স্থানীয় নির্বাচন (পৌরসভা) মানেই জন-আকাঙ্ক্ষার নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূল পর্যায়ে বিরাজ করছে এক উৎসবের আমেজ। পৌর-বাসিন্দাদের প্রত্যাশা একটাই- নাগরিক সমস্যা সমাধানে পৌর মেয়র কার্যকর ভূমিকা রাখবেন। পাশাপাশি স্থানীয় সমস্যায় জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবেন।
আমি এবারের (৩০ ডিসেম্বর-বুধবার) পৌর নির্বাচনে মেয়র হিসেবে এমন একজনকে দেখতে চাই, যিনি আধুনিক কটিয়াদী গড়ার লক্ষে যে বাধাগুলো আছে, তা দূর করে কাজ করবেন। সঙ্গে প্রতিনিধি করবেন কাউন্সিলরদেরও।
কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী একটি প্রাচীন জনপদ হওয়ার পরও এর উন্নয়নে কোনো নতুনত্ব নেই। শিল্প, সাহিত্য, বিনোদনের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ নেই। রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থায়ও অনেক নাজুক এখানে। ময়লা-আবর্জনা, দূষিত বর্জ্য নিষ্কাষণ ব্যবস্থায়ও বেশ খারাপ। যা নিয়ে ব্যাপক কাজ করা দরকার।
এই পৌর এলাকায় কোনো প্রকার কল-কারখানা বা শিল্প প্রতিষ্ঠান না থাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সেভাবে নেই বললেই চলে। ফলে বেকারত্বের অভিশাপে বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা। সৃষ্টি হচ্ছে সামাজিক অবক্ষয়।
শিক্ষার্থীদের সংখ্যা যথেষ্ট থাকার পরও নেই উচ্চ শিক্ষার অবারিত সুযোগ। আর এ সব জনসমস্যা সমাধানের জন্য দরকার একজন অভিজ্ঞ, দক্ষ, প্রজ্ঞাবান, জনদরদি জনপ্রতিনিধি। যিনি কেবল মেয়র নন, হবেন পৌর এলাকার উন্নয়নের অভিভাবক। উন্নয়নের সুষ্ঠু বণ্টনে ও কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে হবেন একজন দায়িত্বশীল মানুষ।
এমন মেয়র চাই- যিনি মানুষের কাছে যাবেন, তাদের সব ধরনের চাওয়া-পাওয়ার কথা শুনবেন। উন্নয়ন পরিকল্পনায় অগ্রাধিকার দেবেন স্থানীয় সাধারণ মানুষের জনভোগান্তিকে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিদ্যমান অবস্থার উন্নয়ন ঘটাবেন।
সর্বোপরি, কটিয়াদী পৌর এলাকার সার্বিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, দায়িত্বশীল, প্রতিশ্রুতিশীল যোগ্য প্রার্থীকেই আমি পৌর মেয়র হিসেবে চাই। যাতে উন্নয়ন হবে সবারই।