ঢাকা ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবধানের মাইর নাই, করোনা আমেরিকার প্রেসিডেন্টকেও ছাড়ছে না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৩৮:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০
  • ১৭৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাস ঠেকাতে সাবধানতার কোনো মাইর নাই। সাবধানতা অবলম্বন করলেই কেবল এই ভাইরাসকে ঠেকানো যাবে। শুধু ভ্যাকসিনের মাধ্যমে যে করোনা ঠেকানো যাবে তা না।

তিনি বলেন, আপনারা আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কথা ভাবেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই ভাইরাস কাউকে ছাড়ছে না। ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টারও আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেখানে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসকে অনেক নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। যদি স্বাস্থ্যবিধি বলে মেনে চলি তাহলে আমরা ভালো থাকব।

রোববার (৪ অক্টোবর) জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২০ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও শিশু হাসপাতালে এ ক্যাম্পইনের উদ্বোধন করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু করেন। এর সূচনা হয়েছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে। স্বাধীনতার পরপরই দেখা গেছে, চার শতাংশের বেশি শিশু রাতকানা রোগে ভোগে। অনেকে অন্ধত্ববরণ করে। পরিবারের জন্য জাতির জন্য তারা বোঝা হয়ে যায়। আজকে সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এই ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা উন্নয়নের ফলে আজকে রাতকানা রোগ এক শতাংশের নিচে। আমরা আশা করছি, আগামী দিনে এই রোগ আর থাকবে না।

ভিটামিন মানুষের শরীরের জন্য, বিশেষ করে শিশুর শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সুস্থ থাকার জন্য ভিটামিন ‘এ’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু রাতকানা রোগ নয়, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মাধ্যমে একটি শিশু সুন্দরভাবে শারীরিকভাবে মানসিকভাবে গড়ে উঠতে পারে। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শারীরিকভাবে শিশু ভালোভাবে বেড়ে ওঠে, মানসিকভাবে অনেক মজবুত হয়।

জাহিদ মালেক

জাহিদ মালেক বলেন, একটি শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধ হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম। যেটা পূর্ণ খাবার একটি শিশুর জন্য। কাজেই আমরা আশা করছি, আমাদের মায়েরা তাদের শিশুদের বুকের দুধ পান করাবেন। পাশাপাশি সুষম খাবারও খুবই প্রয়োজন..ডিম, দুধ, মাংসসহ অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার। তার মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে সারাদেশে প্রায় দুই লাখ স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আমাদের প্রায় এক লাখ ২০ হাজার সেন্টার রয়েছে যেখানে ‘এ’ ভিটামিন খাওয়ানো ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে শিশুর মায়েরা তাদের শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবেন। আজকে থেকে শুরু হয়ে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইন চলবে।’

তিনি বলেন, ‘ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ালে শিশু খর্বকায় বা লম্বা হয় না-এটাও কিন্তু কমে আসে। আমাদের দেশে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো ক্যাম্পেইনটি খুবই সফল হয়েছে। প্রায় ৯৮ শতাংশ শিশুরা ভিটামিন ‘এ’ পাচ্ছে। মায়েরা যেন তাদের শিশুদের ভরা পেটে ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ান। অসুস্থ শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াবেন না। সুস্থ হলে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

করোনা মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের সরকার সফল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘গত ৭-৮ মাস আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সফলতার সঙ্গে বৈশ্বিক মারামারি করোনা মোকাবিলা করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ (ডব্লিওএইচও) বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা বিবৃতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার স্বীকৃতি দিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য বড় পাওনা।’

দেশে মৃত্যুহারের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দেখেন (দেশে) মৃত্যুর হার ২০-৩০ এ নেমে এসেছে। ভারতে প্রতিদিন এক হাজার মৃত্যুবরণ করছে। খোদ আমেরিকাতেও এক হাজারের মতো মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। তাদের দেশের জনসংখ্যার চেয়ে আমাদের জনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। সেই হারে আমাদের দেশে মৃত্যুর হার প্রায় এক লাখের বেশি হওয়ার কথা। সেটা হয়নি। এদিক দিয়ে আমরা সফলতা অর্জন করেছি।’

বিভিন্ন সময়ে দেশে বিভিন্ন রকমের সংক্রামক ব্যাধি দেখা দিয়েছে। সোয়াইন ফ্লু, মার্স ফ্লু ভাইরাস, সার্চ ভাইরাস, এশিয়ান ফ্লু-সহ অনেক ধরনের ভাইরাস ইদানীং বেশি হচ্ছে। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি হচ্ছে ভালোভাবে মাস্ক পড়া। ঘনঘন হাত ধোয়া এবং সামাজিক শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। যদিও সেটা আমরা সবসময় পারি না, এটা বজায় রাখতে হবে। তবেই আমরা নিরাপদে থাকব।

Jahid-(1)

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহারা বানু, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আলী নূর, জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আহমেদ মুয়াজ, কোভিড জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. শহীদু্ল্লাহ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আজ রোববার (৪ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন চলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। ক্যাম্পেইন চলাকালে সারাদেশে দুই কোটির বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

এই সময়ের মধ্যে আটদিন এই ক্যাপসুল খাওয়াবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের আওতাধীন জাতীয় পুষ্টি সেবা ও জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান (আইপিএইচএন)।

আগে প্রতিবছর কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়েছে একদিনে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয় মাথায় রেখে এবার একদিনের কর্মসূচি আট দিনব্যাপী চলবে।

এবার এক লাখ ২০ হাজার সেন্টারে দুই লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের স্থায়ী কর্মীরা এই ক্যাপসুল খাওয়াবেন। এ ক্ষেত্রে ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ২৪ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে একটি করে নীল রঙের ক্যাপসুল। আর এক বছর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত বয়সের এক কোটি ৯৩ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে একটি করে লাল রঙের ক্যাপসুল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবধানের মাইর নাই, করোনা আমেরিকার প্রেসিডেন্টকেও ছাড়ছে না

আপডেট টাইম : ০২:৩৮:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাস ঠেকাতে সাবধানতার কোনো মাইর নাই। সাবধানতা অবলম্বন করলেই কেবল এই ভাইরাসকে ঠেকানো যাবে। শুধু ভ্যাকসিনের মাধ্যমে যে করোনা ঠেকানো যাবে তা না।

তিনি বলেন, আপনারা আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কথা ভাবেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই ভাইরাস কাউকে ছাড়ছে না। ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টারও আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেখানে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসকে অনেক নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। যদি স্বাস্থ্যবিধি বলে মেনে চলি তাহলে আমরা ভালো থাকব।

রোববার (৪ অক্টোবর) জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২০ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও শিশু হাসপাতালে এ ক্যাম্পইনের উদ্বোধন করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু করেন। এর সূচনা হয়েছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে। স্বাধীনতার পরপরই দেখা গেছে, চার শতাংশের বেশি শিশু রাতকানা রোগে ভোগে। অনেকে অন্ধত্ববরণ করে। পরিবারের জন্য জাতির জন্য তারা বোঝা হয়ে যায়। আজকে সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এই ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা উন্নয়নের ফলে আজকে রাতকানা রোগ এক শতাংশের নিচে। আমরা আশা করছি, আগামী দিনে এই রোগ আর থাকবে না।

ভিটামিন মানুষের শরীরের জন্য, বিশেষ করে শিশুর শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সুস্থ থাকার জন্য ভিটামিন ‘এ’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু রাতকানা রোগ নয়, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মাধ্যমে একটি শিশু সুন্দরভাবে শারীরিকভাবে মানসিকভাবে গড়ে উঠতে পারে। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শারীরিকভাবে শিশু ভালোভাবে বেড়ে ওঠে, মানসিকভাবে অনেক মজবুত হয়।

