ঢাকা ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বানিয়াচংয়ে একদিনে ৩ খুন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০
  • ১৮৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় একদিনে ৩টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। খুনিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। ঘটনা ৩টি ঘটেছে গতকাল ২২ জুলাই বুধবার।

প্রথম ঘটনায় প্রতিবেশীদের ধাক্কা ও কিল-ঘুষিতে মারা যান বৃদ্ধা কমলা বিবি (৫৫)। দ্বিতীয় ঘটনায় আততায়ীর হামলায় মারা যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কামাল মিয়া (৩৫) আর তৃতীয় ঘটনায় ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন বড় ভাই আলী আকবর (৩৫)।

প্রথম খুনের ঘটনাটি ঘটেছে ৩ নম্বর ইউনিয়নের দেশমূখ্য পাড়ায় সকাল সাড়ে ১১টায়। নৌকাঘাটে নৌকা বাঁধার ঘটনায় তর্ক-বিতর্কের কারণে নিহতের পুত্রবধূ জমিলা খাতুনকে প্রতিবেশী লুকু মিয়া ও তার লোকজন মারপিট করে আহত করে। এ সময় পুত্রবধূকে বাঁচাতে গিয়ে লুকু মিয়া ও তার লোকজন কমলা বিবিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে কিল-ঘুষি মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বানিয়াচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছে। এবং রাতেই লাশের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করা না হলেও অভিযুক্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

দ্বিতীয় খুনের ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলার ৭ নম্বর বউইউড়ি ইউনিয়নের শিবগঞ্জ বাজার হাসপাতালের পাশে। নিহত কামল মিয়া ওই ইউনিয়নের হলদারপুর গ্রামের আব্দুল মন্নাফের পুত্র। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

এলাকাবাসী জানায়, নিহত কামাল মিয়া বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন পার্শ্ববর্তী নবীগঞ্জ উপজেলার এক আত্মীয়র জানাজা পড়তে। সন্ধ্যা ৬টায় বাড়িতে ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা একই এলাকার উসমান গনির পুত্র সাইফুল ও তার লোকজন কামাল মিয়াকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জহম করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালে রাত সাড়ে ১১টায় কামাল মিয়া মারা যান। এঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। কোনো আসামিও গ্রেপ্তার নেই।

তৃতীয় খুনের ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত ১০টায় উপজেলার ১ নম্বর উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের বড়বাজার শহীদ মিনার এলাকায়। নিহত আলী আকবর ওই ইউনিয়নের চতুরঙ্গরায়ের পাড়ার ইউনুস মিয়ার পুত্র।

এলাকাবাসী জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ভাই আলী নেওয়াজকে খুঁজতে বের হয় বড় ভাই আলী আকবর। অন্যান্য দিনের মতো বাড়িতে যাওয়ার কথা বলতেই তর্ক বেঁধে যায় দুই ভাইয়ের মধ্যে। একপর্যায়ে ছোট ভাই আলী নেওয়াজ ক্ষিপ্ত হয়ে বড় ভাই আলী আকবরকে ছুরিবিদ্ধ করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশ আলী আকবরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে। পথিমধ্যেই রাত সাড়ে ১২টায় আলী আকবর মারা যান। এ ঘটনায়ও আসামি পলাতক।

বানিয়াচং থানার ওসি এমরান হোসেন জানান, ঘটনা তিনটির ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয় নাই। অভিযুক্তদের আটক করতে থানা পুলিশ কাজ করছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বানিয়াচংয়ে একদিনে ৩ খুন

আপডেট টাইম : ১২:০৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় একদিনে ৩টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। খুনিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। ঘটনা ৩টি ঘটেছে গতকাল ২২ জুলাই বুধবার।

প্রথম ঘটনায় প্রতিবেশীদের ধাক্কা ও কিল-ঘুষিতে মারা যান বৃদ্ধা কমলা বিবি (৫৫)। দ্বিতীয় ঘটনায় আততায়ীর হামলায় মারা যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কামাল মিয়া (৩৫) আর তৃতীয় ঘটনায় ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন বড় ভাই আলী আকবর (৩৫)।

প্রথম খুনের ঘটনাটি ঘটেছে ৩ নম্বর ইউনিয়নের দেশমূখ্য পাড়ায় সকাল সাড়ে ১১টায়। নৌকাঘাটে নৌকা বাঁধার ঘটনায় তর্ক-বিতর্কের কারণে নিহতের পুত্রবধূ জমিলা খাতুনকে প্রতিবেশী লুকু মিয়া ও তার লোকজন মারপিট করে আহত করে। এ সময় পুত্রবধূকে বাঁচাতে গিয়ে লুকু মিয়া ও তার লোকজন কমলা বিবিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে কিল-ঘুষি মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বানিয়াচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছে। এবং রাতেই লাশের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করা না হলেও অভিযুক্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

দ্বিতীয় খুনের ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলার ৭ নম্বর বউইউড়ি ইউনিয়নের শিবগঞ্জ বাজার হাসপাতালের পাশে। নিহত কামল মিয়া ওই ইউনিয়নের হলদারপুর গ্রামের আব্দুল মন্নাফের পুত্র। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

এলাকাবাসী জানায়, নিহত কামাল মিয়া বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন পার্শ্ববর্তী নবীগঞ্জ উপজেলার এক আত্মীয়র জানাজা পড়তে। সন্ধ্যা ৬টায় বাড়িতে ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা একই এলাকার উসমান গনির পুত্র সাইফুল ও তার লোকজন কামাল মিয়াকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জহম করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালে রাত সাড়ে ১১টায় কামাল মিয়া মারা যান। এঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। কোনো আসামিও গ্রেপ্তার নেই।

তৃতীয় খুনের ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত ১০টায় উপজেলার ১ নম্বর উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের বড়বাজার শহীদ মিনার এলাকায়। নিহত আলী আকবর ওই ইউনিয়নের চতুরঙ্গরায়ের পাড়ার ইউনুস মিয়ার পুত্র।

এলাকাবাসী জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ভাই আলী নেওয়াজকে খুঁজতে বের হয় বড় ভাই আলী আকবর। অন্যান্য দিনের মতো বাড়িতে যাওয়ার কথা বলতেই তর্ক বেঁধে যায় দুই ভাইয়ের মধ্যে। একপর্যায়ে ছোট ভাই আলী নেওয়াজ ক্ষিপ্ত হয়ে বড় ভাই আলী আকবরকে ছুরিবিদ্ধ করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশ আলী আকবরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে। পথিমধ্যেই রাত সাড়ে ১২টায় আলী আকবর মারা যান। এ ঘটনায়ও আসামি পলাতক।

বানিয়াচং থানার ওসি এমরান হোসেন জানান, ঘটনা তিনটির ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয় নাই। অভিযুক্তদের আটক করতে থানা পুলিশ কাজ করছে।