ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ পুতিনের জন্মদিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০২০
  • ১৬৯ বার

2263340 13.08.2013 13 августа 2013. Президент России Владимир Путин во время российско-азербайджанских переговоров в государственной резиденции президента Азербайджана "Загульба". Михаил Климентьев/РИА Новости

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্বে ক্ষমতাধর ব্যাক্তি ভ্লাদিমির পুতিনের জন্মদিন আজ। বর্তমান বিশ্বে হাতেগোনা যে কয়েকজন নেতা সম্পূর্ণ নিজের মত করে চলার ও দেশকে নিজের মত করে পরিচালিত করার সাহস রাখেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাদের অন্যতম। অনেকের মতেই বর্তমান বিশ্বের এক নম্বর ক্ষমতাধর ব্যক্তি হচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তার দৃঢ়চেতা ও শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধি দিয়ে তিনি রাশিয়ার রাজনীতিবিদ এবং সরকারী কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অসততাকে লাগাম পরিয়ে রেখেছেন।

ভ্লাদিমির ‘ভ্লাদিমিরোভিচ’ পুতিন ১৯৫২ সালের ৭ অক্টোবর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের লেলিনগ্রাদে খুবই সাধারন এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

বড় হওয়ার সমস্ত গুন ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট নিয়ে জন্মালেও শৈশবে পুতিন ছিলেন মারাত্মক দুষ্টু ও পড়াশুনায় অমনযোগী। বাল্যকালে তাকে রীতিমত একপ্রকার লাগাম পরিয়ে রাখতে হত। কিন্তু একটি উপলব্ধিই তার মাঝে বিরাট এক পরিবর্তন এনে দেয় যা ছিল এক ঐতিহাসিক যাত্রার প্রথম ধাপ।

নিজের বেড়ে ওঠার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পুতিন একবার বলেছিলেন– ‘আমি খুব সাধারন একটি পরিবার থেকে এসেছি। (একটি সাধারন পরিবারের সন্তান হিসেবেই) আমার জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছি। আমি নিজেও একজন স্বাভাবিক সাধারন মানুষের মত জীবন কাটিয়েছি – এবং সব সময়েই সেই বিষয়টা বজায়ে রেখেছি।’

পুতিনের মা মারিয়া শিলোমোভা অসম্ভর রকমের দয়ালু এবং নরম মনের একজন মানুষ ছিলেন। বাবা ভ্লাদিমির পুতিন প্রথম জীবনে একজন যোদ্ধা ছিলেন।

প্রথম মেয়াদে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দারুন সফলতা ও সাধারন রাশিয়ানদের মাঝে দারুন জনপ্রিয়তা অর্জন করার পর ২০০৪ সালের ৪ মার্চ পুতিন আবারও রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ৮ মে পুতিন দ্বিতীয়বারের মত রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান।

পুতিনের মতে জনগনই একজন প্রধানমন্ত্রীর মনযোগের কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিৎ। প্রশাসনকে অবশ্যই জনগনের সমর্থন অর্জন করতে হবে। যদি সেই সমর্থন তারা না পান, তাহলে ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকারই তাদের নেই। পুতিনের এই মনোভাব ধারন করা এবং সেই মনোভাবকে কাজে পরিনত করার কারনেই রাশিয়ার সাধারন মানুষের মাঝে তাঁর এতটা জনপ্রিয়তা।

একজন কেজিবি গুপ্তচর, যাকে একটা সময়ে কেউই চিনত না, নব্বই এর দশকে এসে তিনিই হয়ে উঠলেন রাশিয়ার সবথেকে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। দেশের অভ্যন্তরে ভ্লাদিমির পুতিনের গ্রহনযোগ্যতার রেটিং ৮৬ শতাংশ, যেখানে আমেরিকার একজন রাষ্ট্রপতি ৫০ এর ঘর ছুঁতে পারলেই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আজ পুতিনের জন্মদিন

আপডেট টাইম : ১১:০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্বে ক্ষমতাধর ব্যাক্তি ভ্লাদিমির পুতিনের জন্মদিন আজ। বর্তমান বিশ্বে হাতেগোনা যে কয়েকজন নেতা সম্পূর্ণ নিজের মত করে চলার ও দেশকে নিজের মত করে পরিচালিত করার সাহস রাখেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাদের অন্যতম। অনেকের মতেই বর্তমান বিশ্বের এক নম্বর ক্ষমতাধর ব্যক্তি হচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তার দৃঢ়চেতা ও শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধি দিয়ে তিনি রাশিয়ার রাজনীতিবিদ এবং সরকারী কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অসততাকে লাগাম পরিয়ে রেখেছেন।

ভ্লাদিমির ‘ভ্লাদিমিরোভিচ’ পুতিন ১৯৫২ সালের ৭ অক্টোবর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের লেলিনগ্রাদে খুবই সাধারন এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

বড় হওয়ার সমস্ত গুন ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট নিয়ে জন্মালেও শৈশবে পুতিন ছিলেন মারাত্মক দুষ্টু ও পড়াশুনায় অমনযোগী। বাল্যকালে তাকে রীতিমত একপ্রকার লাগাম পরিয়ে রাখতে হত। কিন্তু একটি উপলব্ধিই তার মাঝে বিরাট এক পরিবর্তন এনে দেয় যা ছিল এক ঐতিহাসিক যাত্রার প্রথম ধাপ।

নিজের বেড়ে ওঠার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পুতিন একবার বলেছিলেন– ‘আমি খুব সাধারন একটি পরিবার থেকে এসেছি। (একটি সাধারন পরিবারের সন্তান হিসেবেই) আমার জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছি। আমি নিজেও একজন স্বাভাবিক সাধারন মানুষের মত জীবন কাটিয়েছি – এবং সব সময়েই সেই বিষয়টা বজায়ে রেখেছি।’

পুতিনের মা মারিয়া শিলোমোভা অসম্ভর রকমের দয়ালু এবং নরম মনের একজন মানুষ ছিলেন। বাবা ভ্লাদিমির পুতিন প্রথম জীবনে একজন যোদ্ধা ছিলেন।

প্রথম মেয়াদে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দারুন সফলতা ও সাধারন রাশিয়ানদের মাঝে দারুন জনপ্রিয়তা অর্জন করার পর ২০০৪ সালের ৪ মার্চ পুতিন আবারও রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ৮ মে পুতিন দ্বিতীয়বারের মত রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান।

পুতিনের মতে জনগনই একজন প্রধানমন্ত্রীর মনযোগের কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিৎ। প্রশাসনকে অবশ্যই জনগনের সমর্থন অর্জন করতে হবে। যদি সেই সমর্থন তারা না পান, তাহলে ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকারই তাদের নেই। পুতিনের এই মনোভাব ধারন করা এবং সেই মনোভাবকে কাজে পরিনত করার কারনেই রাশিয়ার সাধারন মানুষের মাঝে তাঁর এতটা জনপ্রিয়তা।

একজন কেজিবি গুপ্তচর, যাকে একটা সময়ে কেউই চিনত না, নব্বই এর দশকে এসে তিনিই হয়ে উঠলেন রাশিয়ার সবথেকে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। দেশের অভ্যন্তরে ভ্লাদিমির পুতিনের গ্রহনযোগ্যতার রেটিং ৮৬ শতাংশ, যেখানে আমেরিকার একজন রাষ্ট্রপতি ৫০ এর ঘর ছুঁতে পারলেই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন।