ঢাকা ১২:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতি উপজেলায় কারিগরি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫
  • ৪০৭ বার

প্রতি উপজেলায় একটি করে কারিগরি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে, এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একশ’ টিরও বেশি অনুমোদন পাওয়া গেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, এক সময় কারিগরি শিক্ষাক্রমের শিক্ষার্থীরা লজ্জাবোধ করলেও এখন তারা গর্ববোধ করে। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করেন শিক্ষামন্ত্রী।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিষ্টিটিউট মিলনায়তনে ‘স্কিলস কম্পিটিশন-২০১৫’র চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সাধারণত কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা উৎসাহী ছিল না, কিছু না পারলে বলতো এখানে (কারিগরি) পাঠিয়ে দাও, তারা লজ্জা পেত, এখন বুক ফুলিয়ে বলে আমি কারিগরির ছাত্র। ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার সময় কারিগরিতে মাত্র ১ শতাংশ শিক্ষার্থী থাকলেও বর্তমানে ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিকসহ বেসরকারি পলিটেকনিক, ভোকেশনাল মিলে সাড়ে সাত হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশের ওপরে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করছে। ২০২০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। এসব শিক্ষার্থী ‘ভিশন-২০২১’র ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।

কারিগরি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠলে তারা সম্পদ হিসেবে পরিণত হবে। দেশের পোশাক শিল্পে ১৯ হাজার বিদেশি কর্মী কাজ করছে। কারগরি শিক্ষায় শিক্ষিতরা এই জায়গা দখল করতে পারে। ইতোমধ্যে সাত হাজার পদ দখল করে নিয়েছে। সবটুকুই দখল করতে হবে।

আইডিইবি’র সভাপতি একেএমএ হামিদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন,
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অমোখ কুমার বিশ্বাস, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএস মাহমুদ, স্কিল অ্যান্ড ট্রেনিং এনহেন্সমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক মো. ইমরান প্রমুখ। এর আগে শাহবাগ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

প্রতি উপজেলায় কারিগরি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে

আপডেট টাইম : ১১:৫৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫

প্রতি উপজেলায় একটি করে কারিগরি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে, এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একশ’ টিরও বেশি অনুমোদন পাওয়া গেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, এক সময় কারিগরি শিক্ষাক্রমের শিক্ষার্থীরা লজ্জাবোধ করলেও এখন তারা গর্ববোধ করে। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করেন শিক্ষামন্ত্রী।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিষ্টিটিউট মিলনায়তনে ‘স্কিলস কম্পিটিশন-২০১৫’র চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সাধারণত কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা উৎসাহী ছিল না, কিছু না পারলে বলতো এখানে (কারিগরি) পাঠিয়ে দাও, তারা লজ্জা পেত, এখন বুক ফুলিয়ে বলে আমি কারিগরির ছাত্র। ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার সময় কারিগরিতে মাত্র ১ শতাংশ শিক্ষার্থী থাকলেও বর্তমানে ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিকসহ বেসরকারি পলিটেকনিক, ভোকেশনাল মিলে সাড়ে সাত হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশের ওপরে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করছে। ২০২০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। এসব শিক্ষার্থী ‘ভিশন-২০২১’র ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।

কারিগরি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠলে তারা সম্পদ হিসেবে পরিণত হবে। দেশের পোশাক শিল্পে ১৯ হাজার বিদেশি কর্মী কাজ করছে। কারগরি শিক্ষায় শিক্ষিতরা এই জায়গা দখল করতে পারে। ইতোমধ্যে সাত হাজার পদ দখল করে নিয়েছে। সবটুকুই দখল করতে হবে।

আইডিইবি’র সভাপতি একেএমএ হামিদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন,
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অমোখ কুমার বিশ্বাস, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএস মাহমুদ, স্কিল অ্যান্ড ট্রেনিং এনহেন্সমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক মো. ইমরান প্রমুখ। এর আগে শাহবাগ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।