ঢাকা ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ২০০ করেও জিততে পারলো না ধোনির চেন্নাই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৮৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লক্ষ্যটা ছিল এভারেস্টের চূড়ার সমান। যে কারণে ফ্যাফ ডু প্লেসি আর মহেন্দ্র সিং ধোনির দুর্দান্ত লড়াই সত্ত্বেও জিততে পারলো না চেন্নাই সুপার কিংস। ৬ উইকেটে ২০০ রান করার পরও রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হেরে গেলো ১৬ রানে।

আবুধাবি আর দুবাইয়ের চেয়ে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম যে রান প্রসবিনী, সেটা এই মাঠের প্রথম ম্যাচেই বোঝা গেলো। আগের তিন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে আবু ধাবি এবং দুবাইতে। ওই দুই স্টেডিয়ামে ১৬০ ওপর রান নিয়ে যাওয়াটাই যেন ছিল বিশাল এক চ্যালেঞ্জের। অথচ, আজ শারজায় দুই দলের স্কোর হলো মোট ৪১৬ রানের (২১৬ + ২০০)। হাই স্কোরিং ম্যাচ দর্শক আনন্দও দেয় বেশ ভালো। আইপিএলের চতুর্থ ম্যাচে এসে যেন দর্শকরা প্রকৃত আনন্দ খুঁজে পেয়েছে। পুরো ম্যাচে যে হলো মোট ৩৩ বার বলকে সীমানার ওপর দিয়ে বাইরে পাঠিয়েছিল দুই দলের ব্যাটসম্যানরা! রাজস্থান মেরেছে মোট ১৭টি ছক্কা এবং চেন্নাই মেরেছে মোট ১৬টি ছক্কার মার। এর মধ্যে একাই ৯টি ছক্কা মেরেছিলেন রাজস্থানের ব্যাটসম্যান সাঞ্জু স্যামসন।

 জয়ের জন্য ২১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মুরালি বিজয় আর শেন ওয়াটসনের ব্যাটে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। ২১ বলে ২১ রান করে মুরালি আউট হলেও শেন ওয়াটসন করেন ২১ বলে ৩৩ রান। এরপরই মূলত ফ্যাফ ডু প্লেসির তাণ্ডব শুরু হয়।

৩৭ বলে তিনি খেলেন ৭২ রান। ১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কার মার মারেন ৭টি। ডু প্লেসি আউট হন চেন্নাইর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে। তিনি আউট হওয়ার সময় চেন্নাইর রান প্রয়োজন ছিল ৭ বলে ৩৮। মহেন্দ্র সিং ধোনি অপরাজিত থেকে চেষ্টা করেন সেই রান তোলার। কিন্তু তিনি নিতে পেরেছেন কেবল ২১। যার ফলে ১৬ রানে হারতে হলো তাদেরকে।

১৭ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ধোনি। ছক্কার মার মারেন ৩টি। ১৬ বলে ২২ রান করেন কেদার যাদব। ৬ বলে ১৭ রান করে আউট হন স্যাম কুরান। রাজস্থানের হয়ে রাহুল তেওয়াতিয়া নেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন জোফরা আর্চার, স্রেয়াশ গোপাল এবং টম কুরান। টম কুরান ৪ ওভারে একাই দেন ৫৪ রান।

 এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২১৬ রান করে রাজস্থান রয়্যালস। সাঞ্জু স্যামসন করেন ৭৪ রান। ৬৯ রান করে আউট হন স্টিভেন স্মিথ। শেষ মুহূর্তে ৮ বলে ২৭ রান করে রাজস্থানের স্কোরকে বিশালকারে রূপ দেন জোফরা আর্চার। টানা চার বলে চারটি ছক্কা মারেন তিনি। মূলতঃ আর্চারের ওই ইনিংসই ব্যবধান গড়ে দিল দুই দলের মধ্যে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ২০০ করেও জিততে পারলো না ধোনির চেন্নাই

আপডেট টাইম : ১০:৩৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লক্ষ্যটা ছিল এভারেস্টের চূড়ার সমান। যে কারণে ফ্যাফ ডু প্লেসি আর মহেন্দ্র সিং ধোনির দুর্দান্ত লড়াই সত্ত্বেও জিততে পারলো না চেন্নাই সুপার কিংস। ৬ উইকেটে ২০০ রান করার পরও রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হেরে গেলো ১৬ রানে।

আবুধাবি আর দুবাইয়ের চেয়ে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম যে রান প্রসবিনী, সেটা এই মাঠের প্রথম ম্যাচেই বোঝা গেলো। আগের তিন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে আবু ধাবি এবং দুবাইতে। ওই দুই স্টেডিয়ামে ১৬০ ওপর রান নিয়ে যাওয়াটাই যেন ছিল বিশাল এক চ্যালেঞ্জের। অথচ, আজ শারজায় দুই দলের স্কোর হলো মোট ৪১৬ রানের (২১৬ + ২০০)। হাই স্কোরিং ম্যাচ দর্শক আনন্দও দেয় বেশ ভালো। আইপিএলের চতুর্থ ম্যাচে এসে যেন দর্শকরা প্রকৃত আনন্দ খুঁজে পেয়েছে। পুরো ম্যাচে যে হলো মোট ৩৩ বার বলকে সীমানার ওপর দিয়ে বাইরে পাঠিয়েছিল দুই দলের ব্যাটসম্যানরা! রাজস্থান মেরেছে মোট ১৭টি ছক্কা এবং চেন্নাই মেরেছে মোট ১৬টি ছক্কার মার। এর মধ্যে একাই ৯টি ছক্কা মেরেছিলেন রাজস্থানের ব্যাটসম্যান সাঞ্জু স্যামসন।

 জয়ের জন্য ২১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মুরালি বিজয় আর শেন ওয়াটসনের ব্যাটে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। ২১ বলে ২১ রান করে মুরালি আউট হলেও শেন ওয়াটসন করেন ২১ বলে ৩৩ রান। এরপরই মূলত ফ্যাফ ডু প্লেসির তাণ্ডব শুরু হয়।

৩৭ বলে তিনি খেলেন ৭২ রান। ১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কার মার মারেন ৭টি। ডু প্লেসি আউট হন চেন্নাইর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে। তিনি আউট হওয়ার সময় চেন্নাইর রান প্রয়োজন ছিল ৭ বলে ৩৮। মহেন্দ্র সিং ধোনি অপরাজিত থেকে চেষ্টা করেন সেই রান তোলার। কিন্তু তিনি নিতে পেরেছেন কেবল ২১। যার ফলে ১৬ রানে হারতে হলো তাদেরকে।

১৭ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ধোনি। ছক্কার মার মারেন ৩টি। ১৬ বলে ২২ রান করেন কেদার যাদব। ৬ বলে ১৭ রান করে আউট হন স্যাম কুরান। রাজস্থানের হয়ে রাহুল তেওয়াতিয়া নেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন জোফরা আর্চার, স্রেয়াশ গোপাল এবং টম কুরান। টম কুরান ৪ ওভারে একাই দেন ৫৪ রান।

 এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২১৬ রান করে রাজস্থান রয়্যালস। সাঞ্জু স্যামসন করেন ৭৪ রান। ৬৯ রান করে আউট হন স্টিভেন স্মিথ। শেষ মুহূর্তে ৮ বলে ২৭ রান করে রাজস্থানের স্কোরকে বিশালকারে রূপ দেন জোফরা আর্চার। টানা চার বলে চারটি ছক্কা মারেন তিনি। মূলতঃ আর্চারের ওই ইনিংসই ব্যবধান গড়ে দিল দুই দলের মধ্যে।