ঢাকা ০৮:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৮:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০
  • ২০৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জার্মানিতে বসন্ত আসতে বাকি আরও প্রায় ছয় মাস। তবে তার আগেই সাফল্যের বসন্তে ভাসছে দেশটির শীর্ষস্থানীয় ফুটবল ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। একের পর এক শিরোপা জিতে শরৎকালকেই নিজেদের বসন্ত বানিয়ে রাখছে মিউনিখের ক্লাবটি। সবশেষ তারা জিতেছে জার্মান সুপার কাপের শিরোপা।

করোনাভাইরাসের লকডাউনের পর শুরু হওয়া ফুটবলে ২০১৯-২০ মৌসুমের বুন্দেসলিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছে বায়ার্ন। এর আগেই জিতে রেখেছিল জার্মান কাপ। ফলে পূরণ হয় সে মৌসুমের ইউরোপিয়ান ট্রেবল। শিরোপার এই ধারাবাহিকতা নতুন মৌসুমেও ধরে রেখেছে হান্স ফ্লিকের শিষ্যরা।

তবে জয়টি ঠিক অতটা সহজ ছিল না চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নের জন্য। দুই গোল করে তারা এগিয়ে গেলেও, দুইটি গোলই ফিরিয়ে দিয়েছিল বরুশিয়া। কিন্তু শেষদিকে জশুয়া কিমিচের করা গোলের আর কোনো জবাব দিতে পারেনি কালো-হলুদ জার্সিধারীরা। ফলে ৩-২ গোলের জয়ে শিরোপা আনন্দে মেতেছেন ম্যানুয়েল নয়্যার, থমাস মুলাররা।

ম্যাচের ১৮ মিনিটে প্রথম গোলটি করে বায়ার্ন। আচমকা এক কাউন্টার অ্যাটাকে তড়িৎ গতিতে বরুশিয়ার রক্ষণে হানা দেন তারা। সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলমুখে শট নেন মিডফিল্ডার কোরেন্টিন তোলিসো। যা গোলরক্ষকের পায়ে লেগে আঘাত হানে ক্রসবারে। ফিরতি বলে আলতো করে পা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দেন তোলিসো।

দ্বিতীয় গোলটি পেতে আরও ১৪ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে অ্যালিয়েন্স অ্যারেনায় নিজেদের ঘরের মাঠে খেলতে নামা বায়ার্নকে। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন থমাস মুলার। সময়ের অন্যতম দ্রুতগতির ফুটবলার আলফনসো ডেভিসের মাপা ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে জাল কাঁপান জার্মানির অন্যতম সেরা তারকা মুলার।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ম্যাচের ৫৫ মিনিটের সময় সমতা ফেরান নরওয়েজিয়ান তরুণ আর্লিং ব্রট হালান্ড। থমাস ডেলেনির অসাধারণ এক পাস পেয়ে সেটিকে গোলে রূপান্তর করেন ২০ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড। এর কিছু সময় পর নয়্যারের দৃঢ়তায় ম্যাচে পিছিয়ে পড়া থেকে রক্ষা পায় বায়ার্ন। হালান্ডের দুর্দান্ত এক প্রচেষ্টা অসামান্য দক্ষতায় ফেরান জার্মান গোলরক্ষক।

ম্যাচের সাম্যবস্থা যখন শেষ বাঁশির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন বরুশিয়াকে এক সাগর হতাশায় ডোবান জশুয়া কিমিচ। রবার্ট লেওয়ানডস্কির কাছ থেকে একবার করে বল দেয়া-নেয়া করে ডি-বক্সে ঢুকে গোলমুখে শট নেন কিমিচ। প্রথম দফায় ফিরিয়ে দেন বরুশিয়া গোলরক্ষক। তবে ফিরতি বলে গোল করতে ভুল করেননি কিমিচ। আর এতেই নিশ্চিত হয় বায়ার্নের অষ্টম সুপার কাপ শিরোপা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ

আপডেট টাইম : ১০:০৮:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জার্মানিতে বসন্ত আসতে বাকি আরও প্রায় ছয় মাস। তবে তার আগেই সাফল্যের বসন্তে ভাসছে দেশটির শীর্ষস্থানীয় ফুটবল ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। একের পর এক শিরোপা জিতে শরৎকালকেই নিজেদের বসন্ত বানিয়ে রাখছে মিউনিখের ক্লাবটি। সবশেষ তারা জিতেছে জার্মান সুপার কাপের শিরোপা।

করোনাভাইরাসের লকডাউনের পর শুরু হওয়া ফুটবলে ২০১৯-২০ মৌসুমের বুন্দেসলিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছে বায়ার্ন। এর আগেই জিতে রেখেছিল জার্মান কাপ। ফলে পূরণ হয় সে মৌসুমের ইউরোপিয়ান ট্রেবল। শিরোপার এই ধারাবাহিকতা নতুন মৌসুমেও ধরে রেখেছে হান্স ফ্লিকের শিষ্যরা।

তবে জয়টি ঠিক অতটা সহজ ছিল না চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নের জন্য। দুই গোল করে তারা এগিয়ে গেলেও, দুইটি গোলই ফিরিয়ে দিয়েছিল বরুশিয়া। কিন্তু শেষদিকে জশুয়া কিমিচের করা গোলের আর কোনো জবাব দিতে পারেনি কালো-হলুদ জার্সিধারীরা। ফলে ৩-২ গোলের জয়ে শিরোপা আনন্দে মেতেছেন ম্যানুয়েল নয়্যার, থমাস মুলাররা।

ম্যাচের ১৮ মিনিটে প্রথম গোলটি করে বায়ার্ন। আচমকা এক কাউন্টার অ্যাটাকে তড়িৎ গতিতে বরুশিয়ার রক্ষণে হানা দেন তারা। সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলমুখে শট নেন মিডফিল্ডার কোরেন্টিন তোলিসো। যা গোলরক্ষকের পায়ে লেগে আঘাত হানে ক্রসবারে। ফিরতি বলে আলতো করে পা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দেন তোলিসো।

দ্বিতীয় গোলটি পেতে আরও ১৪ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে অ্যালিয়েন্স অ্যারেনায় নিজেদের ঘরের মাঠে খেলতে নামা বায়ার্নকে। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন থমাস মুলার। সময়ের অন্যতম দ্রুতগতির ফুটবলার আলফনসো ডেভিসের মাপা ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে জাল কাঁপান জার্মানির অন্যতম সেরা তারকা মুলার।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ম্যাচের ৫৫ মিনিটের সময় সমতা ফেরান নরওয়েজিয়ান তরুণ আর্লিং ব্রট হালান্ড। থমাস ডেলেনির অসাধারণ এক পাস পেয়ে সেটিকে গোলে রূপান্তর করেন ২০ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড। এর কিছু সময় পর নয়্যারের দৃঢ়তায় ম্যাচে পিছিয়ে পড়া থেকে রক্ষা পায় বায়ার্ন। হালান্ডের দুর্দান্ত এক প্রচেষ্টা অসামান্য দক্ষতায় ফেরান জার্মান গোলরক্ষক।

ম্যাচের সাম্যবস্থা যখন শেষ বাঁশির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন বরুশিয়াকে এক সাগর হতাশায় ডোবান জশুয়া কিমিচ। রবার্ট লেওয়ানডস্কির কাছ থেকে একবার করে বল দেয়া-নেয়া করে ডি-বক্সে ঢুকে গোলমুখে শট নেন কিমিচ। প্রথম দফায় ফিরিয়ে দেন বরুশিয়া গোলরক্ষক। তবে ফিরতি বলে গোল করতে ভুল করেননি কিমিচ। আর এতেই নিশ্চিত হয় বায়ার্নের অষ্টম সুপার কাপ শিরোপা।