গত পহেলা বৈশাখে বাংলা বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যৌন হয়রানির ঘটনায় অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে কোনো কিনারা করতে পারছেন না পুলিশ।
নানামুখী চাপের পর আইজিপি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) সাহায্যে আট জন নিপীড়কের ফুটেজ মিডিয়ায় প্রকাশ করলেও বিষয়টি সেখানেই আটকে আছে।
এদের সম্পর্কে তথ্য দেয়ার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করতে লাখ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করা হলেও এ নিয়ে পত্রিকা ও টিভিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষকে এদের সম্পর্কে তথ্য দিয়ে উৎসাহ দেয়ার ব্যাপারে আর কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছেনা।
গত ১৭ মে রবিবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) একেএম শহীদুল হক পুরস্কার ঘোষণার কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের ওই প্রধান কর্মকর্তা বলেছিলেন, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) ফুটেজের মাধ্যমে আট জনকে শনাক্ত করা গেছে।
তাদেরকে ধরিয়ে দিলে জনপ্রতি এক লাখ টাকা পুরষ্কার দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত শনাক্ত কাউকেই আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে সকলের সহযোগিতা পেলে শ্রীঘই শনাক্তদের আটক করা সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকারের কাছে মামলা অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনা নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত নিপীড়কদের ব্যাপারে পুলিশকে কেউ তথ্য দেয়নি।
বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনও খুব চাপে আছে। ঘটনার কোন অগ্রগতি থাকলে আমরা তা অব্যশই গণমাধ্যমকে জানাবো।
‘পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে ৪-৫ জন যুবক দুষ্টামি করেছে বলে পুলিশের শীর্ষ মহল থেকে বক্তব্য আসার পর সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পরে আইজিপি সংবাদ সম্মেলন করে আট জনের ছবি সাংবাদিকদের সরবরাহ করে।