ঢাকা ১০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এ অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই : প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১০:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৬
  • ২৭৫ বার

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য কেউ বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে পারবে না। তিনি বলেন, কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না। আমরা এ অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। আজ রবিবার সকালে গণভবনে ত্রিপুরার পাওয়ার, রুরাল অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রী মানিক দে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। ত্রিপুরা থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। উভয় পক্ষ বিদ্যুৎ ক্রয় ও সরবরাহের বাকি পর্যায়গুলো শিগগির সম্পন্ন করবে বলে আশা করেন তিনি।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের আরো বিদ্যুৎ প্রয়োজন। দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে ঐতিহাসিক সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শিল্পায়নের লক্ষ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সীমান্ত হাটের গুরুত্ব তুলে ধরেন। কানেকটিভিটির ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চায় ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর বন্ধ হওয়া সড়ক ও রেলপথগুলো আবার চালু হোক।

যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ডুয়েল গেজ ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত চাইলে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যে এ বন্দর ব্যবহার করতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বিশেষ করে ত্রিপুরা রাজ্যের অবদান ও সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন ত্রিপুরা মন্ত্রী। সড়ক যোগাযোগে বাংলাদেশের উন্নয়নের উচ্ছসিত প্রশংসা করেন তিনি।

২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর ত্রিপুরা সফরের কথা স্মরণ করে মানিক দে বলেন, সেদিন আগরতলায় এক লাখ লোকের সমাবেশ হয়েছিল। ত্রিপুরা থেকে শিগগির বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে বলে জানান মানিক দে। বাংলাদেশের কুমিল্লা সীমান্তের কাছে ত্রিপুরার মনারচরে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে বলে জানান তিনি। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

এ অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১০:১০:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৬

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য কেউ বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে পারবে না। তিনি বলেন, কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না। আমরা এ অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। আজ রবিবার সকালে গণভবনে ত্রিপুরার পাওয়ার, রুরাল অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রী মানিক দে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। ত্রিপুরা থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। উভয় পক্ষ বিদ্যুৎ ক্রয় ও সরবরাহের বাকি পর্যায়গুলো শিগগির সম্পন্ন করবে বলে আশা করেন তিনি।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের আরো বিদ্যুৎ প্রয়োজন। দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে ঐতিহাসিক সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শিল্পায়নের লক্ষ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সীমান্ত হাটের গুরুত্ব তুলে ধরেন। কানেকটিভিটির ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চায় ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর বন্ধ হওয়া সড়ক ও রেলপথগুলো আবার চালু হোক।

যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ডুয়েল গেজ ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত চাইলে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যে এ বন্দর ব্যবহার করতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বিশেষ করে ত্রিপুরা রাজ্যের অবদান ও সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন ত্রিপুরা মন্ত্রী। সড়ক যোগাযোগে বাংলাদেশের উন্নয়নের উচ্ছসিত প্রশংসা করেন তিনি।

২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর ত্রিপুরা সফরের কথা স্মরণ করে মানিক দে বলেন, সেদিন আগরতলায় এক লাখ লোকের সমাবেশ হয়েছিল। ত্রিপুরা থেকে শিগগির বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে বলে জানান মানিক দে। বাংলাদেশের কুমিল্লা সীমান্তের কাছে ত্রিপুরার মনারচরে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে বলে জানান তিনি। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।