তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ২০০৮ সালে রাজাকার-যুদ্ধাপরাধী সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা-এ অধ্যায়গুলো আমাদের চেতনার সোনার খনি। চলচ্চিত্রে পুনরুজ্জীবনের ধারায় এ খনি থেকে মণিমুক্তা আহরণের মাধ্যমে দেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরবেন চলচ্চিত্র নির্মাতারা।
রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্রে সন্ত্রাস, নৃশংসতা, বীভৎসতা ও অশ্লীলতা রোধে সেন্সর বোর্ডের সঙ্গে চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিচালকদের মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় একথা বলেন তিনি।
তথ্য সচিব ও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সভাপতি মরতুজা আহমদ সভাটি সঞ্চালনা করেন।
মন্ত্রী বলেন, নৃশংসতা, বীভৎসতা, অশ্লীলতা, যৌনতাকে উপজীব্য করে কোনো চলচ্চিত্র হতে পারে না। প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের সময় প্রয়োজনে দর্শকদের বয়স উল্লেখ করা এবং পারিবারিক বিনোদনের মাধ্যম টেলিভিশনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের সময় সর্বজনীনতার দিকে যত্মবান হবার কোনো বিকল্প নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্রকে শিল্প ঘোষণা করেছেন বলেও জানান হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, সামরিক শাসন ও সাম্প্রদায়িকতার জঞ্জালের রেশ থেকে মুক্ত করে চলচ্চিত্রকে মানুষের মনন গড়তে এগিয়ে নেবার দায়িত্ব পালনে প্রযোজক-পরিচালকদের আন্তরিক হতে হবে।
সভায় তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস এম মাহবুবুল আলম ও এস এম হারুন অর রশীদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মো. রাহমাতুল মুনীম, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন দিলু এবং চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতিনিধি শাহ আলম কিরণ, মুশফিকুর রহমান গুলজার, কাজী হায়াৎ, মোরশেদুল ইসলাম, সোহানুর রহমান সোহান, শাহীন সুমন ও আসলাম সানি আলোচনা করেন।