হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় ‘মূল আসামি’ রবিউলকে দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হয়েছে। রোববার সকাল ১০টার দিকে দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয় তাকে।
রবিউল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করবেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৭ এর বিচারক ইসমাইল হোসেনের আদালতে তোলা হয়েছে তাকে। আদালতে তোলার ৩ ঘণ্টা পর বিচারকের সামনে স্বীকারক্তিমূলক জবাববন্দি প্রদান করবেন বলে পুলিশ জানিয়েছেন। তবে এখনও তিনি জবাববন্দি প্রদান শুরু করেননি। জবাববন্দির পর দিনাজপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হবে রবিউল ইসলামকে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনার একমাত্র পরিকল্পনাকারী এবং হামলাকারী তিনি নিজেই। আক্রোশ থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। তার দেয়া তথ্যমতে হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, লাঠি, মই, চাবিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে তার পরণের প্যান্ট, হাতের ছাপসহ মোবাইলের লোকেশন আলামত হিসেবে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এসব আলামত বিচারকার্যে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন ও প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে রবিউল ইসলামকে নিজবাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেন।
গত ১২ তারিখে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছিলেন, রবিউল দায় স্বীকার করে জানিয়েছেন এ ঘটনায় প্রধান পরিকল্পনাকারী এবং একমাত্র হামলাকারী তিনি নিজে। পরে তাকে ওইদিনই আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ। আদালতের বিচারক তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই দিন থেকেই রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পরে গত বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হয়। ওই দিনই তাকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ। পরে তাকে তিনদিনের রিমান্ডে দেয়া হয়।