এবার লাল বলে চোখ লেগ স্পিনার আমিনুল বিপ্লবের

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে টি টোয়েন্টি খেলেছেন ৭টি। এখন পর্যন্ত ওয়ানডে অভিষেক হয়নি। টেস্ট খেলার প্রশ্নই আসে না; কিন্তু ওই এক ফরম্যাটে খেলার পরও ২০ বছরের লেগস্পিনার হিসেবে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের পরিচিতি কিছু কম নয়। তাকে সবাই এক নামে চেনেন।

খুব বড় টার্নার নন। বল পড়ে যে লাটিমের মত ঘোরে, তাও নয়; কিন্তু ভাল জায়গায় বল ফেলার ক্ষমতা দারুণ। লাইন-লেন্থটাও বেশ ভাল। আর ব্যটসম্যানের মতি-গতি বুঝে বল করতে পারেন। সুতরাং, ভাইটাল ব্রেক থ্রু’ও পেয়েছেন বেশ কয়েকবার। সব মিলিযে অল্প সময়ে টিম বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত সদস্য বনে গেছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।

শ্রীলঙ্কায় যেহেতু তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে জাতীয় দল, ধরেই নেয়া যায় তাতে জায়গা পাবেন না এ তরুণ। তারপরও নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টায় কমতি নেই একচুলও। আর বোলিং উন্নতির প্রাণপন চেষ্টাও আছে। কারণটা তার খুব ভাল জানা, পারফরমার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে হলে নিজেকে সব ফরম্যাটে ভাল ভাল করতে হবে। বিশেষ করে লাল বলে ভাল করার সামর্থ্য অর্জন করতেই হবে।

আর তাই এখন শেরে বাংলায় যে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলন চলছে, যা ৫ দিন বন্ধ থাকার পর আজ বুধবার আবার শুরু হলো, তাতে সেন্টার উইকেটে দলের সিনিয়র ব্যাটসম্যানদের নিয়মিত নেটে বোলিং করে যাচ্ছেন বিপ্লব।

আজ বুধবার শেরে বাংলার সেন্টার উইকেটে একটানা অনেকক্ষণ মুশফিকুর রহীম আর সৌম্য সরকারের বিপক্ষে বল করলেন এ লেগি। বলার অপেক্ষা রাখে না, এখন টেস্ট সিরিজের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু না হলেও মুশফিক, তামিম, মাহমুদউল্লাহ, মুমিনুল, লিটনরা সবাই লাল বলে ব্যাটিং প্র্যাকটিস করছেন।

বিষয়টা শুধু সময়ের দাবি মেটাতেই নয়। নিজের ভবিষ্যতের কথা ভেবেও। আর সবার মত আমিনুল ইসলাম বিপ্লবও চান দীর্ঘ পরিসরের ফরম্যাটে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে। এ কারণেই লাল বলে ভাল করতে মুখিয়ে রয়েছেন তিনি। লাল বলে সাধ্যমত চেষ্টা করছেন বল ঘোরাতে। লেগব্রেক, গুগলি আর ফ্লিপার ছুঁড়তে।

বিপ্লবের কথায় পরিষ্কার, সামনের দিনগুলোয় নিজেকে লাল বলেও মেলে ধরতে দৃঢ় প্রত্যয়ী আমিনুল ইসলাম তিনি। এ তরুণ লেগস্পিনার আছেন সুযোগের অপেক্ষায়। তাইতো মুখে এমন কথা, ‘আল্টিমেটলি প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই একটা লক্ষ্য থাকে, লাল বলের ক্রিকেট খেলার জন্য। আমারও সেটা আছে, যদি কখনো সুযোগ হয় নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করবো।’

শেরে বাংলায় এখন যে অনুশীলণ হচ্ছে, তাতে ফিজিক্যাল ট্রেনিং ছাড়াও নেটে নিয়মিত বোলিং করার সুযোগ পাচ্ছেন। তার অনুভব সেটা তার নিজের বোলিংয়ের উন্নতির জন্য খুব উপকার হচ্ছে।

‘সাধারণত ব্যাটসম্যান ছাড়া বোলিং করলে যেটা হয় নিজের ব্যাপারে জানা যায় না; কিন্তু ব্যাটসম্যান সাথে থাকলে, তাদের বিপক্ষে বল করলে বোঝা যায় নিজের শক্তির জায়গাটা। কোথায় কোথায় বোলিং করতে হবে, কোন জায়গাগুলোতে ঘাটতি আছে। এ জায়গায় ব্যাটসম্যানকে বল করতে পেরে নিজের কাছে ভালো লাগছে। প্রথম দিকে মানিয়ে নিতে সবারই কষ্ট হয়েছে কিন্তু আস্তে আস্তে যখন কয়েকদিন অনুশীলন করি, এখন আমরা সবাই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি।’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর