হাওর বার্তা ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিস্ফোরিত তল্লা বড় মসজিদে কোরআন শরীফ ও হাদিসের বইগুলো অক্ষতই রয়েছে। এসিগুলোও রয়েছে অক্ষত। পুড়েছে শুধু এসির ফিল্টারগুলো। মসজিদে তেমন কোনো সরঞ্জাম বা আসবাবপত্র না থাকলেও চূর্ণ হয়েছে জানালার কাচ ও দেয়ালের টাইলস।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
স্থানীয় পিয়াস মিয়া বলেন, মসজিদের ভিতরে থাকা ৬টি এসির ফিল্টার ও বিদ্যুতের সংযোগ তার, নামাজ পড়ার জায়নামাজ, তসবিহ, প্লাস্টিকের চেয়ার পুড়ে গেছে। কিন্তু কোরআন শরীফ ও হাদিসের বইগুলোর কিছুই হয়নি।
তল্লা এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান বলেন, চেয়ারগুলো পুড়ে গেছে। দেখলাম পোড়া সেই চেয়ারগুলোতে মুসল্লিদের পুড়ে যাওয়া চামড়া লেগে আছে। রক্ত জমাট হয়ে মসজিদের ভিতরে ও বাহিরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টায় ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে (বড় মসজিদ) বিস্ফোরণে এক শিশুসহ ৪০ জন দগ্ধ হয়।
নারায়ণগঞ্জের বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের এ ঘটনায় শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এর আগে শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম মৃত্যু হয় জুয়েল নামে এক শিশুর। এরপর রাতে ও শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বাকিদের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।