ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামাতে নামাজ আদায়ের গুরুত্ব

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৬:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৮৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। এই নামাজগুলো জামাতে পড়ার প্রতি বিশেষভাবে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। জামাতে নামাজ আদায় করার তাগিদ দিয়ে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু করো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৪৩)

২৭ গুণ বেশি সওয়াব : রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘জামাতে নামাজের ফজিলত একাকী নামাজের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি।’ (সহিহ বুখারি)। রাসুলুল্লাহ (সা.) সারা জীবন জামাতের সঙ্গেই নামাজ আদায় করেছেন। এমনকি ইন্তেকালপূর্ব অসুস্থতার সময়ও জামাত ছাড়েননি। সাহাবায়ে কেরামের পুরো জীবনও সেভাবে অতিবাহিত হয়েছে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬২৪)

জাহান্নাম থেকে মুক্তি : আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ৪০ দিন পর্যন্ত প্রথম তাকবিরের সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে দুটি পুরস্কার দান করবেন। এক. জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন। দুই. মুনাফিকের তালিকা থেকে তার নাম কেটে দেবেন। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪১)।

জামাত পরিত্যাগকারীকে তিরস্কার : অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার প্রাণ যাঁর হাতে, তাঁর শপথ করে বলছি, আমার ইচ্ছা হয় আমি কাঠ সংগ্রহ করার নির্দেশ দিই আর নামাজের আজান দেওয়ার জন্য হুকুম দিই। তারপর আমি এক ব্যক্তিকে হুকুম করি, যেন সে লোকদের নামাজের ইমামতি করে। আর আমি ওই সব লোকদের দিকে যাই, যারা নামাজের জামাতে হাজির হয়নি এবং তাদের বাড়িঘরসমূহ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিই।’ (বুখারি, হাদিস : ৬১৮)

মহান আল্লাহ আমাদের জামাতে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন।আমিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জামাতে নামাজ আদায়ের গুরুত্ব

আপডেট টাইম : ০৯:৪৬:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। এই নামাজগুলো জামাতে পড়ার প্রতি বিশেষভাবে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। জামাতে নামাজ আদায় করার তাগিদ দিয়ে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু করো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৪৩)

২৭ গুণ বেশি সওয়াব : রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘জামাতে নামাজের ফজিলত একাকী নামাজের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি।’ (সহিহ বুখারি)। রাসুলুল্লাহ (সা.) সারা জীবন জামাতের সঙ্গেই নামাজ আদায় করেছেন। এমনকি ইন্তেকালপূর্ব অসুস্থতার সময়ও জামাত ছাড়েননি। সাহাবায়ে কেরামের পুরো জীবনও সেভাবে অতিবাহিত হয়েছে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬২৪)

জাহান্নাম থেকে মুক্তি : আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ৪০ দিন পর্যন্ত প্রথম তাকবিরের সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে দুটি পুরস্কার দান করবেন। এক. জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন। দুই. মুনাফিকের তালিকা থেকে তার নাম কেটে দেবেন। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪১)।

জামাত পরিত্যাগকারীকে তিরস্কার : অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার প্রাণ যাঁর হাতে, তাঁর শপথ করে বলছি, আমার ইচ্ছা হয় আমি কাঠ সংগ্রহ করার নির্দেশ দিই আর নামাজের আজান দেওয়ার জন্য হুকুম দিই। তারপর আমি এক ব্যক্তিকে হুকুম করি, যেন সে লোকদের নামাজের ইমামতি করে। আর আমি ওই সব লোকদের দিকে যাই, যারা নামাজের জামাতে হাজির হয়নি এবং তাদের বাড়িঘরসমূহ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিই।’ (বুখারি, হাদিস : ৬১৮)

মহান আল্লাহ আমাদের জামাতে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন।আমিন।