ঢাকা ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাতে পাতে মিষ্টি মালাই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০২০
  • ১৯৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রসমালাই যা লাগবে : ছানা ২৫০ গ্রাম, দুধ ৮০০ গ্রাম, চিনি ৭৫০ গ্রাম, এলাচ গুঁড়া ৩ গ্রাম, জাফরান আধা গ্রাম, মিল্কমেড ৫০ গ্রাম, পেস্তা ৮-১০ পিস, গোলাপজল এক চা চামচ ও জাফরান রং এক চিমটি।

যেভাবে করবেন : প্রথমে ছানা ভালো করে হাতে ফেটিয়ে নিন। এবার রসগোল্লার আকারে বানিয়ে নিন। চিনির রস বানিয়ে রাখুন একটু পাতলা করে। এবার বানানো রসগোল্লাগুলো চ্যাপটা করে রসে ছেড়ে দিন ও ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এখন রস থেকে তুলে জলে ডুবিয়ে রাখুন। অল্প সময় একটি পাত্রে দুধ ঘন করে ফুটিয়ে নিন ও পরে তাতে মিল্কমেড, এলাচ গুঁড়া, জাফরান ও গোলাপজলে জাফরান রং গুলিয়ে মিশিয়ে দিন। এরপর জলে থাকা রসগোল্লাগুলো তুলে ভালো করে জল চিপে দুধের শিরায় ডুবিয়ে দিন ও ৩০ মিনিটের মতো ফ্রিজে রেখে দিন। ঠাণ্ডা হয়ে এলে কুঁচানো পেস্তা ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।

চন্দ্রপুলি

যা লাগবে : নারিকেল কোরা একটি, ক্ষোয়াক্ষীর ৫০০ গ্রাম, ছোট এলাচ গুঁড়া ৪ গ্রাম, চিনি ২০০ গ্রাম, কিশমিশ ১০-২০টি, ঘি ১০ গ্রাম ও চন্দ্রপুলির ছাঁচ।

যেভাবে করবেন : একটি পাত্রে চিনি দিয়ে গলতে দিন। আগুনের তাপ বেশি রাখবেন না। গলে যাওয়া চিনিতে নারিকেল কোরা দিয়ে নাড়তে থাকুন। নারিকেল ও চিনি ভালো করে মিশে গেলে ক্ষোয়াক্ষীর দিয়ে ভালো করে মেশাতে হবে। এরপর ভালো করে শুকনো পাক তৈরি করুন। এ মিশ্রণের সঙ্গে এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে দিন ও চন্দ্রপুলির ছাঁচে অল্প করে ঘি মাখিয়ে নিন। মিশ্রণটি ছোট ছোট গোল করে ছাঁচে দিয়ে গড়ে নিন ও প্রত্যেকটির ওপরে একটি করে কিশমিশ সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

ভাপা দই

যা লাগবে : ২ কাপ টকদই, ১ কাপ কনডেন্সড মিল্ক, ২ গ্রাম ছোট এলাচের গুঁড়া, ১০ গ্রাম মাখন ও গোলাপ পাঁপড়ি।

যেভাবে করবেন : একটি পাত্রে দইয়ের পানি ঝরিয়ে নিতে হবে সুতি কাপড়ে ঝুলিয়ে। পানি ঝরানো টকদইটি ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখতে হবে। একটি পাত্রে পানি ঝরানো দই, কনডেন্স মিল্ক ও এলাচের গুঁড়া ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। ছোট ছোট পাত্রে মাখন লাগিয়ে দইয়ের মিশ্রণটি ঢেলে, ট্রেতে সাজিয়ে জলে বসিয়ে স্টিম দিতে হবে। ১৫ মিনিট হালকা আঁচে, ঠাণ্ডা করে গোলাপ পাঁপড়ি দিয়ে পরিবেশন করুন।

লাড্ডু

যা লাগবে : বেসন ২৫০ গ্রাম, চিনি ৫০০ গ্রাম, কাজু ১০০ গ্রাম, কিশমিশ ১০০ গ্রাম, ক্ষোয়া ১৫০ গ্রাম, সাদা তেল ৩০০ গ্রাম, ছোট এলাচ ৫ গ্রাম, গাওয়া ঘি ৭৫ গ্রাম ও চারমগজ (মিষ্টি কুমড়োর বিচি পেষ্ট করা) ৫০ গ্রাম।

যেভাবে করবেন : প্রথমে চিনির রস একটু গাঢ় করে বানিয়ে রাখতে হবে, বেসনের একটি মিশ্রণ বানাতে হবে যেটি খুব গাঢ়ও নয় আবার পাতলাও নয়। ভালো করে ফেটিয়ে নিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে মিশ্রণটি। এ মিশ্রণটি দিয়ে বুঁন্দিয়ার আকারে ভাজতে হবে তেল ও ঘি দিয়ে। ভাজা বুঁন্দিয়াগুলো তৈরি করা রসে দিতে হবে। কাজু, কিশমিশ, এলাচ গুঁড়া ও চারমগজ সব রসে দিয়ে দিতে হবে। পাত্রটা ঢাকা দিয়ে ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিতে হবে। ঠাণ্ডা হলে সেই পাত্রে ক্ষোয়া গ্রেট করে মিশিয়ে দিন ও হাতে একটু ঘি নিয়ে গোল গোল আকারে গোড়ে নিতে হবে ও শেষে অল্প গ্রেট করা ক্ষোয়া ও কাজু দিয়ে পরিবেশন করুন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পাতে পাতে মিষ্টি মালাই

আপডেট টাইম : ১০:২৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রসমালাই যা লাগবে : ছানা ২৫০ গ্রাম, দুধ ৮০০ গ্রাম, চিনি ৭৫০ গ্রাম, এলাচ গুঁড়া ৩ গ্রাম, জাফরান আধা গ্রাম, মিল্কমেড ৫০ গ্রাম, পেস্তা ৮-১০ পিস, গোলাপজল এক চা চামচ ও জাফরান রং এক চিমটি।

যেভাবে করবেন : প্রথমে ছানা ভালো করে হাতে ফেটিয়ে নিন। এবার রসগোল্লার আকারে বানিয়ে নিন। চিনির রস বানিয়ে রাখুন একটু পাতলা করে। এবার বানানো রসগোল্লাগুলো চ্যাপটা করে রসে ছেড়ে দিন ও ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এখন রস থেকে তুলে জলে ডুবিয়ে রাখুন। অল্প সময় একটি পাত্রে দুধ ঘন করে ফুটিয়ে নিন ও পরে তাতে মিল্কমেড, এলাচ গুঁড়া, জাফরান ও গোলাপজলে জাফরান রং গুলিয়ে মিশিয়ে দিন। এরপর জলে থাকা রসগোল্লাগুলো তুলে ভালো করে জল চিপে দুধের শিরায় ডুবিয়ে দিন ও ৩০ মিনিটের মতো ফ্রিজে রেখে দিন। ঠাণ্ডা হয়ে এলে কুঁচানো পেস্তা ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।

চন্দ্রপুলি

যা লাগবে : নারিকেল কোরা একটি, ক্ষোয়াক্ষীর ৫০০ গ্রাম, ছোট এলাচ গুঁড়া ৪ গ্রাম, চিনি ২০০ গ্রাম, কিশমিশ ১০-২০টি, ঘি ১০ গ্রাম ও চন্দ্রপুলির ছাঁচ।

যেভাবে করবেন : একটি পাত্রে চিনি দিয়ে গলতে দিন। আগুনের তাপ বেশি রাখবেন না। গলে যাওয়া চিনিতে নারিকেল কোরা দিয়ে নাড়তে থাকুন। নারিকেল ও চিনি ভালো করে মিশে গেলে ক্ষোয়াক্ষীর দিয়ে ভালো করে মেশাতে হবে। এরপর ভালো করে শুকনো পাক তৈরি করুন। এ মিশ্রণের সঙ্গে এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে দিন ও চন্দ্রপুলির ছাঁচে অল্প করে ঘি মাখিয়ে নিন। মিশ্রণটি ছোট ছোট গোল করে ছাঁচে দিয়ে গড়ে নিন ও প্রত্যেকটির ওপরে একটি করে কিশমিশ সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

ভাপা দই

যা লাগবে : ২ কাপ টকদই, ১ কাপ কনডেন্সড মিল্ক, ২ গ্রাম ছোট এলাচের গুঁড়া, ১০ গ্রাম মাখন ও গোলাপ পাঁপড়ি।

যেভাবে করবেন : একটি পাত্রে দইয়ের পানি ঝরিয়ে নিতে হবে সুতি কাপড়ে ঝুলিয়ে। পানি ঝরানো টকদইটি ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখতে হবে। একটি পাত্রে পানি ঝরানো দই, কনডেন্স মিল্ক ও এলাচের গুঁড়া ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। ছোট ছোট পাত্রে মাখন লাগিয়ে দইয়ের মিশ্রণটি ঢেলে, ট্রেতে সাজিয়ে জলে বসিয়ে স্টিম দিতে হবে। ১৫ মিনিট হালকা আঁচে, ঠাণ্ডা করে গোলাপ পাঁপড়ি দিয়ে পরিবেশন করুন।

লাড্ডু

যা লাগবে : বেসন ২৫০ গ্রাম, চিনি ৫০০ গ্রাম, কাজু ১০০ গ্রাম, কিশমিশ ১০০ গ্রাম, ক্ষোয়া ১৫০ গ্রাম, সাদা তেল ৩০০ গ্রাম, ছোট এলাচ ৫ গ্রাম, গাওয়া ঘি ৭৫ গ্রাম ও চারমগজ (মিষ্টি কুমড়োর বিচি পেষ্ট করা) ৫০ গ্রাম।

যেভাবে করবেন : প্রথমে চিনির রস একটু গাঢ় করে বানিয়ে রাখতে হবে, বেসনের একটি মিশ্রণ বানাতে হবে যেটি খুব গাঢ়ও নয় আবার পাতলাও নয়। ভালো করে ফেটিয়ে নিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে মিশ্রণটি। এ মিশ্রণটি দিয়ে বুঁন্দিয়ার আকারে ভাজতে হবে তেল ও ঘি দিয়ে। ভাজা বুঁন্দিয়াগুলো তৈরি করা রসে দিতে হবে। কাজু, কিশমিশ, এলাচ গুঁড়া ও চারমগজ সব রসে দিয়ে দিতে হবে। পাত্রটা ঢাকা দিয়ে ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিতে হবে। ঠাণ্ডা হলে সেই পাত্রে ক্ষোয়া গ্রেট করে মিশিয়ে দিন ও হাতে একটু ঘি নিয়ে গোল গোল আকারে গোড়ে নিতে হবে ও শেষে অল্প গ্রেট করা ক্ষোয়া ও কাজু দিয়ে পরিবেশন করুন।