রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া বাইপাস সড়কে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে অবৈধ ভবন, বস্তি ও দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে হাজার হাজার মানুষ গৃহহারা হলেও উচ্ছেদ করা হয়নি আওয়ামী লীগ ক্লাব।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে গত ২ জানুয়ারি পর্যন্ত একাধিকবার এই অভিযান চালানো হয়েছে।
স্থানীয় ও বস্তিবাসী সাধারণ মানুষ জানান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা আফসার উদ্দিন খান এবং দলীয় নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পানি উন্নয়ন বোর্ড এই অফিসটি উচ্ছেদ করতে পারেনি।
স্থানীয় টঙ দোকানী আজিজ অভিযোগ করে বলেন, যেখানে হাজার হাজার গরীব মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে সেখানে কয়েকজন ব্যক্তির জন্য এই অফিস রক্ষার কারণ কি বুঝে আসেনা। এদিকে উচ্ছেদ অভিযানের পর আব্দুল্লাহপুর থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রাস্তার দু’পাশে ধ্বংস স্তূপ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এ সময় সম্বলহীন অনেক দরিদ্র মানুষকে দেখা গেছে খোলা আকাশের নিচে ভাঙ্গা একটি টিনের চালের উপর বসে থাকতে। এসব আসহায় মানুষগুলোর অনেকে গৃহপরিচারিকা ও টঙ দোকানে চায় বিক্রি করেন। আবার কেউ কেউ আব্দুল্লাহপুরের মাছ বাজারে মাছ বিক্রি ও কুলির কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন।
এদেরই একজন আসমা আক্তার (৩৪) বলেন, ‘নেতারা এয়ানে ঘর করছে, আবার তারাই মাংছে মাইজখানে আমাগো সমস্যা করছে। আল্লা হে গো বিচার করব।’
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরা জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক রন্তি দেব গোস্বামীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, উত্তরার আজমপুরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ক্লাব আছে। এছাড়াও উত্তরায় এত জায়গা থাকতে আব্দু্ল্লাহপুরে রাস্তার ওপরই ক্লাব হতে হবে কেন? বলে প্রশ্ন করেন খোদ আওয়ামী লীগ নেতারাও। তারা বলেন, এ ধরনের এক চোখা সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের সুনাম ক্ষুন্ন করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
পাঠকের মতামত:
বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।