ঢাকা ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিনা-মুজদালিফা ও আরাফায় প্রত্যেক হাজির জন্য যতটুক স্থান বরাদ্দ থাকবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৮:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুলাই ২০২০
  • ২১৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনার কারণে সীমিত সংখ্যক লোকের অংশগ্রহণে ব্যাপক নিরাপত্তায় অনুষ্ঠিত হবে এবারের হজ। তবে এ সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি নয়।

এসব অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ সৌদির স্থানীয়রা অংশগ্রহণ করতে পারবে। আর বাকি ৭০ শতাংশ সৌদিতে অবস্থানকারী বিদেশি লোক হজে অংশগ্রহণ করবে। যেখানে গত বছর প্রায় ২৫ লাখ হজে অংশগ্রহণ করে।

আর তাই হজে অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আইন অমান্যকারীদের জন্য ১০ হাজার রিয়াল জরিমানার বিধান করেছে সৌদি আরবের আভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়। খবর সৌদি গেজেট।

হজ চলাকালীন নির্ধারিত সময় পবিত্র নগরী মক্কার হজ পালনের স্থান ঐতিহাসিক মিনা-মুজদালিফা ও আরাফাতের ময়দানে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করলেই ১০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা গুণতে হবে। জরিমানার এ বিধান ১৯ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

আভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় থেকে স্থানীয়দের হজ চলাকালীন সময়ে এইসব নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়। এক ঘোষণায় বলা হয়, ‘হজের সময় ঘনিয়ে আসলে মক্কা ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়া হবে। সে সময় অনুমতি ছাড়া কাউকেই হজের জন্য নির্ধারিত অঞ্চলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। যদি কেউ সেই চেষ্টা করে তাহলে বাহিনীর সদস্যরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে আরো জানা যায় যে, যদি কেউ একই অপরাধ একাধিক বার করার চেষ্টা করে তবে তাদের জরিমানা দ্বিগুণ করা হবে।

এ ছাড়াও হজে অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকবে যেসব ব্যবস্থা- 

> এবারের হজে অংশগ্রহণকারীদের চিহ্নিত ও নিশ্চিত করতে প্রত্যেককেই একটি করে স্মাট কার্ড দেয়া হবে।

> কোভিড-১৯ প্রতিরোধে প্রত্যেককেই প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জামাদিসহ একটি ব্যাগ সরবরাহ করা হবে।

> হজের প্রতিটি রোকন স্থলে (পয়েন্টে) পর্যাপ্ত পরিমাণ জমজমের পানি সরবরাহ করা হবে।

> কাবা শরিফ তাওয়াফে ও সাফা-মারওয়ায় সাঈ-তে যথাযথ নিরাপত্তার জন্য ২ মিটার দূরত্বে জীবাণুমুক্ত করণ ব্যবস্থা রাখা হবে।

> মিনা-মুজদালিফা ও আরাফাতের ময়দানে প্রত্যেক হাজির জন্য কমপক্ষে ৯ মিটার স্থান বরাদ্দ থাকবে।

> মিনায় আবাসিক স্থাপনাগুলো হজ যাত্রীদের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।

এবারের হজে স্থানীয়রা ছাড়াও সৌদি অবস্থানরত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লোকদের কাছে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে হজে অংশগ্রহণের আহ্বান করা হয়েছিল। খুব দ্রুত স্থানীয়সহ প্রায় ১৬০ জাতীয়তাবাদের লোকদের আবেদন প্রক্রিয়া বাছাই সম্পন্ন হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মিনা-মুজদালিফা ও আরাফায় প্রত্যেক হাজির জন্য যতটুক স্থান বরাদ্দ থাকবে

আপডেট টাইম : ০৪:৫৮:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুলাই ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনার কারণে সীমিত সংখ্যক লোকের অংশগ্রহণে ব্যাপক নিরাপত্তায় অনুষ্ঠিত হবে এবারের হজ। তবে এ সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি নয়।

এসব অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ সৌদির স্থানীয়রা অংশগ্রহণ করতে পারবে। আর বাকি ৭০ শতাংশ সৌদিতে অবস্থানকারী বিদেশি লোক হজে অংশগ্রহণ করবে। যেখানে গত বছর প্রায় ২৫ লাখ হজে অংশগ্রহণ করে।

আর তাই হজে অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আইন অমান্যকারীদের জন্য ১০ হাজার রিয়াল জরিমানার বিধান করেছে সৌদি আরবের আভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়। খবর সৌদি গেজেট।

হজ চলাকালীন নির্ধারিত সময় পবিত্র নগরী মক্কার হজ পালনের স্থান ঐতিহাসিক মিনা-মুজদালিফা ও আরাফাতের ময়দানে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করলেই ১০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা গুণতে হবে। জরিমানার এ বিধান ১৯ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

আভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় থেকে স্থানীয়দের হজ চলাকালীন সময়ে এইসব নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়। এক ঘোষণায় বলা হয়, ‘হজের সময় ঘনিয়ে আসলে মক্কা ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়া হবে। সে সময় অনুমতি ছাড়া কাউকেই হজের জন্য নির্ধারিত অঞ্চলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। যদি কেউ সেই চেষ্টা করে তাহলে বাহিনীর সদস্যরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে আরো জানা যায় যে, যদি কেউ একই অপরাধ একাধিক বার করার চেষ্টা করে তবে তাদের জরিমানা দ্বিগুণ করা হবে।

এ ছাড়াও হজে অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকবে যেসব ব্যবস্থা- 

> এবারের হজে অংশগ্রহণকারীদের চিহ্নিত ও নিশ্চিত করতে প্রত্যেককেই একটি করে স্মাট কার্ড দেয়া হবে।

> কোভিড-১৯ প্রতিরোধে প্রত্যেককেই প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জামাদিসহ একটি ব্যাগ সরবরাহ করা হবে।

> হজের প্রতিটি রোকন স্থলে (পয়েন্টে) পর্যাপ্ত পরিমাণ জমজমের পানি সরবরাহ করা হবে।

> কাবা শরিফ তাওয়াফে ও সাফা-মারওয়ায় সাঈ-তে যথাযথ নিরাপত্তার জন্য ২ মিটার দূরত্বে জীবাণুমুক্ত করণ ব্যবস্থা রাখা হবে।

> মিনা-মুজদালিফা ও আরাফাতের ময়দানে প্রত্যেক হাজির জন্য কমপক্ষে ৯ মিটার স্থান বরাদ্দ থাকবে।

> মিনায় আবাসিক স্থাপনাগুলো হজ যাত্রীদের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।

এবারের হজে স্থানীয়রা ছাড়াও সৌদি অবস্থানরত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লোকদের কাছে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে হজে অংশগ্রহণের আহ্বান করা হয়েছিল। খুব দ্রুত স্থানীয়সহ প্রায় ১৬০ জাতীয়তাবাদের লোকদের আবেদন প্রক্রিয়া বাছাই সম্পন্ন হয়েছে।