হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডেসারাদিন বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে কাটে আমাদের বেশিরভাগেরই।দিন শেষে ঘাড়, কোমর, হাঁটুসহ শারীরিক ব্যথার সম্মুখীন হয়ে থাকেন অনেকেই। আর এই ব্যথা থেকে পরিত্রাণ পেতে অনেকেই ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করে থাকেন।
কখনো কি ভেবে দেখেছেন, এই ব্যথার ওষুধ আপনার জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে? এর ক্ষতিকর দিকগুলো জানলে আপনিও অবাক হবেন! চলুন জেনে নেয়া যাক ব্যথানাশক ওষুধের ক্ষতিকর দিকগুলো-
ব্যথার ওষুধের ক্ষতিকর দিক
নিশ্চয়ই জানেন, ব্যথার ওষুধ গ্যাস্ট্রিক আলসার তৈরি করে এবং কিডনীর ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। তবে অতি সম্প্রতি আমেরিকান কার্ডিয়াক সোসাইটি জানাচ্ছে, সবচেয়ে সহনশীল ব্যথানাশক আইবুপ্রোফেনও হার্ট অ্যাটাকের জন্য দায়ী হতে পারে।
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফিজিওথেরাপির বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মোহাম্মদ আলীর মতে, অন্যান্য শক্তিশালী ব্যথানাশক যেমন- ডাইক্লোফেনাক, এসিক্লোফেনাক বা এন্ডোমেথাসিনের বেলায় ঝুঁকি আরো অনেক অনেক বেশি। তাই ব্যথা হলেই ব্যথানাশক নয়।
ব্যথার ওষুধের বিকল্প আছে কি?
পৃথিবী যত উন্নত হচ্ছে মানুষ তত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসার দিকে ঝুঁকছে। সামান্য ব্যথা সারাতে কিডনী বা হৃদযন্ত্রকে আঘাত করতে কেউই চাইবেন না। তাই সারা বিশ্বে ব্যথার ওষুধবিহীন ব্যথার চিকিৎসা দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কারণ নির্ণয় করে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ব্যথার চিকিৎসা করা যায়। কিছু সাধারণ শারীরিক ও কিছু প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমেই খুব সহজেই ব্যথার প্রকৃত কারণ নির্নয় করা সম্ভব। আর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে বেশিরভাগ শারীরিক ব্যথার চিকিৎসা ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াই করা সম্ভব।
একজন ব্যথার রোগী যিনি কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে তিন মাস ব্যথানাশক সেবন করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তার ওষুধ খেয়ে সাময়িক মুক্তি মিলছে বটে কিন্তু ওষুধ বন্ধ করলে আবার ব্যথা ফিরে আসছে। ইতিহাস নিয়ে জানা গেল উনি দিনে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা বসে কাজ করেন। তার বসার চেয়ার বদল, কিছু বিজ্ঞানসম্মত ব্যায়াম আর ইলেক্ট্রোথেরাপি তাকে ব্যথামুক্ত জীবন উপহার দিয়েছে।
নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, শারীরিক ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার মূলমন্ত্র হলো ব্যথার কারণ নির্ণয়। ব্যথার প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য থাকুন।