ঢাকা ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলের মসজিদ উদ্বোধন করবেন কাবা শরীফের ইমাম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০
  • ১৯৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  টাঙ্গাইলের গোপালপুরে শিমলা ইউপির দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে ঝিনাই নদীর তীরে ২০১ গম্বুজের মসজিদ নির্মিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে মসজিদটির নির্মাণ কাজ ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়।

এলাকাবাসীর প্রত্যাশা নির্মাণ শেষ হলে গিনেস রেকর্ড বুকে স্থান করে নেবে ২০১ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ।

জানা গেছে, মসজিদের দ্বিতীয়তলায় প্রধান দরজা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০ মণ পিতল। এখানে একসঙ্গে ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। দ্বিতল এই মসজিদটি নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানের টাইলস, যা মিশর থেকে আনা হয়েছে। মসজিদের ভেতরের দেয়ালের চারদিকে একসারি টাইলস লাগানো হয়েছে, যাতে খণ্ড খণ্ড করে পুরো পবিত্র কোরআন লিপিবদ্ধ। মিহরাবের পাশে লাশ রাখার জন্য হিমাগার তৈরি করা হয়েছে। টাঙ্গাইলে বিশ্বের দ্বিতীয় উঁচু মিনারের ২০১ গম্বুজ মসজিদপ্রায় ১৫ বিঘা জমির ওপর নির্মাণাধীন এই মসজিদটি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলেও এতে সহস্রাধিক বৈদ্যুতিক পাখা যুক্ত করা হবে। মসজিদের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ১৪৪ ফুট করে। দৃষ্টিনন্দন মসজিদটির ছাদের মূল গম্বুজের উচ্চতা ৮১ ফুট। এই গম্বুজের চারপাশ ঘিরে ১৭ ফুট উচ্চতার আরো ২০০টি গম্বুজ তৈরি করা হয়েছে। মসজিদের চার কোনায় রয়েছে ১০১ ফুট উঁচু চারটি মিনার। এছাড়া ৮১ ফুট উচ্চতার আরো চারটি মিনার পাশাপাশি স্থাপন করা হয়েছে।টাঙ্গাইলের ২০১ গম্বুজ মসজিদে জুমার নামাজ বন্ধ – Dainik Amader Shomoy

মসজিদটির উত্তর-পশ্চিম দিকে একটি ছয়তলাবিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে বিনামূল্যে হাসপাতাল, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা থাকবে। এই বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠলে মসজিদ ও নদীর সৌন্দর্য পুরোপুরি উপভোগ করা যায়।

চলতি মহামারির কারণে বেশ কিছুদিন মসজিদটি বন্ধ ছিল। আবার তা চালু হয়েছে এবং যথারীতি নামাজও আদায় হচ্ছে। প্রতিদিনই মসজিদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেক মানুষ দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন।

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, মসজিদের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। বিশ্বের সব মসজিদের চেয়ে এর কারুকাজ অন্যরকম। মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হলে কাবা শরিফের ইমাম এসে নামাজের ইমামতি করে এর উদ্বোধন করবেন।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

টাঙ্গাইলের মসজিদ উদ্বোধন করবেন কাবা শরীফের ইমাম

আপডেট টাইম : ১২:২১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  টাঙ্গাইলের গোপালপুরে শিমলা ইউপির দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে ঝিনাই নদীর তীরে ২০১ গম্বুজের মসজিদ নির্মিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে মসজিদটির নির্মাণ কাজ ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়।

এলাকাবাসীর প্রত্যাশা নির্মাণ শেষ হলে গিনেস রেকর্ড বুকে স্থান করে নেবে ২০১ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ।

জানা গেছে, মসজিদের দ্বিতীয়তলায় প্রধান দরজা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০ মণ পিতল। এখানে একসঙ্গে ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। দ্বিতল এই মসজিদটি নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানের টাইলস, যা মিশর থেকে আনা হয়েছে। মসজিদের ভেতরের দেয়ালের চারদিকে একসারি টাইলস লাগানো হয়েছে, যাতে খণ্ড খণ্ড করে পুরো পবিত্র কোরআন লিপিবদ্ধ। মিহরাবের পাশে লাশ রাখার জন্য হিমাগার তৈরি করা হয়েছে। টাঙ্গাইলে বিশ্বের দ্বিতীয় উঁচু মিনারের ২০১ গম্বুজ মসজিদপ্রায় ১৫ বিঘা জমির ওপর নির্মাণাধীন এই মসজিদটি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলেও এতে সহস্রাধিক বৈদ্যুতিক পাখা যুক্ত করা হবে। মসজিদের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ১৪৪ ফুট করে। দৃষ্টিনন্দন মসজিদটির ছাদের মূল গম্বুজের উচ্চতা ৮১ ফুট। এই গম্বুজের চারপাশ ঘিরে ১৭ ফুট উচ্চতার আরো ২০০টি গম্বুজ তৈরি করা হয়েছে। মসজিদের চার কোনায় রয়েছে ১০১ ফুট উঁচু চারটি মিনার। এছাড়া ৮১ ফুট উচ্চতার আরো চারটি মিনার পাশাপাশি স্থাপন করা হয়েছে।টাঙ্গাইলের ২০১ গম্বুজ মসজিদে জুমার নামাজ বন্ধ – Dainik Amader Shomoy

মসজিদটির উত্তর-পশ্চিম দিকে একটি ছয়তলাবিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে বিনামূল্যে হাসপাতাল, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা থাকবে। এই বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠলে মসজিদ ও নদীর সৌন্দর্য পুরোপুরি উপভোগ করা যায়।

চলতি মহামারির কারণে বেশ কিছুদিন মসজিদটি বন্ধ ছিল। আবার তা চালু হয়েছে এবং যথারীতি নামাজও আদায় হচ্ছে। প্রতিদিনই মসজিদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেক মানুষ দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন।

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, মসজিদের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। বিশ্বের সব মসজিদের চেয়ে এর কারুকাজ অন্যরকম। মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হলে কাবা শরিফের ইমাম এসে নামাজের ইমামতি করে এর উদ্বোধন করবেন।