সম্মানী ভাতার বিপরীতে বাড়ি বানাতে ঋণ পাবেন মুক্তিযোদ্ধারা। এছাড়া জামানতবিহীন স্বল্পসুদে স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের সাইকেল কিনতে ঋণ দেয়া হবে। মঙ্গলবার ব্যাংকার্স সভায় দেশের সকল তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো নতুন প্রোডাক্ট চালু করার মাধ্যমে কনজিউমার ফাইন্যান্সের আওতায় অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) কাজ করবে। আর বিষয়টি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স রুমে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী বলেন, সম্মানী ভাতার বিপরীতে ব্যাংকারদের ঋণ দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া স্কুলগামী ছাত্রীদের সাইকেল কিনতে ঋণ দিতে হবে। তবে বৈঠকে এ বিষয়ে আপত্তি করেছিল ব্যাংকাররা। আপত্তির কারণ হিসাবে তারা দেখান, অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধোর বয়স ৬০ বছরের উপরে। ফলে ঋণ দিলে তা ফেরত পাওয়াটা কঠিন।
বৈঠক শেষে এবিবির চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট্র ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান বলেন, ব্যাংকের বর্তমানে বিপুল পরিমাণ তারল্য রয়েছে। এটি কীভাবে বিনিয়োগ করা যায় সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজ হতে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যাদি যাচাই করতে চার্জ দুই টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিনিয়োগের বিষয়ে এসকে সুর চৌধুরী বলেন, ব্যাংকগুলো বড় বড় বিনিয়োগকারীর প্রতি সব সময় আগ্রহী। বিনিয়োগ খরা কাটাতে হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণ দিতে হবে। এতে করে বিনিয়োগ সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছবে। আর বিনিয়োগ মন্দাও কাটবে। তিনি বলেন, এলসি চালু ও সেটেলমেন্ট ক্ষেত্রে পার্থক্য খতিয়ে দেখতে ব্যাংকারদের বলা হয়েছে। হলমার্ক ঘটনায় ব্যাংকগুলো সোনালী ব্যাংকের স্বীকৃত বিলের বিপরীতে গ্রাহকের অনুকূলে সৃষ্ট ফোর্সড লোনের সুদ আদায় করা যাবে না বলেও জানান তিনি।