জাহিদ মালেক

জাহিদ মালেক বলেন, একটি শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধ হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম। যেটা পূর্ণ খাবার একটি শিশুর জন্য। কাজেই আমরা আশা করছি, আমাদের মায়েরা তাদের শিশুদের বুকের দুধ পান করাবেন। পাশাপাশি সুষম খাবারও খুবই প্রয়োজন..ডিম, দুধ, মাংসসহ অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার। তার মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে সারাদেশে প্রায় দুই লাখ স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আমাদের প্রায় এক লাখ ২০ হাজার সেন্টার রয়েছে যেখানে ‘এ’ ভিটামিন খাওয়ানো ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে শিশুর মায়েরা তাদের শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবেন। আজকে থেকে শুরু হয়ে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইন চলবে।’

তিনি বলেন, ‘ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ালে শিশু খর্বকায় বা লম্বা হয় না-এটাও কিন্তু কমে আসে। আমাদের দেশে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো ক্যাম্পেইনটি খুবই সফল হয়েছে। প্রায় ৯৮ শতাংশ শিশুরা ভিটামিন ‘এ’ পাচ্ছে। মায়েরা যেন তাদের শিশুদের ভরা পেটে ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ান। অসুস্থ শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াবেন না। সুস্থ হলে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

করোনা মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের সরকার সফল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘গত ৭-৮ মাস আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সফলতার সঙ্গে বৈশ্বিক মারামারি করোনা মোকাবিলা করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ (ডব্লিওএইচও) বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা বিবৃতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার স্বীকৃতি দিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য বড় পাওনা।’

দেশে মৃত্যুহারের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দেখেন (দেশে) মৃত্যুর হার ২০-৩০ এ নেমে এসেছে। ভারতে প্রতিদিন এক হাজার মৃত্যুবরণ করছে। খোদ আমেরিকাতেও এক হাজারের মতো মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। তাদের দেশের জনসংখ্যার চেয়ে আমাদের জনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। সেই হারে আমাদের দেশে মৃত্যুর হার প্রায় এক লাখের বেশি হওয়ার কথা। সেটা হয়নি। এদিক দিয়ে আমরা সফলতা অর্জন করেছি।’

বিভিন্ন সময়ে দেশে বিভিন্ন রকমের সংক্রামক ব্যাধি দেখা দিয়েছে। সোয়াইন ফ্লু, মার্স ফ্লু ভাইরাস, সার্চ ভাইরাস, এশিয়ান ফ্লু-সহ অনেক ধরনের ভাইরাস ইদানীং বেশি হচ্ছে। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি হচ্ছে ভালোভাবে মাস্ক পড়া। ঘনঘন হাত ধোয়া এবং সামাজিক শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। যদিও সেটা আমরা সবসময় পারি না, এটা বজায় রাখতে হবে। তবেই আমরা নিরাপদে থাকব।

Jahid-(1)

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহারা বানু, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আলী নূর, জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আহমেদ মুয়াজ, কোভিড জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. শহীদু্ল্লাহ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আজ রোববার (৪ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন চলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। ক্যাম্পেইন চলাকালে সারাদেশে দুই কোটির বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

এই সময়ের মধ্যে আটদিন এই ক্যাপসুল খাওয়াবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের আওতাধীন জাতীয় পুষ্টি সেবা ও জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান (আইপিএইচএন)।

আগে প্রতিবছর কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়েছে একদিনে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয় মাথায় রেখে এবার একদিনের কর্মসূচি আট দিনব্যাপী চলবে।

এবার এক লাখ ২০ হাজার সেন্টারে দুই লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের স্থায়ী কর্মীরা এই ক্যাপসুল খাওয়াবেন। এ ক্ষেত্রে ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ২৪ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে একটি করে নীল রঙের ক্যাপসুল। আর এক বছর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত বয়সের এক কোটি ৯৩ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে একটি করে লাল রঙের ক্যাপসুল।