হাওর বার্তা ডেস্কঃ সারাবিশ্বই মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড। সংক্রমণ ও বাড়ছে সঙ্গে ভাইরাস তার চরিত্রও বদলে ফেলছে। দেখা দিচ্ছে নানা উপসর্গ। শুরু থেকেই এর চরিত্র বা আচরণের ধরণ নির্ধারন করতে হিমশিম খাচ্ছে গবেষকরা।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রাদুর্ভাবের পর থেকে এখনো পর্যন্ত প্রতিনিয়ত নতুন রেকর্ড গড়ে যাচ্ছে করোনাভাইরাস। বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই মারণ ভাইরাস থেকে পৃথিবীকে মুক্তি দিতে প্রতিনিয়তই গবেষণা কার্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এই গবেষণার মাঝে আবারো এক নতুন তথ্যের জানান দিলেন গবেষকরা।
সম্প্রতি লন্ডনের কিংস কলেজের একদল গবেষক একটি কোভিড-১৯ ট্র্যাকিং অ্যাপ্লিকেশন থেকে সংগৃহীত ডেটাগুলো বিশ্লেষণ করে ছয়টি স্বতন্ত্র প্রকারের করোনা ভাইরাসের কথা উল্লেখ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, এদের প্রত্যেকটির একগুচ্ছ আলাদা লক্ষণ রয়েছে।
এই সমীক্ষায়, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৬০০ জনের ডেটা ব্যবহার করা হয়েছে। এই সমস্ত ব্যক্তিরা করোনা দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং নিয়মিত তাদের লক্ষণগুলোর তথ্য একটি অ্যাপ্লিকেশনে আপডেট করেছিলেন। এই তথ্যগুলোর উপর ভিত্তি করেই এই গবেষণা চালানো হয়। জেনে নিন ছয় প্রকার করনাভাইরাসের লক্ষণগুলো-
> জ্বর বিহীন ফ্লু এর লক্ষণগুলো হলো- মাথা ব্যথা, পেশির ব্যথা, গলা ব্যথা, কাশি, বুকে ব্যথা, ঘ্রাণ শক্তি চলে যাওয়া, জ্বর না থাকা।
> জ্বর যুক্ত ফ্লুর অন্যতম লক্ষণগুলো হলো- মাথা ব্যথা, কাশি, গলা ব্যথা, খিদে চলে যাওয়া, গলা ধরে যাওয়া, ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়া এবং জ্বর।
> গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এর লক্ষণগুলো হলো- মাথা ব্যথা, ক্ষুধা কমে যাওয়া, ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়া, গলা ব্যথা, বুক ব্যথা, ডায়রিয়া, কাশি থাকবে না।
> সিভিয়ার লেভেল ওয়ানের লক্ষণগুলো হলো- অবসাদ, মাথাব্যথা, জ্বর, কাশি, বুকে ব্যথা, গলা ধরে যাওয়া, ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়া এবং ক্লান্তি।
> সিভিয়ার লেভেল টু এর উপসর্গগুলো অন্যগুলোর মতোই। তবে মাথা ব্যথা, ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়া, জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, বুক ব্যথা, গা হাত পা ব্যথা, পেশির ব্যথা, ক্লান্তি, বিভ্রান্তি, গলা ভেঙে যাওয়া, খিদে চলে যাওয়া প্রধান লক্ষণ।
> সিভিয়ার লেভেল থ্রি এর সমস্যায় পেট ও শ্বাস-প্রশ্বাস যুক্ত। এর লক্ষণগুলো হলো- মাথা ব্যথা, জ্বর, কাশি, গলা ভেঙে যাওয়া, ক্ষুধা লোপ, ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়া, গলা ব্যথা, বুক ব্যথা, পেশি ব্যথা, ক্লান্তি, বিভ্রান্তি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং পেটে ব্যথা।
গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, এই ছয় প্রকারের সংক্রমণের তীব্রতার মাত্রা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং এই সমস্ত রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যার ক্ষেত্রে অক্সিজেন বা ভেন্টিলেটর দ্বারা চিকিৎসা করা প্রয়োজন। গবেষকরা আরো বলেছেন, চার, পাঁচ ও ছয় নম্বর প্রকারের কোভিড-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।