হাওর বার্তা ডেস্কঃ নবীগঞ্জের আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন। গতকাল দায়েরকৃত মামলায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ৩ জনকে অজ্ঞাত করে মোট ৬ জনকে আসামি করা হয়। সোমবার রাতভর ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য নিয়ে চলে নানা নাটকীয়তা। রাতভর গৃহবধূ ও তার স্বামীকে নবীগঞ্জ থানায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। অপরদিকে সোমবার গভীর রাতে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান পরিচালনা করছে। মামলা ও পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার সন্ধ্যায় সিএনজি যোগে শেরপুর থেকে মজলিসপুর যাচ্ছিলেন ওই গৃহবধূ।
এ সময় মজলিসপুর না নামিয়ে গৃহবধূকে হাত-পা, মুখ বেঁধে রাতভর বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায় সিএনজি শ্রমিকরা। পরে আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের একটি পরিত্যক্ত ভবনে এনে ধর্ষণ করে। সারা রাত ধর্ষণ করে সকালে সিএনজিযোগে আবার তাকে আত্মীয়র বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর স্থানীয় কিছু মাতব্বরা রফাদফার চেষ্টা চালায়। সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যেও গ্রুপিং থাকায় সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন পুলিশের এসএসপি, ওসিসহ একাধিক কর্মকর্তা। পুলিশকে দেয়া জবানবন্দিতে একেক বার একেক ধরনের তথ্য দেন মহিলা। এতে পুলিশ বিভ্রান্তিতে পড়ে। বিভিন্ন সূত্র মতে- ঘটনার সাথে জড়িত কয়েকজন যুবক সিএনজি শ্রমিক। এ নিয়ে নবীগঞ্জ-বাহুবলের সার্কেল এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী বলেন, ওই গৃহবধূর ভিন্নধর্মী বক্তব্যের জন্য মূল ঘটনাটি উদঘাটন করতে আমাদের বিলম্ভ হচ্ছে। আমরা নিবিড়ভাবে তদন্ত করে মূল ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা করছি। ধর্ষিতা গৃহবধূ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের কালাভরপুর গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার সৈয়দপুর বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। কয়েক দিন আগে সে রহস্য জনকভাবে নিখোঁজ হয়।