ঢাকা ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাজরীনের মালিকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৬
  • ২৫৪ বার

তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে একশ ১১ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেলোয়ার হোসেনসহ ১৩জনের বিরুদ্ধে ঘটনার তিন বছর পর দুই জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

রোববার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা জজ এস এম সাইফুল ইসলাম দুই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

সাক্ষীরা হলেন, মামলার বাদী ও তৎকালীন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম ও একই থানার অপর উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজালাল। শাহজালাল ঘটনার সময় ওই এলাকায় কর্মরত ছিলেন।

তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, দেলোয়ারের স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, প্রতিষ্ঠানটির লোডার শামীম, স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমিন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি সুপার ভাইজার আল আমিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, নিরাপত্তারক্ষী রানা ওরফে আনোয়ারুল, ফ্যাক্টরি ব্যবস্থাপক আব্দুর রাজ্জাক, ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মোবারক হোসেন মঞ্জুর ও শহীদুজ্জামান দুলাল। আসামিদের মধ্যে রানা, রাজ্জাক, মঞ্জুর ও দুলাল পলাতক রয়েছে।

মামলাটি তদন্তের পর ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ১৩জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পুলিশের পরিদর্শক একেএম মহসীনুজ্জামন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ভবনটির নকশায় ত্রুটি ও জরুরী নির্গমনের পথ ছিলনা। আগুন লাগার পর শ্রমিকরা বাইরে বের হতে চাইলে নিরাপত্তা কর্মীরা আগ্নিকাণ্ডকে অগ্নিনির্বাপন মহড়া বলে শ্রমিকদের কাজে ফেরত পাঠিয়ে কাঁচিগেট লাগিয়ে দেয়।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে একশ ১১জন পোশাক শ্রমিক মারা যান। আহত হন একশ চারজন শ্রমিক। মরদেহ শনাক্ত হওয়ায় ৫৮জনকে তাদের আত্মীয় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকী ৫৩ জনের মরদেহ শনাক্ত না হওয়ায় তাদের জুরাইন কবর স্থানে দাফন করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

তাজরীনের মালিকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ

আপডেট টাইম : ১০:০৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৬

তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে একশ ১১ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেলোয়ার হোসেনসহ ১৩জনের বিরুদ্ধে ঘটনার তিন বছর পর দুই জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

রোববার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা জজ এস এম সাইফুল ইসলাম দুই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

সাক্ষীরা হলেন, মামলার বাদী ও তৎকালীন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম ও একই থানার অপর উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজালাল। শাহজালাল ঘটনার সময় ওই এলাকায় কর্মরত ছিলেন।

তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, দেলোয়ারের স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, প্রতিষ্ঠানটির লোডার শামীম, স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমিন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি সুপার ভাইজার আল আমিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, নিরাপত্তারক্ষী রানা ওরফে আনোয়ারুল, ফ্যাক্টরি ব্যবস্থাপক আব্দুর রাজ্জাক, ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মোবারক হোসেন মঞ্জুর ও শহীদুজ্জামান দুলাল। আসামিদের মধ্যে রানা, রাজ্জাক, মঞ্জুর ও দুলাল পলাতক রয়েছে।

মামলাটি তদন্তের পর ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ১৩জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পুলিশের পরিদর্শক একেএম মহসীনুজ্জামন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ভবনটির নকশায় ত্রুটি ও জরুরী নির্গমনের পথ ছিলনা। আগুন লাগার পর শ্রমিকরা বাইরে বের হতে চাইলে নিরাপত্তা কর্মীরা আগ্নিকাণ্ডকে অগ্নিনির্বাপন মহড়া বলে শ্রমিকদের কাজে ফেরত পাঠিয়ে কাঁচিগেট লাগিয়ে দেয়।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে একশ ১১জন পোশাক শ্রমিক মারা যান। আহত হন একশ চারজন শ্রমিক। মরদেহ শনাক্ত হওয়ায় ৫৮জনকে তাদের আত্মীয় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকী ৫৩ জনের মরদেহ শনাক্ত না হওয়ায় তাদের জুরাইন কবর স্থানে দাফন করা হয়।