ঢাকা ১০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুমের মধ্যে শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হওয়ার সমস্যা করণীয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ২৯৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঘুমিয়ে গেলেও আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস ক্রমাগত নিয়মতান্ত্রিকভাবেই চলতে থাকে। ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস কখনও থেমে যায় না। কারণ আমাদের মস্তিষ্কের রেসপিরেটরি সেন্টার সবসময় কাজ করতে থাকে।

ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো একটি জটিল সমস্যা হলো স্লিপ অ্যাপনিয়া। স্লিপ অ্যাপনিয়া হলে ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, যা কিনা ১০ সেকেন্ড থেকে কিছু মিনিট সময় ধরে থাকে। এই সমস্যাতে ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আমাদের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে যায়। এটি একটি প্রাণঘাতী বিষয়।

শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার প্রভাব প্রথমে পড়ে আমাদের মস্তিষ্কের ওপর। অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্ক জেগে ওঠে এবং ঘুম ভেঙে যায়। এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা ঘুম ভাঙার পর শ্বাস নেয় এবং সঙ্গে সঙ্গে আবার ঘুমিয়ে পড়ে।

খুবই জটিল অবস্থায় সারারাত বারবার শ্বাস বন্ধ ও ঘুম ভাঙা এই চক্রটি চলতে থাকে। ফলে ঘুমিয়েও ঘুম পূরণ হয় না। এ ঘটনাগুলো যেহেতু গভীর ঘুমের মাঝে ঘটছে , তাই রোগী তার এ সমস্যা বুঝতে পারে না। সকালে ঘুম থেকে উঠে হয়তো তাদের মনেও থাকে না। যেহেতু বারবার ঘুম ভাঙার ফলে ঘুমিয়ে কখনও ঘুম পূরণ না হওয়ার ফলে সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব থাকে।

যারা এই রোগে ভুগছেন, তাদের মাঝে সাধারণত নিন্মোক্ত উপসর্গগুলো দেখা যায়।

স্লিপ অ্যাপনিয়াতে আক্রান্ত রোগীর মাঝে নাক ডাকার প্রবণতা দেখা যায়। নাক ডাকতে হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ থেমে আবার নাক ডাকতে শুরু করে যারা কিনা রোগীকে এ অবস্থায় দেখেছেন তারাই বলতে পারেন।

দীর্ঘ সময় বিছানায় থাকার পরও ঘুম পুরা হয় না, সারাদিন ঝিমানো ভাব থাকে। কখনও কখনও খবরের কাগজ পড়তে পড়তে বা টেলিভিশন দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ে।

অনেক ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়ে অথবা গাড়িতে উঠলে ঘুমিয়ে পড়ে প্রায়ই। দিনেরবেলা অতিরিক্ত ঘুম পায়, যার প্রভাবে অপ্রত্যাশিত ও অনিয়ন্ত্রিত ঘুমিয়ে পড়ার দরুণ কর্মক্ষেত্রে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। দিনেরবেলা অতিরিক্ত ঘুমের প্রভাব কাটানোর জন্য অনেকে আবার অতিরিক্ত চা-কফিতে আসক্ত হয়ে পড়ে। এ ছাড়া ক্ষেত্রবিশেষে সকালে ঘুম থেকে উঠে মাথাব্যথা অনুভব করা, হতাশা লাগা, হঠাৎ রাগ হয়ে যাওয়া সমস্যা দেখা দেয়।

এর সঙ্গে আরও দেখা দেয় কথা ভুলে যাওয়া, সিদ্ধান্তহীনতা, সারাদিন কাজে মনোযোগী হতে পারে না। ক্লাসে মনোযোগ কমে যায় এবং ছাত্ররা ক্লাসে খারাপ করতে শুরু করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ঘুমের মধ্যে শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হওয়ার সমস্যা করণীয়

আপডেট টাইম : ০২:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঘুমিয়ে গেলেও আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস ক্রমাগত নিয়মতান্ত্রিকভাবেই চলতে থাকে। ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস কখনও থেমে যায় না। কারণ আমাদের মস্তিষ্কের রেসপিরেটরি সেন্টার সবসময় কাজ করতে থাকে।

ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো একটি জটিল সমস্যা হলো স্লিপ অ্যাপনিয়া। স্লিপ অ্যাপনিয়া হলে ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, যা কিনা ১০ সেকেন্ড থেকে কিছু মিনিট সময় ধরে থাকে। এই সমস্যাতে ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আমাদের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে যায়। এটি একটি প্রাণঘাতী বিষয়।

শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার প্রভাব প্রথমে পড়ে আমাদের মস্তিষ্কের ওপর। অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্ক জেগে ওঠে এবং ঘুম ভেঙে যায়। এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা ঘুম ভাঙার পর শ্বাস নেয় এবং সঙ্গে সঙ্গে আবার ঘুমিয়ে পড়ে।

খুবই জটিল অবস্থায় সারারাত বারবার শ্বাস বন্ধ ও ঘুম ভাঙা এই চক্রটি চলতে থাকে। ফলে ঘুমিয়েও ঘুম পূরণ হয় না। এ ঘটনাগুলো যেহেতু গভীর ঘুমের মাঝে ঘটছে , তাই রোগী তার এ সমস্যা বুঝতে পারে না। সকালে ঘুম থেকে উঠে হয়তো তাদের মনেও থাকে না। যেহেতু বারবার ঘুম ভাঙার ফলে ঘুমিয়ে কখনও ঘুম পূরণ না হওয়ার ফলে সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব থাকে।

যারা এই রোগে ভুগছেন, তাদের মাঝে সাধারণত নিন্মোক্ত উপসর্গগুলো দেখা যায়।

স্লিপ অ্যাপনিয়াতে আক্রান্ত রোগীর মাঝে নাক ডাকার প্রবণতা দেখা যায়। নাক ডাকতে হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ থেমে আবার নাক ডাকতে শুরু করে যারা কিনা রোগীকে এ অবস্থায় দেখেছেন তারাই বলতে পারেন।

দীর্ঘ সময় বিছানায় থাকার পরও ঘুম পুরা হয় না, সারাদিন ঝিমানো ভাব থাকে। কখনও কখনও খবরের কাগজ পড়তে পড়তে বা টেলিভিশন দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ে।

অনেক ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়ে অথবা গাড়িতে উঠলে ঘুমিয়ে পড়ে প্রায়ই। দিনেরবেলা অতিরিক্ত ঘুম পায়, যার প্রভাবে অপ্রত্যাশিত ও অনিয়ন্ত্রিত ঘুমিয়ে পড়ার দরুণ কর্মক্ষেত্রে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। দিনেরবেলা অতিরিক্ত ঘুমের প্রভাব কাটানোর জন্য অনেকে আবার অতিরিক্ত চা-কফিতে আসক্ত হয়ে পড়ে। এ ছাড়া ক্ষেত্রবিশেষে সকালে ঘুম থেকে উঠে মাথাব্যথা অনুভব করা, হতাশা লাগা, হঠাৎ রাগ হয়ে যাওয়া সমস্যা দেখা দেয়।

এর সঙ্গে আরও দেখা দেয় কথা ভুলে যাওয়া, সিদ্ধান্তহীনতা, সারাদিন কাজে মনোযোগী হতে পারে না। ক্লাসে মনোযোগ কমে যায় এবং ছাত্ররা ক্লাসে খারাপ করতে শুরু করে।