ঢাকা ০৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিফাত হত্যায় স্ত্রী মিন্নিসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৯৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বরগুনায় প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া চার আসামি খালাস পেয়েছেন।

বুধবার দুপুরে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। বহুল আলোচিত এই মামলাটিতে প্রাপ্তবয়স্ক দশজনের রায় ঘোষণা হলো আজ। বাকি ১৪ জন আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় শিশু আদালতে তাদের বিচার চলছে।

অভিযুক্ত দশজনের মধ্যে নয়জন আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। একজন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন। যদিও তিনি আদালতের রায়ে খালাস পেয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাকি আসামিরা হলেন রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ও মো. হাসান। খালাস পেয়েছেন মো. মুসা, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।

রিফাতের স্ত্রী মিন্নি প্রথমে মামলাটির প্রধান সাক্ষী ছিলেন। প্রকাশ্যে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার সময় তিনি সঙ্গে ছিলেন। পরবর্তী সময়ে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যাওয়ায় তাকে আসামি করা হয়। চার্জশিটে তিনি মামলাটির সাত নম্বর আসামি।

বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় ২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বিকাল ৪টায় বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এ হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের দিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ছাড়া সন্দেহভাজন অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

রিফাত হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর থেকে মামলা ভিন্ন দিকে মোড় নেয়।

রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্ত্রী মিন্নিকে ২০ দিন পর আটক করে পুলিশ। দুই দিনের পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মিন্নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রিফাত হত্যায় স্ত্রী মিন্নিসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট টাইম : ০২:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বরগুনায় প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া চার আসামি খালাস পেয়েছেন।

বুধবার দুপুরে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। বহুল আলোচিত এই মামলাটিতে প্রাপ্তবয়স্ক দশজনের রায় ঘোষণা হলো আজ। বাকি ১৪ জন আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় শিশু আদালতে তাদের বিচার চলছে।

অভিযুক্ত দশজনের মধ্যে নয়জন আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। একজন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন। যদিও তিনি আদালতের রায়ে খালাস পেয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাকি আসামিরা হলেন রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ও মো. হাসান। খালাস পেয়েছেন মো. মুসা, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।

রিফাতের স্ত্রী মিন্নি প্রথমে মামলাটির প্রধান সাক্ষী ছিলেন। প্রকাশ্যে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার সময় তিনি সঙ্গে ছিলেন। পরবর্তী সময়ে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যাওয়ায় তাকে আসামি করা হয়। চার্জশিটে তিনি মামলাটির সাত নম্বর আসামি।

বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় ২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বিকাল ৪টায় বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এ হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের দিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ছাড়া সন্দেহভাজন অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

রিফাত হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর থেকে মামলা ভিন্ন দিকে মোড় নেয়।

রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্ত্রী মিন্নিকে ২০ দিন পর আটক করে পুলিশ। দুই দিনের পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মিন্নি।