ব্যাংকিং খাত তদারকিতে বিদায়ী বছরে একটু বেশিই কঠোর ছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। বছরের শুরু থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর বার বার ঘোষণা দিয়েছেন, কোনো অনিয়ম প্রশ্রয় পাবে না। তিনি কিছুটা কথা রেখেছেন। চেষ্টা করেছেন শক্ত হাতে ব্যাংকিং খাত তদারকির। তবে মাঝে কিছুটা খেই হারিয়ে যান সেটিও স্পষ্ট। তবে বড় কোনো কেলেঙ্কারির তথ্য প্রকাশ পায়নি ২০১৫ সালে।
জানা যায়, শক্ত অবস্থান থেকেই আর্থিক অবস্থার অবনতি, অনিয়ম ও পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্কোন্দলের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বিদায়ী বছরে পর্যবেক্ষক পাওয়া ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের সংখ্যা সাত।
পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়া ১০ ব্যাংক হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা, বাংলাদেশ কৃষি, বিডিবিএল ও বেসিক ব্যাংক এবং বেসরকারি খাতের বাংলাদেশ কমার্স, ন্যাশনাল, মার্কেন্টাইল, ইসলামী ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক।
গত ১৮ নভেম্বর রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালীতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। কারণ এ চার ব্যাংকের মুখ্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সন্তোষজনক পর্যায়ে নেই। সোনালী ও জনতার রেটিং ৪ বা প্রান্তিক। অগ্রণী ও রূপালীর রেটিং ৩ বা মোটামুটি ভালো। তবে সার্বিক বিবেচনায় সোনালীর রেটিং ৪ বা প্রান্তিক। অগ্রণী, রূপালী ও জনতার রেটিং হয়েছে ৩ বা মোটামুটি ভালো।
১০ ডিসেম্বর সরকারি খাতের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডে (বিডিবিএল) পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিধি মোতাবেক পর্যবেক্ষকরা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ, ক্রেডিট ও অডিট কমিটিসহ গুরুত্বপূর্ণ সব বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া যেকোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার তিন কর্মদিবস আগে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যবেক্ষকের কাছে পাঠাতে হবে। ব্যাংকের আর্থিক সূচক উন্নত না হওয়া পর্যন্ত পর্যবেক্ষক সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবেন।