ঢাকা ০৬:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হারিয়ে যাওয়ার ২০ বছর পর অবশেষে ফিরলেন জোহরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪২:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০
  • ১৮৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হারিয়ে যাওয়ার ২০ বছর পর অবশেষে পরিবারের কাছে ফিরেছেন জোহরা খাতুন আসমা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের আসমা জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে দীর্ঘদিন পর নিজের মা-বাবা, ভাই-বোনের খোঁজ পেলেন।

গতকাল রবিবার দুপুরে নোয়াখালী পৌরসভার কনভেনশন হলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আসমাকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন নোয়াখালীর মেয়র শহিদ উল্লাহ খাঁন সোহেল। এ সময় জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, আসমার আশ্রয়দাতা মনোয়ারা বেগম ও বিবি কুলসুম সীমা উপস্থিত ছিলেন।

২০০১ সালে চট্টগ্রামে হারিয়ে যাওয়া শিশু আসমাকে একটি পরিবার বাসায় কাজ করাতে নিয়ে যায়। গৃহকর্ত্রী একদিন মারধর করলে আসমা সেই বাসা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। পরে নোয়াখালীর ফেরদৌসী নামের এক নারী আসমাকে কয়েক দিন নিজের হেফাজতে রাখেন, কিন্তু কেউ খোঁজ নিচ্ছে না দেখে তিনি আসমাকে নিজের এলাকা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাসপুর গ্রামে নিয়ে আসেন। এরপর নিয়তি তাঁকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান।

তিন বছর আগে বিয়ে করেন তিনি। আসমার ঘরে রয়েছে একটি কন্যাসন্তান।

পরবর্তী সময়ে নোয়াখালীর স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রচেষ্টায় আসমা খুঁজে পান পরিবারকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

হারিয়ে যাওয়ার ২০ বছর পর অবশেষে ফিরলেন জোহরা

আপডেট টাইম : ১০:৪২:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হারিয়ে যাওয়ার ২০ বছর পর অবশেষে পরিবারের কাছে ফিরেছেন জোহরা খাতুন আসমা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের আসমা জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে দীর্ঘদিন পর নিজের মা-বাবা, ভাই-বোনের খোঁজ পেলেন।

গতকাল রবিবার দুপুরে নোয়াখালী পৌরসভার কনভেনশন হলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আসমাকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন নোয়াখালীর মেয়র শহিদ উল্লাহ খাঁন সোহেল। এ সময় জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, আসমার আশ্রয়দাতা মনোয়ারা বেগম ও বিবি কুলসুম সীমা উপস্থিত ছিলেন।

২০০১ সালে চট্টগ্রামে হারিয়ে যাওয়া শিশু আসমাকে একটি পরিবার বাসায় কাজ করাতে নিয়ে যায়। গৃহকর্ত্রী একদিন মারধর করলে আসমা সেই বাসা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। পরে নোয়াখালীর ফেরদৌসী নামের এক নারী আসমাকে কয়েক দিন নিজের হেফাজতে রাখেন, কিন্তু কেউ খোঁজ নিচ্ছে না দেখে তিনি আসমাকে নিজের এলাকা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাসপুর গ্রামে নিয়ে আসেন। এরপর নিয়তি তাঁকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান।

তিন বছর আগে বিয়ে করেন তিনি। আসমার ঘরে রয়েছে একটি কন্যাসন্তান।

পরবর্তী সময়ে নোয়াখালীর স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রচেষ্টায় আসমা খুঁজে পান পরিবারকে।