ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লতাপাতায় আচ্ছাদিত এমন ভবন দে‌শে প্রথম, দেখ‌লেই আট‌কে যা‌বে চোখ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অগাস্ট ২০২০
  • ৩৩৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের নকশায় নির্মিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রংপুর-দিনাজপুর রুলার সার্ভিস (আরডিআরএস) ভবনটির দিকে তাকালে যে কারোরই চোখ আটকে যাবে সেখানে। সবগুলো ভবন আপাদমস্তক লতাপাতায় আচ্ছাদিত। এটি রংপুর নগরীর একটি দৃষ্টিনন্দন ভবন।

রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলের মানুষকে দারিদ্রতার হাত থেকে উন্নত জীবন-যাপনের জন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রংপুর-দিনাজপুর রুলার সার্ভিস (আরডিআরএস) ১৯৭২ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে।

আরডিআরএস এর পরামর্শক মোহাম্মদ আসলাম পাভেজ জানান, রংপুর নগরীর ধাপ এলাকায় স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের নকশায় দুই দশমিক ২৫ একর জমির উপর পঞ্চম তলা বিশিষ্ট আরডিআরএস এর প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হয়। ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়।

ছবি: সংগৃহীতছবি: সংগৃহীত

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ভবনটি দৃষ্টিনন্দন করার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে লতা জাতীয় উদ্ভিদ ত্রিপার নিয়ে এসে ভবনটির চারদিকে রোপণ করেন। চারা রোপণের এক বছর পর ভবনটির চারদিকে সবুজে ঢাকা পড়ে।

পরামর্শক মোহাম্মদ আসলাম পাভেজ জানান, এটি করা হয়েছে গ্রীন হাউজের জন্য। কারণ হিসেবে তিনি জানান, লতাপাতার কারণে ভবনটি সবসময় ঠান্ডা থাকে। গরমের সময় এসি খরচ কম হয়। দেখতে সুন্দর লাগে। ছয় মাস পর পর ভবনের লতাপাতাগুলো ছোট করে দিতে হয়। খরচ পড়ে প্রায় দুই লাখ টাকা।

এই পরামর্শক আরো জানান, রংপুর আরডিআরএস-এ বিভিন্ন দেশের গাছপালা রয়েছে। এখানে ৫০ রকমের বিভিন্ন ফলের গাছ রয়েছে যার বেশির ভাগই বাইরের দেশ থেকে আনা।

গ্রীন হাউজ ভবন হিসেবে পরিচিত আরডিআরএস ভবনটি দেখেতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা এখানে আসেন। লালমনিহাট থেকে আসা শরিফা আসলাম জানান, রংপুর আরডিআরএস ভবনটি বেশ দৃষ্টিনন্দন। ভবনটির পাশ দিয়ে কেউ গেলে না তাকিয়ে পারবে না। ভবনের চারপাশ দিয়ে সবুজ লতাগুলো যেভাবে আঁকড়ে ধরেছে তা চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো।

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরো জানান, এরকম ভবন আর আমার চোখে পড়ে নাই। এখানে এসেছি এই লতাগুলোর চারা নেয়ার জন্য। তবে পাবো কিনা জানি না।

তবে আরডিআরএস এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি, চারা বিক্রি করি না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

লতাপাতায় আচ্ছাদিত এমন ভবন দে‌শে প্রথম, দেখ‌লেই আট‌কে যা‌বে চোখ

আপডেট টাইম : ০৫:৫২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অগাস্ট ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের নকশায় নির্মিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রংপুর-দিনাজপুর রুলার সার্ভিস (আরডিআরএস) ভবনটির দিকে তাকালে যে কারোরই চোখ আটকে যাবে সেখানে। সবগুলো ভবন আপাদমস্তক লতাপাতায় আচ্ছাদিত। এটি রংপুর নগরীর একটি দৃষ্টিনন্দন ভবন।

রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলের মানুষকে দারিদ্রতার হাত থেকে উন্নত জীবন-যাপনের জন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রংপুর-দিনাজপুর রুলার সার্ভিস (আরডিআরএস) ১৯৭২ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে।

আরডিআরএস এর পরামর্শক মোহাম্মদ আসলাম পাভেজ জানান, রংপুর নগরীর ধাপ এলাকায় স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের নকশায় দুই দশমিক ২৫ একর জমির উপর পঞ্চম তলা বিশিষ্ট আরডিআরএস এর প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হয়। ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়।

ছবি: সংগৃহীতছবি: সংগৃহীত

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ভবনটি দৃষ্টিনন্দন করার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে লতা জাতীয় উদ্ভিদ ত্রিপার নিয়ে এসে ভবনটির চারদিকে রোপণ করেন। চারা রোপণের এক বছর পর ভবনটির চারদিকে সবুজে ঢাকা পড়ে।

পরামর্শক মোহাম্মদ আসলাম পাভেজ জানান, এটি করা হয়েছে গ্রীন হাউজের জন্য। কারণ হিসেবে তিনি জানান, লতাপাতার কারণে ভবনটি সবসময় ঠান্ডা থাকে। গরমের সময় এসি খরচ কম হয়। দেখতে সুন্দর লাগে। ছয় মাস পর পর ভবনের লতাপাতাগুলো ছোট করে দিতে হয়। খরচ পড়ে প্রায় দুই লাখ টাকা।

এই পরামর্শক আরো জানান, রংপুর আরডিআরএস-এ বিভিন্ন দেশের গাছপালা রয়েছে। এখানে ৫০ রকমের বিভিন্ন ফলের গাছ রয়েছে যার বেশির ভাগই বাইরের দেশ থেকে আনা।

গ্রীন হাউজ ভবন হিসেবে পরিচিত আরডিআরএস ভবনটি দেখেতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা এখানে আসেন। লালমনিহাট থেকে আসা শরিফা আসলাম জানান, রংপুর আরডিআরএস ভবনটি বেশ দৃষ্টিনন্দন। ভবনটির পাশ দিয়ে কেউ গেলে না তাকিয়ে পারবে না। ভবনের চারপাশ দিয়ে সবুজ লতাগুলো যেভাবে আঁকড়ে ধরেছে তা চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো।

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরো জানান, এরকম ভবন আর আমার চোখে পড়ে নাই। এখানে এসেছি এই লতাগুলোর চারা নেয়ার জন্য। তবে পাবো কিনা জানি না।

তবে আরডিআরএস এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি, চারা বিক্রি করি না।