ঢাকা ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গর্ভাবস্থায় তুলসী খেলে শরীরে যা ঘটে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৮:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০
  • ১৮৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রাকৃতিক দাওয়াই হিসেবে তুলসীর গুরুত্ব অপরিসীম। সেই প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রে এর ব্যবহার হয়ে আসছে। তুলসী এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়াতে ব্যাপকভাবে পাওয়া গেলেও, এর জনপ্রিয়তার কারণে বর্তমানে এটা বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ব্যবহার হচ্ছে।

তুলসীর নানাবিধ গুনাগুণ সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত। তবে গর্ভাবস্থায় তুলসী খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই। যদিও গর্ভাবস্থায় এটি অতিরিক্ত খাওয়ার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে, এমনটাই দাবি করেছেন বিভিন্ন গবেষক। তবে চলুন দেখে নিন গর্ভবতী নারীদের তুলসী খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে-

কতটুকু এবং কীভাবে খাবেন? 

তুলসী পাতা কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন না। রোজ তিন থেকে পাঁচটি করে তুলসী পাতা মধু দিয়ে খেতে পারেন। তবে নিজের শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে ঠিক কতটা পরিমাণে খাওয়া উচিত তা জানতে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তুলসী পাতা খাওয়ার আগে তাকে অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে খাবেন। যাতে পাতায় কোনও নোংরা না থাকে।

গর্ভাবস্থায় তুলসী খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

১) আয়রনের একটা দুর্দান্ত উৎসতুলসী। যা গর্ভবতী মহিলাদের শক্তিশালী ও সক্রিয় রাখার জন্য খুবই জরুরি। এই আয়রন রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা এবং হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। যা অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি রোধ করে।

২) তুলসীর মধ্যে থাকা ভিটামিন-এ ভ্রূণের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিটামিন শিশুর হার্ট, চোখ, মস্তিষ্ক এবং ফুসফুসকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এটি স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক বিকাশে সহায়তা করে।

৩) তুলসী পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। যা শিশুর হাড় এবং কার্টিলেজ গঠনে সহায়তা করে। অন্যদিকে তুলসীতে থাকা ম্যাঙ্গানিজ খুব ভালো একটা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা গর্ভবতী নারীদের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসকে হ্রাস করে। তাদের মধ্যে কোষের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে।

৪) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তুলসী। এটি ভিটামিন এবং খনিজের একটি ভালো উৎস যা গর্ভবতী নারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই, রাইবোফ্লাভিন এবং রয়েছে পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ উপাদাসমূহ। যেগুলো মা এবং শিশুকে বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বর এবং ফুসফুসের সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে তুলসী পাতা।

৫) তুলসীর মধ্যে থাকা প্রয়োজনীয় উপাদান গর্ভাবস্থার সময় হওয়া ব্যথা, যন্ত্রণাগুলো থেকে স্বস্তি দেয়। এছাড়াও এটি মানসিক চাপ হ্রাস করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

গর্ভাবস্থায় তুলসী খেলে শরীরে যা ঘটে

আপডেট টাইম : ০৩:২৮:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রাকৃতিক দাওয়াই হিসেবে তুলসীর গুরুত্ব অপরিসীম। সেই প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রে এর ব্যবহার হয়ে আসছে। তুলসী এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়াতে ব্যাপকভাবে পাওয়া গেলেও, এর জনপ্রিয়তার কারণে বর্তমানে এটা বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ব্যবহার হচ্ছে।

তুলসীর নানাবিধ গুনাগুণ সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত। তবে গর্ভাবস্থায় তুলসী খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই। যদিও গর্ভাবস্থায় এটি অতিরিক্ত খাওয়ার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে, এমনটাই দাবি করেছেন বিভিন্ন গবেষক। তবে চলুন দেখে নিন গর্ভবতী নারীদের তুলসী খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে-

কতটুকু এবং কীভাবে খাবেন? 

তুলসী পাতা কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন না। রোজ তিন থেকে পাঁচটি করে তুলসী পাতা মধু দিয়ে খেতে পারেন। তবে নিজের শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে ঠিক কতটা পরিমাণে খাওয়া উচিত তা জানতে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তুলসী পাতা খাওয়ার আগে তাকে অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে খাবেন। যাতে পাতায় কোনও নোংরা না থাকে।

গর্ভাবস্থায় তুলসী খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

১) আয়রনের একটা দুর্দান্ত উৎসতুলসী। যা গর্ভবতী মহিলাদের শক্তিশালী ও সক্রিয় রাখার জন্য খুবই জরুরি। এই আয়রন রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা এবং হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। যা অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি রোধ করে।

২) তুলসীর মধ্যে থাকা ভিটামিন-এ ভ্রূণের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিটামিন শিশুর হার্ট, চোখ, মস্তিষ্ক এবং ফুসফুসকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এটি স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক বিকাশে সহায়তা করে।

৩) তুলসী পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। যা শিশুর হাড় এবং কার্টিলেজ গঠনে সহায়তা করে। অন্যদিকে তুলসীতে থাকা ম্যাঙ্গানিজ খুব ভালো একটা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা গর্ভবতী নারীদের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসকে হ্রাস করে। তাদের মধ্যে কোষের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে।

৪) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তুলসী। এটি ভিটামিন এবং খনিজের একটি ভালো উৎস যা গর্ভবতী নারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই, রাইবোফ্লাভিন এবং রয়েছে পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ উপাদাসমূহ। যেগুলো মা এবং শিশুকে বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বর এবং ফুসফুসের সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে তুলসী পাতা।

৫) তুলসীর মধ্যে থাকা প্রয়োজনীয় উপাদান গর্ভাবস্থার সময় হওয়া ব্যথা, যন্ত্রণাগুলো থেকে স্বস্তি দেয়। এছাড়াও এটি মানসিক চাপ হ্রাস করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।