতের কাশফুলে ছেয়ে গেছে চারপাশ। সাদা সাদা টুকরো মেঘে আকাশে রোদ-বৃষ্টির আনাগোনা তাই যখন-তখন। এমনি সময়ে আনন্দময়ীর আগমনী বার্তা ভক্তির সুবাস ছড়িয়ে দিচ্ছে চারপাশে। পূজার প্রস্তুতি চলছে সনাতন  ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে।

এবারও করোনাকালীন এ সংকটকালেও আশা আর প্রত্যাশার শেষ নেই ভক্তদের মনে। নতুন পোশাক কিংবা খাবারের তালিকায় নতুন নতুন নানা পদের প্রস্তুতি যেমন চলছে তেমনি দেবীকে বরণ করে নিতে আর পূজার আন্দকে দ্বিগুণ করতে কাঁসা-পিতলের বাসন কোসন থেকে শুরু করে ঢাকঢোলের প্রস্তুতিপর্ব চলছে ভক্তগণের বাড়িতে বাড়িতে।

এত কিছুর মাঝে নিজেকে সাজাতেও কমতি রাখছেন না সবাই। তাই তো নতুন করে কেনাকাটায় মেতে উঠেছে তরুণ-তরুণীরা। অন্যদিকে ব্যস্ততা বেড়েছে কারিগরদেরও। এছাড়া পূজা মানেই কাঁসা-পিতলের বাসন-কোসন। খাবার পরিবেশন থেকে শুরু করে মায়ের ভোগ সাজানো সব কিছুতেই চাই কাঁসার ছোঁয়া। তাই পিতল ও কাঁসার বাসন-কোসন, হাঁড়ি-পাতিল, গ্লাস-প্লেট, পানির জগ, বোল-বাটি, পট, কুপিবাতি, সুরমাদানি, পানদানি, লবণদানি, বদনা, ছেনি, ট্রে, কলস, টিফিন ক্যারিয়ার ইত্যাদি নানা জিনিসপত্র আবারও নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।

পূজার ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী আর দশমীতে মাকে ভোগ দেয়া আর সবার মাঝে প্রসাদ ভাগ করে দিতে চাই নানা সাইজের বাসন-কোসন। এসব বাসন-কোসনের ক্ষেত্রে বড় কাঁসার প্লেটে অনেক ছোট ছোট কাঁসার বাটি সাজিয়ে খাবার পরিবেশন করা হয়। তার কোনোটিতে থাকে পায়েস, দই, চিড়া, মিষ্টি, মালপোয়া, ফলমূলসহ আরও অনেক কিছু। অন্যদিকে খাবার-দাবার পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে পূজায় বাদ্যির আরতি থেকে শুরু করে বিদায় পর্যন্ত মণ্ডপে মণ্ডপে। এসব ঢোলের তালে তালে মাকে বরণ করে নেন মায়ের সন্তানেরা।

অন্যদিকে এসব ঢোল প্রস্তুত করতেও প্রস্তুতি চলে লম্বা সময়জুড়ে। পূজাজুড়েই ঢাকের বাদ্যির তালে তালে দেবীকে নিয়ে মেতে থাকেন তার ভক্তরা। এছাড়া মায়ের এ আগমনে নিজেকে সাজাতেও থাকে নানা প্রস্তুতি। আর এর মাঝে শাঁখার ব্যবহার চোখে পড়ে সবচেয়ে বেশি। হাতে শাঁখা জোড়া না থাকলে পূজার সাজ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই নানা ধরনের শাঁখার উপস্থিতি দেখি পূজার সাজে। কিছু শাঁখায় দেখা যায় সোনা দিয়ে বাঁধানো।

আবার কিছু শাঁখায় থাকে পুঁতির নানা কাজ। তবে আপনি চাইলে আপনার মনের মতো করে কারিগর দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন শাঁখা। সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি রেডিমেট শাঁখা কিনতে চান তবে মাথায় রাখবেন শ্রীলংকান শঙ্খ কাঁটা শাঁখার কথা। এসব শাঁখা দেখতে যেমন চমৎকার তেমনি আপনার যে কোনো সাজের সঙ্গেও মানিয়ে যায় সহজে। তাই পূজার আমেজে নিজেকে সাজাতে আর আয়োজনে কমতি না রাখতে প্রস্তুতিপর্ব সেরে ফেলুন আগেভাগে।

কোথায় পাবেন : ঢাকার শাঁখারীবাজার, গুলশান ডিসিসি মার্কেট, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, স্বামীবাগসহ বিভিন্ন মন্দিরের সামনের স্টেশনারি দোকানগুলোতে সহজেই পেয়ে যাবেন শাঁখা, কাঁসার বাসন-কোসন আর নানা ডিজাইনের ঢোল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কাঁসা-পিতল শাঁখা আর ঢাকের বাদ্যি

আপডেট টাইম : ১১:২৯:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শরতের কাশফুলে ছেয়ে গেছে চারপাশ। সাদা সাদা টুকরো মেঘে আকাশে রোদ-বৃষ্টির আনাগোনা তাই যখন-তখন। এমনি সময়ে আনন্দময়ীর আগমনী বার্তা ভক্তির সুবাস ছড়িয়ে দিচ্ছে চারপাশে। পূজার প্রস্তুতি চলছে সনাতন  ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে।

এবারও করোনাকালীন এ সংকটকালেও আশা আর প্রত্যাশার শেষ নেই ভক্তদের মনে। নতুন পোশাক কিংবা খাবারের তালিকায় নতুন নতুন নানা পদের প্রস্তুতি যেমন চলছে তেমনি দেবীকে বরণ করে নিতে আর পূজার আন্দকে দ্বিগুণ করতে কাঁসা-পিতলের বাসন কোসন থেকে শুরু করে ঢাকঢোলের প্রস্তুতিপর্ব চলছে ভক্তগণের বাড়িতে বাড়িতে।

এত কিছুর মাঝে নিজেকে সাজাতেও কমতি রাখছেন না সবাই। তাই তো নতুন করে কেনাকাটায় মেতে উঠেছে তরুণ-তরুণীরা। অন্যদিকে ব্যস্ততা বেড়েছে কারিগরদেরও। এছাড়া পূজা মানেই কাঁসা-পিতলের বাসন-কোসন। খাবার পরিবেশন থেকে শুরু করে মায়ের ভোগ সাজানো সব কিছুতেই চাই কাঁসার ছোঁয়া। তাই পিতল ও কাঁসার বাসন-কোসন, হাঁড়ি-পাতিল, গ্লাস-প্লেট, পানির জগ, বোল-বাটি, পট, কুপিবাতি, সুরমাদানি, পানদানি, লবণদানি, বদনা, ছেনি, ট্রে, কলস, টিফিন ক্যারিয়ার ইত্যাদি নানা জিনিসপত্র আবারও নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।

পূজার ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী আর দশমীতে মাকে ভোগ দেয়া আর সবার মাঝে প্রসাদ ভাগ করে দিতে চাই নানা সাইজের বাসন-কোসন। এসব বাসন-কোসনের ক্ষেত্রে বড় কাঁসার প্লেটে অনেক ছোট ছোট কাঁসার বাটি সাজিয়ে খাবার পরিবেশন করা হয়। তার কোনোটিতে থাকে পায়েস, দই, চিড়া, মিষ্টি, মালপোয়া, ফলমূলসহ আরও অনেক কিছু। অন্যদিকে খাবার-দাবার পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে পূজায় বাদ্যির আরতি থেকে শুরু করে বিদায় পর্যন্ত মণ্ডপে মণ্ডপে। এসব ঢোলের তালে তালে মাকে বরণ করে নেন মায়ের সন্তানেরা।

অন্যদিকে এসব ঢোল প্রস্তুত করতেও প্রস্তুতি চলে লম্বা সময়জুড়ে। পূজাজুড়েই ঢাকের বাদ্যির তালে তালে দেবীকে নিয়ে মেতে থাকেন তার ভক্তরা। এছাড়া মায়ের এ আগমনে নিজেকে সাজাতেও থাকে নানা প্রস্তুতি। আর এর মাঝে শাঁখার ব্যবহার চোখে পড়ে সবচেয়ে বেশি। হাতে শাঁখা জোড়া না থাকলে পূজার সাজ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই নানা ধরনের শাঁখার উপস্থিতি দেখি পূজার সাজে। কিছু শাঁখায় দেখা যায় সোনা দিয়ে বাঁধানো।

আবার কিছু শাঁখায় থাকে পুঁতির নানা কাজ। তবে আপনি চাইলে আপনার মনের মতো করে কারিগর দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন শাঁখা। সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি রেডিমেট শাঁখা কিনতে চান তবে মাথায় রাখবেন শ্রীলংকান শঙ্খ কাঁটা শাঁখার কথা। এসব শাঁখা দেখতে যেমন চমৎকার তেমনি আপনার যে কোনো সাজের সঙ্গেও মানিয়ে যায় সহজে। তাই পূজার আমেজে নিজেকে সাজাতে আর আয়োজনে কমতি না রাখতে প্রস্তুতিপর্ব সেরে ফেলুন আগেভাগে।

কোথায় পাবেন : ঢাকার শাঁখারীবাজার, গুলশান ডিসিসি মার্কেট, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, স্বামীবাগসহ বিভিন্ন মন্দিরের সামনের স্টেশনারি দোকানগুলোতে সহজেই পেয়ে যাবেন শাঁখা, কাঁসার বাসন-কোসন আর নানা ডিজাইনের ঢোল।