ঢাকা ১০:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

আফ্রিদির ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করা ব্যাটটি ছিল শচিনের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:০৭:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অগাস্ট ২০২০
  • ২০২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ব্যাটিং করতে নেমেই বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচে মাত্র ৩৭ বলে করেছিলেন সেঞ্চুরি। যা প্রায় ১৮ বছর ধরে ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরি।

অথচ সেদিনের আগে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাট হাতে নামেননি আফ্রিদি। নিজের অভিষেক ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি তিনি। বল হাতে ৩২ রান খরচায় ছিলেন উইকেটশূন্য। পরের ম্যাচে তাকে তিন নম্বরে পাঠিয়ে দেয় টিম ম্যানেজম্যান্ট। আর প্রথমবারের মতো ব্যাট করতে নেমেই ৪০ বলে ৬ চার ও ১১ ছয়ের মারে ১০২ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন আফ্রিদি।

মজার বিষয় হলো, সেদিন সেঞ্চুরি করা ব্যাটটি আফ্রিদির ছিল না। তিনি সতীর্থ পেসার ওয়াকার ইউনিসের কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছিলেন ব্যাটটি। এতদিন ধরে সবাই জানতেন, ওয়াকারের ব্যাট দিয়েই রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন আফ্রিদি। পাকিস্তানের সাবেক পেস বোলিং অলরাউন্ডার আজহার মাহমুদ এবার জানালেন নতুন তথ্য।

সেই ব্যাটটি ওয়াকারের কাছ থেকে নিয়েছিলেন আফ্রিদি- এটা সত্যি। কিন্তু ব্যাটটির প্রাথমিক মালিক ওয়াকার ছিলেন না। তাকে এই ব্যাট উপহার দেন ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর শচিন টেন্ডুলকার। সেই ব্যাট দিয়েই ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে হইচই ফেলে দেন ১৬ বছর বয়সী আফ্রিদি।

দ্য গ্রেটেস্ট রাইভারলি পডকাস্টে এ কথা জানিয়ে আজহার বলেছেন, ‘১৯৯৬ সালে সাহারা কাপের পর নাইরোবিতে শহিদ আফ্রিদির অভিষেক হয়। সেখানে আমারও অভিষেক। সেই টুর্নামেন্টের আগে মুশতাক আহমেদ ইনজুরিতে পড়ে। পাকিস্তান এ দলের সঙ্গে আফ্রিদি তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজেই ছিল। ফলে মুশতাকের বদলে ওকে ডেকে নেয়া হয়।’

‘তখনকার দিনে শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার জয়াসুরিয়া এবং কালুভিতরানা ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করতো। তাই আমরাও ভাবলাম তিন নম্বরে কাউকে দরকার মেরে খেলার মতো। ওয়াসিম আকমার এসে আমাকে ও আফ্রিদিকে বলল, আমরা যেন নেটে স্লগ করার চেষ্টা করি। আমি দেখেশুনে স্লগ করছিলাম, অন্যদিকে স্পিনারদের গুঁড়িয়ে দিচ্ছিল আফ্রিদি।

আজহার বলতে থাকেন, ‘পরের দিন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের ম্যাচ। ম্যানেজম্যান্ট থেকে বলা হলো, আফ্রিদি তিন নম্বরে ব্যাট করবে। ওয়াকার ইউনিস শচিনের কাছ থেকে একটা ব্যাট পেয়েছিল, আফ্রিদি সেটা নিয়ে ব্যাট করতে নামে এবং সেঞ্চুরি করে ফেলে। সেদিনের পর থেকেই আফ্রিদি ব্যাটসম্যান হয়ে যায়। তার আগে ও ছিল বোলার, যে কি না মারতে পারে। তবে সবমিলিয়ে দারুণ এক ক্যারিয়ারই কেটেছে আফ্রিদির।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভুলে শিশুর ভালো চোখে অস্ত্রোপচার

আফ্রিদির ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করা ব্যাটটি ছিল শচিনের

আপডেট টাইম : ০২:০৭:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অগাস্ট ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ব্যাটিং করতে নেমেই বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচে মাত্র ৩৭ বলে করেছিলেন সেঞ্চুরি। যা প্রায় ১৮ বছর ধরে ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরি।

অথচ সেদিনের আগে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাট হাতে নামেননি আফ্রিদি। নিজের অভিষেক ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি তিনি। বল হাতে ৩২ রান খরচায় ছিলেন উইকেটশূন্য। পরের ম্যাচে তাকে তিন নম্বরে পাঠিয়ে দেয় টিম ম্যানেজম্যান্ট। আর প্রথমবারের মতো ব্যাট করতে নেমেই ৪০ বলে ৬ চার ও ১১ ছয়ের মারে ১০২ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন আফ্রিদি।

মজার বিষয় হলো, সেদিন সেঞ্চুরি করা ব্যাটটি আফ্রিদির ছিল না। তিনি সতীর্থ পেসার ওয়াকার ইউনিসের কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছিলেন ব্যাটটি। এতদিন ধরে সবাই জানতেন, ওয়াকারের ব্যাট দিয়েই রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন আফ্রিদি। পাকিস্তানের সাবেক পেস বোলিং অলরাউন্ডার আজহার মাহমুদ এবার জানালেন নতুন তথ্য।

সেই ব্যাটটি ওয়াকারের কাছ থেকে নিয়েছিলেন আফ্রিদি- এটা সত্যি। কিন্তু ব্যাটটির প্রাথমিক মালিক ওয়াকার ছিলেন না। তাকে এই ব্যাট উপহার দেন ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর শচিন টেন্ডুলকার। সেই ব্যাট দিয়েই ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে হইচই ফেলে দেন ১৬ বছর বয়সী আফ্রিদি।

দ্য গ্রেটেস্ট রাইভারলি পডকাস্টে এ কথা জানিয়ে আজহার বলেছেন, ‘১৯৯৬ সালে সাহারা কাপের পর নাইরোবিতে শহিদ আফ্রিদির অভিষেক হয়। সেখানে আমারও অভিষেক। সেই টুর্নামেন্টের আগে মুশতাক আহমেদ ইনজুরিতে পড়ে। পাকিস্তান এ দলের সঙ্গে আফ্রিদি তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজেই ছিল। ফলে মুশতাকের বদলে ওকে ডেকে নেয়া হয়।’

‘তখনকার দিনে শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার জয়াসুরিয়া এবং কালুভিতরানা ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করতো। তাই আমরাও ভাবলাম তিন নম্বরে কাউকে দরকার মেরে খেলার মতো। ওয়াসিম আকমার এসে আমাকে ও আফ্রিদিকে বলল, আমরা যেন নেটে স্লগ করার চেষ্টা করি। আমি দেখেশুনে স্লগ করছিলাম, অন্যদিকে স্পিনারদের গুঁড়িয়ে দিচ্ছিল আফ্রিদি।

আজহার বলতে থাকেন, ‘পরের দিন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের ম্যাচ। ম্যানেজম্যান্ট থেকে বলা হলো, আফ্রিদি তিন নম্বরে ব্যাট করবে। ওয়াকার ইউনিস শচিনের কাছ থেকে একটা ব্যাট পেয়েছিল, আফ্রিদি সেটা নিয়ে ব্যাট করতে নামে এবং সেঞ্চুরি করে ফেলে। সেদিনের পর থেকেই আফ্রিদি ব্যাটসম্যান হয়ে যায়। তার আগে ও ছিল বোলার, যে কি না মারতে পারে। তবে সবমিলিয়ে দারুণ এক ক্যারিয়ারই কেটেছে আফ্রিদির।